ঘুরতে গিয়ে দুর্ভোগ (অষ্টম পর্ব)
তারা খেয়াল করে দেখে তাদের থেকে বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সেই সন্ত্রাসীরা কোন কিছু নিয়ে গল্প করছে আর হাসাহাসি করছে। এর ভেতরে শফিক সবুজকে বলে আমি পা তোর দিকে সরাচ্ছি। তুই আমার পকেট থেকে চাবির ছড়াটা বের কর। যেহেতু সন্ত্রাসী দুটো অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলো। তাই সবুজ কোনো সমস্যা ছাড়াই শফিকের পকেট থেকে চাবির রিং টা বের করতে সক্ষম হোলো। তারপর তারা সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। তারা খেয়াল করে দেখেছে দুই সন্ত্রাসীর একজন মাঝেমাঝেই কোথায় যেনো চলে যাচ্ছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তখন তার হাতের অস্ত্রটাও অন্য সন্ত্রাসীর কাছে দিয়ে যাচ্ছে। শফিক আর সবুজ মিলে ঠিক করে যখন এই সন্ত্রাসী দুজনের একজন বাথরুম করতে যাবে তখনই আক্রমণ করতে হবে। কারণ দুজনের থেকে একজনকে আক্রমণ করা সহজ। সবুজ তখন শফিককে বলল তাহলে আর কালকের জন্য অপেক্ষা করে লাভ কি? আমরা আজকেই ওদেরকে আক্রমণ করতে পারি। বুদ্ধিটা শফিকের পছন্দ হোলো। তখন সে সবুজ কে বললো তাহলে চাকু দিয়ে হাতের বাধন কাটা শুরু করো।
সবুজ শফিকের পকেট থেকে বের করা চাকুটা দিয়ে প্রথমে শফিকের হাতের বাঁধন কেটে দিলো। তারপর বরুনের হাতের বাধনও কেটে দিলো। কিন্তু হাতের বাধন কাটা হলেও তারা এমনভাবে রইল যাতে সেই সন্ত্রাসীরা তাকালে মনে করে তাদের হাতের বাঁধন ঠিকঠাক রয়েছে। এইভাবে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা দেখে দুই সন্ত্রাসীর একজন আবার যেন কোথায় চলে গেলো। সবুজ আর শফিক তখন সতর্ক পায়ে সেই সন্ত্রাসীর পেছনে গিয়ে একটা পাথরের খন্ড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।