স্কুল জীবনের একটি স্মৃতি
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে স্কুল জীবনের একটি স্মৃতি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে স্কুল জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি এখন আমাদের মনে পড়লে আমাদের সত্যিই কষ্ট লাগে। কেননা এই স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো আমাদের সারা জীবন মনে থেকে যায়। এছাড়াও আমরা যখন স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো মনে করি তখন আমরা আমাদের সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে আবার পুনরায় সেই শৈশব জীবনে ফিরে যাই। আসলে এমন এমন কিছু ঘটনা যা আমাদের সারা জীবন কষ্ট পাই এবং এমন এমন কিছু ঘটনা যার জন্য আমরা সারা জীবন আনন্দ পাই। আসলে আমরা যখন ছোটবেলায় স্কুলে যেতাম তখন কিন্তু সবাই মিলে দল বেঁধে একসাথে স্কুলে। আসলে আমরা কেউ যদি আগে আসতাম তাহলে রাস্তার একপাশে আমরা সবাই আসার জন্য অপেক্ষা করতাম। আসলে সবাই মিলে যখন আমরা হেঁটে হেঁটে স্কুলের দিকে যেতাম তখন রাস্তায় অনেক বেশি মজা করতাম। এছাড়াও আমাদের ভিতরে কিছু কিছু বন্ধুরা থাকে যারা একটু বোকা প্রকৃতি আবার কিছু কিছু বন্ধু থাকে যারা একটু চালাক প্রকৃতির।
আসলে এই দুই ধরনের বন্ধুরা আমাদের জীবনে কিন্তু অনেক বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। আসলে আমার মনে হয় যে এই বন্ধুরা না থাকলে আমাদের জীবনটা কখনো রঙিন হত না। আসলে আমরা যখন সবাই মিলে একসাথে স্কুলে যেতাম তখন কিন্তু স্কুলে গিয়ে এক বেঞ্চে বসার জন্য সবাই চেষ্টা করতাম। এছাড়াও তখন একটা প্রতিযোগিতা কিন্তু সব সময় লেগে থাকত যে কে সর্বপ্রথম ক্লাসের প্রথম বেঞ্চে বসবে। আসলে আমাদের ক্লাসগুলোতে সব সময় একটা স্পেশাল সিট থাকে। আসলে আমরা সবাই চেষ্টা করি যে কি করে ওই সিটটা দখল করা যায়। আর এজন্য আমরা প্রায়ই অনেকে খুব সকালবেলা স্কুলে পৌঁছে যাই। কিন্তু মাঝে মাঝে ক্লাসের দরজা খুলতে দেরি হলে আমরা সে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি যে কখন দরজা খুলবে এবং সর্বপ্রথম আমরা ওই জায়গাতে গিয়ে বসে পড়ব।
আসলে যদিও আমাদের সবার কপালে আমাদের সেই স্পেশাল সিটটা সব সময় থাকে না। আসলে আমরা যখন ক্লাসে সর্বপ্রথম এসে সবাই নিজেদের জায়গায় বসে পড়তাম। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের গল্পে মেতে থাকতাম। আসলে সবাই যখন এক জায়গায় বসে গল্প করতাম তখন সেই গল্পের কোন শেষ হতো না। আসলে এরপর যখন স্কুলের ঘন্টা বেজে যেত তখন আমরা সবাই মিলে দৌড়ে মাঠে গিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম এবং জাতীয় সংগীত গাইতাম। আসলে এরপর আমরা পুনরায় আবার ক্লাসে এসে প্রস্তুতি নিতাম ক্লাস করার জন্য। অর্থাৎ এরপর থেকে এক এক করে আমাদের বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষকরা ক্লাসে আসতেন এবং আমাদের পড়াশোনা করাতে। আসলে একটা মজার বিষয় হল যেদিন আমরা পড়া একটু কম করে আসতাম সেদিন কিন্তু আমরা আর প্রথম বেঞ্চে বসতাম না।
আসলে সেদিন আমরা ক্লাসে সব সময় চেষ্টা করতাম যে কি করে স্যারের চোখের আড়ালে থাকা যায় এবং স্যার যাতে কোনো আমাদের প্রশ্ন না করতে পারে এজন্য সব সময় বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে লুকিয়ে থাকতাম। আসলে আবার পুনরায় যখন টিফিন প্রিয়ড চলে আসতো তখন আমরা সবাই মিলে আমাদের ব্যাগ থেকে খাবার বের করে বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে করতে সেই খাবারগুলো খেতাম। আসলে যেদিন আমরা খাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসতাম না সেদিন কিন্তু আমরা দোকান থেকে শুকনো খাবার কিনে যেতাম। যদিও মাঝে মাঝে আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে বন্ধুদের টিফিন চুরি করে খেতাম। আসলে বন্ধুদের টিফিন চুরি করে খাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ লুকিয়ে ছিল। আসলে বর্তমান সময়ে এইগুলো যখন আমরা চিন্তা করি তখন আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হয় এবং আমরা ভাবতে থাকি যে যদি আমরা পুনরায় আবার সেই শৈশবকালে ফিরে যেতে পারতাম।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।