কিশোর গ্যাং!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের চারপাশে কিছু গ্যাং কিংবা কিছু দল খুব সক্রিয়ভাবে বর্তমানে কাজ করছে অর্থাৎ অপকর্ম করছে। তাদের নাম হলো কিশোর গ্যাং। আসলে এই নামটাই আমার কাছে সমস্যার মনে হয়। কারণ নামটা এতোটা অ্যাট্রাক্টিভ যে উঠতি বয়সী ছেলেরা এই নামটার আকর্ষণে হলেও এমন কিছু গ্যাং তৈরি করে। যেটা আমাদের দেশের জন্য, সমাজের জন্য এবং সর্বোপরি আমাদের এলাকা ও পরিবারের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর। কারণ তারা আসলে গ্যাং হিসেবে কোনো ভালো কাজ করে না। উল্টো তারা দুনিয়ার যতো রকমের অপকর্ম রয়েছে,সেসব করে।
কিশোর গ্যাং বলতে মূলত যেটা বুঝানো হয়। সেটা হলো, তারা মোটামুটি রাজনীতি করতে চায় কিংবা হয়তো হালকা পাতলা করেও। যেটা খুব একটা ইফেকটিভ নয়। অর্থাৎ বাজে রাজনীতি যাকে বলে। সে সাথে তার এমন বাজে আচরণ করে প্রতিটি মানুষের সাথে। অর্থাৎ তাদের এলাকার মানুষের সাথে। যে এলাকার মানুষজন তাদের সাথে খুব একটা আগ বাড়িয়ে কখনোই কথা বলতে চায় না এবং তারাও সব সময় এই সমাজের কিংবা এলাকার মানুষদের ক্ষতি করতে থাকে, তাদের চাহিদা অনুযায়ী।
আসলে কিশোর গ্যাং শুধুমাত্র একটি শব্দ নয়। এটি আমাদের সমাজের জন্য অভিশাপ স্বরুপ। কারণ যে কিশোরেরা আমাদের সমাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা সে কিশোর বয়সেই কিছু বাজে ছেলে-মেয়ে একত্র করে গ্যাং বানিয়ে হই-হুল্লোড় করে বাজে কাজ করছে, যেটা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।
আসলে আমি মনে করি যে, এই ধরনের কিশোর গ্যাং যদি চোখে পরে।তাহলে সাথে সাথেই পুলিশে ইনফর্ম করা। কারণ অন্তত ছোট বয়সে যদি একবার শাস্তির আওতায় আসে। সে ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সেই শাস্তির কথাটি মনে রাখতে পারে। কিন্তু যদি সর্বক্ষণ বাচ্চা ছেলে কিংবা অল্প বয়স্ক বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনি ভাববেন না যে আপনিও তাদের রোষানল থেকে বেঁচে যাবেন। হয়তো নেক্সট টার্গেটটা আপনি হতে পারেন তাদের। তাই খুব সাবধান, কারণ কিশোর গ্যাং নামক গ্যাং গুলো খুবই খারাপ হয়ে থাকে এবং নির্দয়।
কিশোর গ্যাং নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচলা সমালোচনা হচ্ছে। এদের দৌরাত্ব বন্ধ হচ্ছেনা।কখনো কখনো পুলিশ প্রশাসনের নাকেরডগার উপর দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে চলছেন। এইসব কিশোর গ্যাং কোন না কোনা নেতার মদদপুষ্ট। নাগরিক হিসেবে আমরা অসহায়। তবে আমাদের সবার উচিত নিজ পরিবারের কিশোর সন্তানের উপর বিশেষ নজর দেওয়া। আমাদের অজান্তে আপনার/আমার সন্তান কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে না তো!! লেখাটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন আপনি, কিশোর গ্যাং আমাদের সমাজের জন্য অভিশাপ। শুধু আমাদের সমাজ নয় দেশের জন্যই অভিশাপ। এই কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে সমাজ-রাষ্ট্র অতিষ্ঠ হয়ে আছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসলেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এতে সংযুক্ত হয়ে বিপদগামী হয়ে গেল।
বেশ কয়েকবছর ধরে কিশোর গ্যাং এর নাম শুনছি। কিন্তু এখন তো কিশোর গ্যাং এক ধরনের আতঙ্কের নাম। সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। তাদেরকে আবার শেল্টার দেয় রাজনৈতিক নেতারা। তাইতো দিনদিন তারা আরও বেশি ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি অভিভাবকের উচিত নিজের সন্তানদের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা। তাছাড়া কিশোর গ্যাং এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করাটা খুবই জরুরী। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।