জাহিরার জন্মদিনের শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগবাসী সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।গত দুই পর্বে জাহিরার জন্মদিনের কিছু মূহুর্ত শেয়ার করেছিলাম।আজ আমি আপনাদের সাথে জাহিরার জন্মদিনের শেষের কিছু মূহুর্ত শেয়ার করব।


GridArt_20221103_195001156.jpg

গাইবান্ধা পৌর পার্কে কিছুক্ষন ঘোরাঘুরির পর পার্ক থেকে বেরিয়ে এসেছি।আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে বাইরে হালকা খাওয়া দাওয়া করব।কিন্তু কোথায় খাব বুঝতে পারছিলাম না।আমরা হেঁটে হেঁটে দেখছিলাম কোথায় খাওয়া যায়।


IMG_20221028_185206~2.jpg

হঠাৎ একটা দোকানে চোখ পড়ল।কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম দোকানটির নাম বিসমিল্লাহ চিকেন চাপ ঘর। গাইবান্ধায় এই প্রথম কোন চাপ ঘর।খুব অল্প দিন হলো চালু হয়েছে।কিন্তু লোকজনের ভিড় দেখে মনে হচ্ছিল অনেক পুরাতন।কারণ পুরাতন না হলে তো এতো লোকের ভিড় হতো না।


IMG_20221028_185334.jpg

IMG_20221028_185300.jpg

IMG_20221028_185225.jpg

আমার ধারণা ভুল তারা খুব অল্প দিনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।তাই আর বেশি কিছু চিন্তা ভাবনা না করে দোকানে ঢুকে পড়লাম।ঢুকে প্রথমে যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে তা হলো ম্যানু কার্ড বড় পোস্টারে করে দেয়ালে লাগানো।বেশ বড় বড় করে লেখা খাবারের নাম।


IMG_20221028_190411.jpg

কি অর্ডার করব ভাবছিলাম।সব আইটেমের মধ্যে একটা আমার কাছে নতুন। সেটা হলো চিকেন কাটিং ফ্রাই। চিকেন তন্দুরি, পুরি,চিকেন ফ্রাই,শিক কাবাব অনেক কিছু ছিল।কিন্তু চিকেন কাটিং ফ্রাই অনেকে খাচ্ছিল।আবার অনেকে আবার পার্সেল করে নিয়ে যাচ্ছিল।


কিছু সময় পর আমাদের খাবার ও চলে এসেছিল। সাথে পুরি আর আমার মেয়ের সফট ড্রিংকস।আমার মেয়ের কথা চিন্তা করে চিকেন কাটিং ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম।চিকেন কাটিং ফ্রাই এর সাথে পেঁয়াজ আর শশার একটা সালাদ দিয়েছিল।যার স্বাদ একে বারে অন্যরকম।আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল।

চিকেন কাটিং ফ্রাই খাওয়ার পর বুঝলাম কেন সবাই এটা খাচ্ছিল। এতো ভালে লেগেছিল আমার কাছে মনে হচ্ছিল প্রায় কয়েক বছর পর আমার মনের মতো একটা খাবার খেলাম।পুরির স্বাদ ও খুব ভালো ছিল।এরপর থেকে ভেবেছি আমার নিজের বাসায় আসার সময় বেশি করে পার্সেল করে নিব।


IMG_20221028_194354.jpg

IMG_20221028_201158.jpg

মনের মতো খাওয়া দাওয়া শেষে এবার বাসায় ফেরার পালা। বিল পেমেন্ট করে বাইরে এসে রিকশা নিলাম বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে। আমরা ভুলে গেলেও জাহিরা ভোলে নি যে কেক নিতে হবে।ও মনে করিয়ে দিল।তারপর আবার গেলাম কেক নিতে।কেক নিয়ে বাসায় ফিরে এবার কেক কাটার পালা।

বাবাকে নিয়ে কেক কেটে জাহিরার জন্মদিনের প্ল্যান মাফিক কাজের সমাপ্তি হলো।কেক কেটে জাহিরা মহাখুশি। এরপর সবাইকে কেক খাইয়ে দিল।

আমি চেষ্টা করেছি আমার মেয়ের জন্মদিন দিনটা সুন্দর ভাবে কাটাতে। তবে একটু অন্যভাবে।আমার মেয়ে ও এতে খুব খুশি। এটা আমার সার্থকতা। সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন যেন সে একজন বড় মনের একজন সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি হতে পারে।

❤️ধন্যবাদ সবাইকে❤️

Sort:  
 2 years ago 

আপু প্রথম যেটা বলবো সেটা হলো চিকেন কাটিং ফ্রাই। এটা আমি কিছুদিন আগে খেয়েছিলাম। সত্যিই অনেক স্বাদ। তারপরের কথা হলো চিকেন কাটিং ফ্রাই খেয়ে আপনারা কেকের কথা ভুলে গেলেও আপনার মেয়ে সেটা ভুলে নাই হা হা হা। শুভ জন্মদিন। আপনার মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

না ভাইয়া ওরা তো কেকের কথা ভুলবে না। কেকেই আসল মজা।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60752.38
ETH 2453.49
USDT 1.00
SBD 2.63