সায়ানের শুভ জন্মদিন ||১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-foxshy-foxএর জন্য||

২৮ আগষ্ট রবিবার শায়নের জন্মদিন ছিল। জন্মদিনের দাওয়াত তো অনেক আগে থেকেই পেয়েছি। কয়েকদিন যাবৎ বাসায় একটা উৎসব উৎসব ভাব। সবার মুখে মুখে শুধু একটাই কথা কিভাবে সায়ানের জন্মদিন পালন করবে।

সায়ন হচ্ছে আমাদের @shuvo35 ভাই ও @hiramoni ভাবীরএকমাত্র আদরের সন্তান। তাছাড়া সায়ান আমাদের সকলেরই অনেক আদরের। ওকে আমরা আদর করে অনেক নামে অনেক সময় ডেকে থাকি। একেকজন একেকটা নাম বের করেছে। সায়ান এত কিউট এত মিষ্টি দেখলে মায়া লাগে।

আমার মেয়ের জন্মদিনের দাওয়াত পেলে খুবই খুশি হয়। যেহেতু এটা আরও বেশি স্পেশাল তার আঙ্কেল তাকে আলাদাভাবে দাওয়াত করেছে। তাই সে আগের দিন রাতেই তার ড্রেস বের করে রেখেছে।আমরা যেহেতু একই বাসায় অনেকগুলো ফ্যামিলি থাকি। তাই বাসায় আমাদের অনেকগুলো বাচ্চা ও আছে।আমাদের চেয়ে ওদের উৎসাহিত আরো বেশি। ও আচ্ছা বলা হয়নি আমাদের বাসার সব বাচ্চারার ড্রেস কোড বের করেছে। তারা ঠিক করেছে সবাই লাল কালার ড্রেস পরবে। তো সেই জন্য আমার মেয়ের সায়ান ভাইয়ের জন্মদিনে লাল কালার ড্রেস পরবে। ড্রেসের সাথে কি কি লাগবে সব বের করে রেখেছ।সকাল সাতটায় বায়না ধরেছে সে সকালেই সায়ান ভইয়ার বাসায় যাবে। অনেক কিছু বলে তাকে একটু শান্ত করেছিলাম বলেছিলাম বিকেলে যাব।সন্ধ্যা বেলা যখন রেডি হয়ে উপরে পাঁচতলায় গেলাম। গিয়ে দেখি আমাদের বার্থ ডে বয় খুবই ব্যস্ত। ছবি তোলার তার একটুও ইচ্ছা নেই।অনেক কষ্টে তার সাথে একটা ছবি তুলেছিলাম।

সায়ান বাবার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাসাটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন @bristichaki বৌদি আমরা একই বাসায় থাকি। তো তার দুই মেয়েসহ ভাবির বাসায় আরও মেহমানরা ছিল। তারা মিলে বাসাটাকে অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। যদিও প্ল্যান ছিল ছাদে কেক কাটা হবে কিন্তু বৃষ্টির কারণে ছাদে না করে বাসায় কেক কাটতে হয়েছিল। ভাবির মেয়েগুলো অনেক বেশি লক্ষী। ওদের জন্য অনুষ্ঠান টা অনেকটা পরিপূর্ণ হয়েছে।সায়নের জন্মদিনের কেকটা অনেক সুন্দর ছিল। কেকটা রেড কালার ছিল।

সন্ধ্যার পরপরই ভাবির বাসায় আমন্ত্রিত অতিথিরা সবাই চলে এসেছি। তাই তখনই কেকটা কাটা হয়েছিল। কারণ তারপরে আরো অনেকে প্ল্যান ছিল। খাওয়া-দাওয়া হবে নাচ-গান হবে গল্প আরো অনেক কিছু। কেক কাটার পরে শুভ ভাইয়া সব বাচ্চাদের কে কেক খাইয়ে দিচ্ছিল। শুভ ভাইয়া তো অনেক আন্তরিক। বাচ্চাদেরকে অনেক ভালোবাসে। আমার মেয়ে ও আংকেল কে খুব ভালোবাসে।শুভ ভাইয়ার কথা নাই বা বলি এক কথায় বলতে হয় তিনি একজন অমায়িক মানুষ। তার ভিতরে অনেক গুণ আছে। আসলেই আমরা চাইলেও তার মতো হতে পারব না কখনোই।

হীরা ভাবির সাথে আমরা অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম। একসাথে সবাই অনেক মজা করছিলাম। ভাবি আজ রেড কালার শাড়ি পরেছে। শাড়িতে তাকে খুব সুন্দর লাগছে। যদিও ভাবি কম শাড়ি পড়ে। তবে শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগে।

আমরা তো অনেকেই জানেন ভাবি অনেক সুন্দর রান্না করে। তো আমাদের জন্য সে অনেক সুন্দর করে ভাবি যত্ন নিয়ে রান্না করেছিল। খাবারগুলো খেতে বেশ মজা হয়েছিল। আমার মেয়ে অনেক মজা করে খেয়েছে। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা অনেক গল্প করছিলাম। গল্পের পরে বৌদির মেয়ে সহ আমাদের বাসার অন্যসব বাচ্চারা সাথে আমার মেয়ে অনেক নাচানাচি করে ছিল। নাচানাচি করতে করতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। যখন বাচ্চারা সবাই অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছে তারপরে সবাই যে যার বাসায় চলে গেছে। অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ শুভ ভাই ও হীরা ভাবীকে এতো সুন্দর করে আমাদের সকলকে আপ্যায়ন করার জন্য।সবশেষে এটাই দোয়া করি। সায়ান তার বাবা মার মনের মতো হয়ে একজন সফল মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাক।ভালো থাকো সায়ান বাবাই।