মেয়ের স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিকনিকের কিছু মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ভালো থাকার চেষ্টা করছি সব সময়। প্রতিদিনকার মতো আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার মেয়ের স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিকনিকের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
জাহিরার স্কুলের স্পোর্টস ডে পরেই ঠিক করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিকনিক একই দিনে হবে এবং সেটি হবে ২৯ তারিখ। কিন্তু আমি স্পোর্টস ডে শেষ করে গাইবান্ধা চলে যাই।ভেবেছিলাম যে কিছুদিন থাকব তো পিকনিকে দুদিন আগে স্কুলের থেকে পরিচালক স্যার ফোন দিয়েছিলেন বললেন জাহিরা কেন স্কুলে আসছে না। তো আমি বললাম গাইবান্ধায় এসেছি এজন্য যেতে পারছি না। কিন্তু তখন স্যার আবার পিকনিকের কথা মনে করিয়ে দিলেন বললেন পিকনিকে অবশ্যই অবশ্যই থাকতে হবে। আমরা যাতে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসি।
আমি তখন স্যার কে বলেছিলাম যে স্যার আমি তো পিকনিকের চাঁদা দেয়নি। স্যার বলেছিলেন আপনি এসে তারপর চাঁদা দিলেও চলবে কিন্তু পিকনিকে দিন অবশ্যই যেন আমি উপস্থিত থাকি। পরিচালক স্যার এভাবে বললেন এতে তো আর না এসে পারা যায় না। কিন্তু গাইবান্ধায় এগিয়ে আসতেও ইচ্ছা করছিল না। আমার মেয়ে তো আসতেই চাচ্ছিল না। তবে পিকনিকের কথা শুনে আসতে রাজি হয়েছে।আমরা সেজন্য পিকনিকের দিন ২৯ তারিখ সকালে আসার প্ল্যান করি এবংসকাল সকাল আমার মা আমার জন্য অনেক রান্নাবান্না করে দেয়। যাতে বাচ্চা নিয়ে এসে বাসায় আর রান্নাবান্না করতে না হয় এবং আমরা বাসায় এসে শুধু ব্যাগ রেখে পিকনিকে চলে যাব । পিকনিকের চাঁদা ধরা হয়েছিল ৫০০ টাকা। আমি স্কুলে এসে শুনি আমার হয়ে এক ভাবি আমার চাঁদাটা দিয়ে দিয়েছেন আসলে মানুষের ভালোবাসা গুলো অন্যরকম।
আমি তো সবসময় অটোতে যাতায়াত করি কারণ আমার মেয়ে সিএনজিতে উঠতে পারে না। ওর বমি হয়ে যায়। এজন্য আমার একজন অটো ড্রাইভার পরিচিত আছে। উনি রিজার্ভ যাতায়াত করেন। তাই ওনাকে আমি যখনই ডাকি না কেন চলে আসেন আমার কথা কখনো ফেলেন না। তাই আমি উনাকে ২৮ তারিখ রাতে ফোন করে বলেছিলাম উনি যাতে ২৯ তারিখ সকালের সাড়ে নয়টার মধ্যে বাসায় চলে আসেন । আমি দশটার মধ্যেই বাসা থেকে বের হব এতে করে সকাল সকাল পৌঁছে যাব বাসায়।
আমার কথা মতো উনি সকালে সাড়ে নটার মধ্যেই চলে আসেন এবং আমারই বের হতে একটু দেরি হয়ে যায়। সবকিছু গোদগাছ করে নিয়ে দশটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ি। আমি বাসায় এসে সাড়ে ১১ টার মধ্যে চলে আসছি। এসে ব্যাগ পত্র রেখে আমরা একবারে স্কুলে চলে গেছি।
গিয়ে দেখি কেবলমাত্র অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। বাচ্চারা একের পর এক পারফর্ম করছে কেউ গান বলছে কেউ কবিতা বলছে।আমার মেয়ে এসব দেখে সে নিজেও কিছু একটা করবে বলছিল। একা একাই চলে গেছে মঞ্চে এবং গিয়ে দেখি সে সুন্দর কবিতা বলছে। আমাদের সময় তো আমরা মঞ্চে উঠতে চাইতাম না মঞ্চে ওঠার কথা শুনলেই ভয় পেতাম। আমার মধ্যে এই জিনিসটা খুব ছিল কিন্তু আমার মেয়ের মধ্যে এটা একেবারেই নেই ওর মধ্যে ভয় বলতে কিছু নেই বরং যে উঠতে বললে আরও বেশি খুশি হয়ে যায়।
আমরা অনেক কবিতা গান নাচ সব শুনতে শুনতে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেছে এবং স্কুলের মধ্যেই পাশে দেখি রান্নাবান্নার আয়োজন করা হয়েছিল। স্কুলের ছাদে সবাই খেতে বসেছিলাম। দুপুরে এত বেশি ক্ষুধা লেগেছিল যে খাবারের সময় ছবি তুলতে একদমই ভুলে গিয়েছিলাম। খাবার-দাবার শেষে আবারো অভিভাবকদের চেয়ার খেলা ও বালিশ খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সব কিছু উপভোগ করে আমরা বিকেল বেলা বাসায় চলে আসি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
বর্তমান প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম খেলা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সামনে রমজান মাস তাই তারা খুব দ্রুত এই আয়োজন গুলো সেরে নিচ্ছে। আপনার মেয়ের স্কুলের মধ্যে বেশ সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।আর আপনি নিজেই এই অনুষ্ঠানের মধ্যে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান টি উপভোগ করেছেন।
আপনার আম্মুদের বাসা থেকে আসার সময় আপনার আম্মু অনেক রান্নাবান্না করে দিয়েছে যাতে আপনার বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে যেয়ে রান্না করতে না হয় ।আমি যখন আমার আম্মুদের বাসায় বেড়াতে যাই তখন আমার আম্মু আসার সময় অনেক তরকারি রান্না করে দেয় ।আমাকে যেন বাড়িতে এসে বাচ্চা নিয়ে রান্না করতে ঝামেলা না হয় ।আপনার মেয়ের স্কুলের সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও পিকনিকের কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে মুহূর্তটা অনেক সুন্দর কেটেছে।
সত্যি অনেক সুন্দর মূহুর্ত ছিল।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেকদিন পর অনুভবে ফিরে পেলাম স্কুলের সেই ফেলে আসা দিনগুলো। অবশ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতাম আর আনন্দ উপভোগ করতাম। কিছুটা সময়ের জন্য আপনার বাচ্চার স্কুলের এই আনন্দঘন মুহূর্ত আমি একদম একান্ত নিজের সেই ফেলে আসা দিনগুলোর মত করে খুঁজে পেলাম। ভালো লাগলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এসব অনুষ্ঠানে গেলে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো আপু শত ব্যস্ততার মাঝে আপনি গাইবান্ধা থেকে ফিরে আসলেন পিকনিকে যাওয়ার জন্য। স্কুলের স্যারেরা এভাবে অনুরোধ করলেই ফেলে রাখা যায় না। অনেক ভালো লেগেছে মেয়েকে নিয়ে পিকনিকে অংশগ্রহণ করলে। মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।