আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা বাসী কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজ আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।

বেশ কয়েক মাস আগে মেয়ের অনুরোধে বিউটি পার্কে যেতে হয়েছিল।জাহিরার বিউটি পার্কে যাওয়ার অন্যতম কারণ সে সুইমিং পুলে সাতার কাটবে। আমরা যেখানে থাকি সেখানে আশে পাশে সুইমিং পুল কোথাও নেই। আর বিউটি পার্ক টাও আমাদের বাসা থেকে প্রায় ঘন্টা খানেকের পথ।

আমার জন্য যাওয়াটা অনেক কষ্টের ছিল। তাও জাহিরার অনুরোধে যেতে বাধ্য হয়েছি।সিনজি রিজার্ভ করে নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। কাছাকাছি যাওয়ার পর দেখি রাস্তা খুব বেশি ভালো না।আমার দুপুরের দিকে গিয়েছিলাম যেহেতু প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সুইমিং করা।প্রথমে গিয়ে টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতে হয়।ভেতরে ঢুকে জাহিরা পানির ফোয়ারা দেখে অনেক খুশি হয়েছে।

এরপর অনেক ধরনের মাছ, কচ্ছপ ছিল।এগুলো তো জাহিরা প্রথমবার দেখছে তাই অনেক খুশি। অনেক ধরনের গাছপালা দেখে আমারও খুব ভালো লাগছিল।বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল পরিবেশ।জাহিরা কোনটা রেখে কোনটা দেখবে সেটাই বুঝতে পারছিল না।

বাচ্চাদের জন্য অনেক ধরনের রাইডও ছিল।জাহিরা ওওর বাবা-র সাথে ট্রেন,প্লেন,দোলনা তেও উঠে ছিল।এরপর ওর সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সুইমিং পুলে যাওয়ার পালা।সুইমিং পুলে টিকিট কেটে ঢোকার পর ড্রেস পাল্টে নিয়েছিল।

জাহিরা ওর বাবার সাথে সুইমিং পুলে নেমেছিল।ওকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সে প্রথম বার সুইমিংপুলে নেমেছে।বাচ্চারা তো পানি পেলে এমনি খুশি হয়।ওর আনন্দ দেখে আমারও ভালো লাগছিল।সে প্রায় এক ঘন্টা ছিল সুইমিংপুলে। অনেক কিছু বুঝিয়ে সেখান থেকে তোলা হয়েছে।এরপর আমরা চিড়িয়াখানায় ঢুকেছিলাম।

পার্কের ভেতরে ছোট্ট একটা চিড়িয়াখানা ছিল। অল্প কিছু পশু পাখি ছিল।তা দেখে মেয়ে আমার মহাখুশি।অনেক গরম লাগছিল।তাই খুব বেশি সময় অপেক্ষা না করে বেরিয়ে পরেছিলাম।বাসায় আসতে আসতে বিকেল হয়ে
ছিল।

আজ এ পর্যন্তই।পরবর্তী তে আবারও নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।