মেয়ের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ
হ্যালো,
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আপনারা অনেকেই জানেন আমার একটি মাত্র মেয়ে ওর নাম জায়রা ওর বয়স চার বছর।এই বয়সটাই ওকে স্কুলে দেওয়ার সঠিক সময়। অনেকদিন ধরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলাম। কিন্তু আজ হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যে ওকে এবার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেব।
আমার মেয়েকে তেমন কিছু পড়াশোনা আমি শেখায়নি।আমার কাছে মনে হয় ও অনেক ছোট তাই ওর শৈশবটাকে ভালোভাবে কাটাতে দেওয়া উচিত। এজন্য ও সব সময় ওর মতো করে সময় কাটায়। খেলাধুলা করে। ওকে কখনোই আমি পড়াশোনার জন্য চাপ দেই না।যেহেতু ওর বয়স চার বছর। তাই আমি ওকে নিয়ে একটু চিন্তা করছিলাম যে কিছু না শিখে কিভাবে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেবো।
আজ সকালে বৌদির সাথে গল্প করতে করতে আমার সব চিন্তার অবসান হল।বৌদি মানে আমাদের প্রিয় @bristichaki।বৌদি বলল যে এখানে একটা স্কুল নতুন চালু হয়েছে। স্কুলটা অনেক ভালো এবং পরিবেশটাও অনেক সুন্দর। বৌদি ও তার মেয়েকে সেই স্কুলে ভর্তি করাতে চায়।এজন্য বৌদির সেই স্কুলে যাবে এজন্য বলল যে জাহিরাকেও ওই স্কুলে দিতে পারেন। স্কুল টা অনেক ভালো। তো বৌদি বৌদির কথা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।বৌদি বলল যে এখানে একটা স্কুল নতুন চালু হয়েছে। স্কুলটা অনেক ভালো এবং পরিবেশটাও অনেক সুন্দর। বৌদি ও তার মেয়েকে সেই স্কুলে ভর্তি করাতে চায়।এজন্য বৌদির সেই স্কুলে যাবে এজন্য বলল যে জাহিরাকেও ওই স্কুলে দিতে পারেন। স্কুল টা অনেক ভালো। তো বৌদি বৌদির কথা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।
বৌদির উপরে আমার আস্থা আছে। উনি না জেনে কোন কিছুই কখনো সাজেস্ট করবে না। ভালো জন্যই হয়তো উনি বলেছেন। এজন্য আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম আজই ওই স্কুলে যাব সব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য।সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বৌদি স্কুলে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছে যে স্কুলে গিয়ে আমরা কোন টিচারকে পাবো কিনা। তো স্কুল থেকে বলল যে তারা বিকেল পর্যন্ত থাকবে। এজন্য আমরা দুপুরের রান্নাবান্না শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে বের হবো চিন্তা করলাম।
আমার মেয়ে তো স্কুলে যাওয়ার কথা শুনে অনেক খুশি। কারণ এতদিন ধরে সে বাসার অন্য বাচ্চাদেরকে দেখেছে স্কুলে যেতে। কিন্তু সে কখনো স্কুলে যায়নি। তাই স্কুলে যাওয়ার জন্য সে অনেক আগে থেকে অনেক বায়না করতো। আজ তাকে স্কুলে নিয়ে যাবো এই কথা শুনে মহাখুশি। স্কুলে যাওয়ার কথা শুনে দুপুরের খাবারটাও খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়েছে। আমার আগেই রেডি হয়ে গেছে তোর সাথে সাথে বৌদি মেয়েরা রেডি হয়েছে।
মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য যাব এটা কেমন যেন একটা ভালোলাগা কাজ করছে। এটাও আবার কোথাও যেন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলাম। যে আমার মেয়েটা বড় হয়ে গেল যে ওকে স্কুলে দিতে হচ্ছে। ওর বাবাও অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে গেছে। আমার কাছে অনেকটা খুশি ও লাগছিল।
সবাই মিলে দুইটা রিক্সা নিয়ে স্কুলে গেলাম। স্কুলটা আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয় অনেকটা কাছে।স্কুলের নামটা অনেক সুন্দর গ্রীন ভিলেজ মডেল স্কুল।
স্কুলে ঢুকতে আমার যেটা ভালো লেগেছে। সেটা হচ্ছে বাচ্চাদের খেলার জন্য বিশাল বড় মাঠ আছে। বাচ্চাদের খেলার অনেক সরঞ্জাম আছে। এটা দেখে তো আমার মেয়ে আরো অনেক বেশি খুশি হয়ে গেছে।
স্কুলে ঢুকে আমার মেয়ে আর অর্থী দুজনেই খেলতে চলে গেছে।বৌদি আর আমি আমরা অফিস রুমে চলে গেছি সব বিষয়গুলো খুঁটিনাটি জানার জন্য।আমি সব টিচারদের সাথে কথা বলেও খুব ভালো লাগলো। সব বিষয়ে খুটিনাটি জানলাম।আজ তো ভর্তি করাবো না আজ সব বিষয়গুলো জেনে যাব অন্য একদিন এসে ভর্তি করাবো। সবকিছু ঠিকই ছিল কিন্তু একটা বিষয়ে একটু মন খারাপ হচ্ছিল। যে বৌদি ও তার ছোট মেয়েকে ভর্তি করাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব না কারণ এই স্কুলে শুধু প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আছে।
স্কুলের প্রায় সব টিচারগুলোকে দেখলাম সবাই অনেক আন্তরিক। কথা বলা শেষে টিচাররা বললেন যে ওনাদের স্কুলটা একটু ঘুরে দেখার জন্য।এজন্য বৌদি আর আমি স্কুলের প্রায় পুরোটাকে ভালোভাবে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। খুবই ভালো লাগছিল কারণ দেয়ালে বিল্ডিংয়ের ছাদে অনেক শিক্ষনীয় বিষয়গুলো পেইন্ট করেছে যা বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারি এবং বাচ্চারা দেখে অনেক মজা পাবে।বাচ্চাদেরকে জোর করে স্কুলে পাঠাতে হবে না। ওরা নিজের আগ্রহে স্কুলে আসবে।স্কুলের পুরো পরিবেশ দেখে আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।
আমার মেয়ে তো স্কুল থেকে আসতেই চাচ্ছিল না।ও স্কুলে থেকে যাবে।অনেক বুঝিয়ে তারপর নিয়ে এসেছি।সবাই আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন। ওর যেন একজন স্বচ্ছ মনের মানুষ হতে পারে,আর সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে।
আপু আপনার মেয়ে কিন্তু এখনো বেশ ছোট। তবে জানিনা সে স্কুলে থাকতে পারবে কিনা। মনে হচ্ছে প্রথম দিকে সামলাতে বেশ কষ্ট হবে। যাইহোক প্রথম দিন স্কুলে ভর্তি করার অনুভূতি হয়তো সত্যি আলাদা রকমের। যেই অনুভূতিগুলো সারা জীবন থেকে যাবে। যেহেতু আপনার মেয়ের স্কুলের টিচাররা অনেক আন্তরিক আশা করছি তারা আপনার মেয়েকে ভালোভাবে গ্রহণ করবে এবং আন্তরিকতার সাথেই পড়াশোনা শেখানোর চেষ্টা করবে। মামনির জন্য শুভকামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন আপু আমার মেয়ে অনেক ছোট কিন্তু ও নিজে থেকো স্কুলে যেতে চায়।এজন্য আরও বেশি করে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলাম।আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।
আমার মেয়ে ঈলমাকেও আমি চার বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি করেছিলাম। যাক বৌদি যেহেতু পরামর্শ দিয়েছেন তাহলে আশাকরি স্কুলটা ভালোই হবে। আর পরিবেশ বেশ ভালো দেখলাম, আর শিক্ষকগণ বেশ আন্তরিক বলছিলেন। যাক বাবুর জন্য অনেক দোয়া রইল 🥀
আপনার মেয়েকেও চার বছর স্কুলে দিয়েছিলেন জেনে নিশ্চিন্ত হলাম।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার কথায় আপনি আস্থা পেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাবি। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি আমার আশেপাশে যারা থাকে তাদের ভালো হোক এটাই আমার চাওয়া। জাহিরা বেবি সুস্থ সুন্দর পরিবেশে আনন্দের সহিত লেখাপড়া শিখুক এটাই কাম্য। সত্যিই স্কুল টি অনেক অনেক সুন্দর আশাকরি শিক্ষা ব্যবস্থাও ভালো হবে।জাহিরা বেবির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অন্য স্কুল গুলোতে ভরসা পাচ্ছিলাম না
আপনার কথায় ভরসা পেয়ে স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিলাম।অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
প্রথমে আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। আপনার মেয়ে যেন মানুষের মতোন মানুষ হয়ে আপনার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। আসলে সুশিক্ষা মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়। প্রথম কয়েকদিন আপনার মেয়ের কষ্ট হলেও যত দিন যাবে ততো বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং শিক্ষক সহপাঠ সকলের সাথে মিশে যাবে। আপনার মেয়ে স্কুলে ভর্তি করার এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রথমে কোন কিছু ভাল অভ্যাস করাতে একটু কষ্ট হবে।আশা করি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।