মেয়ের বান্ধবীর বাসায় পিকনিক

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। অনেক দিন ছুটিতে ছিলাম।তাই কাজ করাও বন্ধ ছিল। অনেক দিন পর কাজে ফিরে খুব ভালো লাগছে।গ্যালারিতে অনেক ছবি জমে আছে।অনেক কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয় নি। আমার মেয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার পর ওদের এক বান্ধবীর বাসায় পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল সেদিনেরই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

IMG_20230513_170836.jpg

পরীক্ষার আগে থেকেই আমাদের বাচ্চার মায়েদের প্ল্যান ছিল বাচ্চাদের পরীক্ষার সময় একটা প্রেসার যায়।তাই বাচ্চাদেরকে পরীক্ষার পরে একটু রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য আমরা এই পিকনিকের আয়োজনটা করেছিলাম। এক ভাবি তার বাসায় সব কিছু দায়িত্ব নিয়েছিল আর আমরা সবাই তার বাসায় সকাল থেকে গিয়ে সবাই এক একসাথে রান্নাবান্না করেছি।

IMG_20230513_115716.jpg

IMG_20230513_115646.jpg

আমরা প্রায় ১৫ জন বাচ্চা আর বাচ্চার মায়ের আয়োজনটা করেছিলাম। ভাবীর বাসায় সবার প্ল্যান ছিল খুব সকাল সকাল যাওয়ার কারণ যাওয়ার পরে সবাই একসাথে রান্নাবান্না করতে হবে। আমরা সকাল নয়টার মধ্যে ভাবীর বাসায় গিয়েছিলাম। যদিও আমি অসুস্থ ছিলাম।
আমি তেমন কোন কাজ করতে পারবো না। ভাবীরা বলেছিল আপনি শুধু বসে বসে আমাদের কাজ দেখবেন আর গল্প করবেন।
সকাল সকাল গিয়ে দেখি ভাবি আমাদের জন্য নাসার ব্যবস্থা করেছে তার মধ্যে ছিল সেমাই,তরমুজ,মাল্টা,চানাচুর,বিস্কুট, আম আরও অনেক কিছু। আমাদের সব ভাবিদের মধ্যে একজন সিনিয়র আন্টি ছিলেন যার নাতনি আমাদের বাচ্চাদের সাথে পড়তো।উনি আমাদের জন্য সেমাই লাড্ডু বানিয়ে এনেছিলেন। যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল এবং সবাই ওটাকে অনেক বেশি পছন্দ করেছে। আমি আন্টির কাছ থেকে রেসিপি জেনে নিয়েছিলাম যেটা আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করেছি।

IMG_20230513_135842.jpg

সবাই যে যার মত নাস্তা করে কাজে লেগে পড়েছে। কারণ দুপুরের মধ্যে রান্না শেষ করতে হবে। বাচ্চারা দুপুরে খাবার খাবে যেহেতু দুপুরে খাওয়ার জন্য আয়োজন করা হয়েছে। এক ভাবী আমাদের সবার চেয়ে দেরি করে এসেছিলেন উনার বাচ্চা এবং অন্য বাচ্চাদের যাতে মন খারাপ না হয় এজন্য উনি আসার সময় সবার জন্য চিপস নিয়ে এসেছিলেন।

আর বাচ্চারা অল্পেতে অনেক খুশি হয়ে যায়। সবাই একসাথে চিপস পেয়ে সে তো মহা খুশি। এর মাঝখানে রান্না বান্না চলছে দুপুরের মধ্যে রান্নাবান্না শেষ করতে হবে।খাবারের মেন্যুতে ছিল পোলাও,মাংস,কাবাব,সালাদ,রোস্ট।আর সব শেষে বাচ্চাদের প্রিয় কেক।

রান্নাবান্না শেষে সবাই একসাথে বসে খাবার খেয়েছি। বাচ্চার থেকে অনেক বেশি মজা পেয়েছে। আমার শরীরটা খুব বেশি ভালো ছিল না বাসায় একা একা থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম।সেদিন সবার সাথে বসে খেতে খুব ভালো লাগছিল। আর গল্প করেও অনেকটা হালকা হয়েছিলাম সারাদিনটা অনেক হৈ চৈ করে কেটেছিল।

সবার খাওয়া দাওয়া শেষে কেক কেটে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঠিক সন্ধ্যার আগে সবাই বাসায় চলে এসেছিলাম।খুব ভালো একটা দিন কাটিয়েছি।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  
 10 months ago 

অনেকদিন পর আপনার পোস্ট দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো আপু। যেহেতু আপনি অনেকদিন ছুটিতে ছিলেন তাই অনেকদিন আপনার পোস্ট পড়া হয়নি। যাইহোক আপু বাচ্চারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছে দেখে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল মামনির জন্য।

 10 months ago 

হ্যা আপু আমি অসুস্থতার জন্য কাজ করতে পারি নি।অনেক ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 53929.89
ETH 2263.00
USDT 1.00
SBD 2.35