পাঁচশত কোটি টাকার বাড়ি দর্শন
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগবাসি কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কিছু মূহুর্ত শেয়ার করব।
শুক্রবারে দিনটা তো আমরা সবাই মোটামুটি একটু ফ্রি থাকি। জাহিরার বাবারা অফিস নেই।জাহিরার স্কুল নেই। আর ওদের ছুটি মানে আমারও ছুটি। গত শুক্রবার সকালে নাস্তা শেষে সবাই টিভি দেখছিলাম। এমন সময় মনে হল কোথাও একটু ঘুরতে যাই।তো কোথায় ঘুরতে যাব কিছুই ঠিক নেই কিন্তু অনেকদিন ধরে আমি একটা জায়গায় ঘুরতে যেতে চাচ্ছিলাম। যেটা আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয়।একটা বাড়ি যে বাড়িটা তৈরি করতে পাঁচশত কোটি টাকা খরচ হয়েছে। অনেকেই দেখতে যায়।এজন্য আমারও দেখার খুব আগ্রহ ছিল। যদিও ওই বাড়িটা ছাড়া ওখানে আর কিছুই দেখার নেই।
আমার কথা শুনে জাহিরের বাবা ও রাজি হয়ে গেল। তাই আর খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা না করে তিনজনে ঝটপট রেডি হয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের বাসা থেকে যেতে প্রায় ৪৫ মিনিটের মত সময় লাগে। পাকুরতলা নামে একটা জায়গায় যেটা বগুড়ার মধ্যে পড়ে সেখান থেকে গ্রামের ভিতরে কাঁচা রাস্তায় প্রায় দুই কিলোমিটার যেতে হয়।আমি শুধু ভাবছি প্রথম তো এই গ্রামের ভিতরে কিভাবে বাড়িটি তৈরি করেছে। কারণ বাড়িতে তৈরি করতে যে ইট বালি সিমেন্ট লেগেছে সেগুলো আনতেও তো অনেক কষ্ট হয়েছে।
পাঁচশত কোটি টাকা হয়তো আমরা একসাথে বলছি তাই কিছু মনে হচ্ছে না। কিন্তু চিন্তা করে দেখলে মনে হয় যে এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকাও হয়তো আমরা সারাজীবন কষ্ট করলেও উপার্জন করতে পারবোনা। বাড়িটির ভিতরে যে একটু খারাপ লাগলো এই কারণে যে বাড়িটাকে শুধু বাইরে থেকে দেখতে হবে ভিতরে ঢোকার আর অনুমতি নেই। কারণ অনেকেই নাকি বাড়ির ভিতরে ঢুকে অনেক কিছু নষ্ট করেছে।
আশেপাশের লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করে যতটুকু জানতে পারলাম বাড়িতে প্রায় ১০ বিঘা জমির উপরে তৈরি করেছে।অনেকেই হয়তো বলতে পারেন টাকার অংক দিয়ে বাড়ির নাম বাড়ির কি আর নিজের নাম নেই। আসলে বাড়িটি পাঁচশত কোটি টাকা বাড়ি নামে পরিচিত। তাই আমিও সেটাই নামেই জানি।
সবার দেখার জন্য মোটামুটি দুইটি বড় গেট খোলা ছিল। কিন্তু বাড়ির ভিতরে ঢোকার জন্য যে গেট গুলো সেগুলো তালা বন্ধ করা ছিল।বাইরে থেকে যতটুকু দেখা যায় তার পুরোটাই দেখার চেষ্টা করেছি। দেখতে দেখতে অনেকটা বাড়ির পিছনে দিকেও চলে গিয়েছিলাম। পিছন সাইডটা অনেকটাই ময়লা হয়ে গেছে। অনেক গাছের ডালপালা দিয়ে জমে গেছে। আর পিছন সাইটে অনেকটাই বাশঁঝাড় দিয়ে ভরা দেখলাম। মিস্ত্রিতে থাকার জন্য অনেকগুলো ঘর তৈরি করা আছে। যেখানে বাড়ি তৈরির সময় তারা ছিল।
ছবি দেখে অনেকেই বুঝতে পারছেন পুকুরপাড় দুটো খুব সুন্দর করে বাঁধানো। সেখানে বসে সময় কাটানোর জন্য অনেক সুন্দর করে ব্যবস্থা করা আছে। এবং বাড়ির অনেক পাশেই দেখলাম নিজেদের সময় কাটানোর জন্য বসার সুন্দর ব্যবস্থা করেছে।
পানির ভিতরেও অনেক নিচে থেকে দেখলাম কয়েকটি বক বানানো আছে। তবে অনেক কাজই মনে হচ্ছে বাকি আছে। আবার অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। যেমন দর্শনের জন্য অনেক পশুপাখি বানানো হয়েছিল সেগুলো নষ্ট হয়েছে।সঠিক পরিচর্যার দ অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ভিতরে ঢোকার অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু ভিতরে ঢোকার কোন অনুমতি নেই।বাইরে থেকে দেখে অনেকটা ভালো লাগলো। এতোটুকু ভালো লাগা নিয়ে চলে যাব। যতটুকু জানতে পারলাম বাড়ি যিনি করেছেন তাদের পরিবারের লোকজন মাঝে মাঝে এখানে এসে থাকেন।ভিতরে যেতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো।তা হবার নয়।তাই আর বেশি দেরি না করে আমরা বাসায় চলে আসি।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও নতুন কিছু নিয়ে দেখা হবে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
শুনে তো সত্যি অনেক অবাক হলাম আপু ৷ পাচঁশত কোটি টাকার বাড়ি ৷ আর ১০ বিঘা জমির উপর এ বাড়ি ৷ আসলেই এতো বিশাল বাড়ির রুপ সৌন্দর্য সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে ৷ কে বানিয়েছে কবে বানিয়েছে কিছু জানেন না ৷
যা হোক পরিবার নিয়ে বাইকে করে এতো বড় বাড়ি দেখার জন্য গিয়েছেন ৷ সাথে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ৷ অনেক ধন্যবাদ অনেক ভালো লাগলো ৷
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টের টাইটেল দেখে পোস্টটা পড়ার খুব ইচ্ছে হলো। পাঁচশত কোটি টাকার বাড়ি দর্শন আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন আপু আপনি পাঁচ ভাগের এক ভাগও কখনো আমরা উপার্জন করতে পারবোনা। আমি আরো অবাক হয়েছি দশ বিঘা জমির উপরে বাড়ি। যাই হোক এত সুন্দর ভাবে পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রথমে আপনার পোষ্টের টাইটেল দেখে পুরো বিষয়টি জানতে চলে আসলাম। প্রথমে গেইটের সৌন্দর্য দেখলেই বোঝা যায় যে এখানে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাছাড়া বাড়ি গুলোর কাজ একদম রাজপ্রাসাদের মত নিখুঁতভাবে করা হয়েছে। হ্যাঁ এটা সত্য যে আমরা সারা জীবন পরিশ্রম করেও এই পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকা ইনকাম করতে পারবোনা। তাছাড়া দশ বিঘা জমির উপরে এমন একটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করতে গেলে পাঁচ শত কোটি টাকা তো খরচ হতেই পারে। তবে সবশেষে নামটা কেমন যেন ভিন্ন রকম মনে হয়েছে।
নামটা আসলেই ভিন্ন ভাইয়া।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পাঁচশত কোটি টাকা ভাবতেই শরীরের মধ্যে কেমন জানি লাগছে। মানুষের শখের কাছে টাকার কোন মূল্য নেই তাই উনি এইরকম একটা গ্রামের মধ্যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সুন্দর বাড়িটি তৈরি করেছেন। অনেক গল্প শুনেছি কিন্তু এখনো দেখতে যাওয়া হয়নি। ভাবি আপনি দেখে আসছেন ভালোই করেছেন ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে ঘোরার অনেক আনন্দ আছে।আপনাদের কে অনেক সুন্দর লাগছে।সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাবি।
দেখতে গেলে ভালো লাগবে বৌদি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কিছু মানুষ নুন আনতে পান্তা ফুরায় আবার কিছু মানুষ ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করে। আপনি ঠিকই বলেছেন ৫০০ কোটি টাকা শুনতে হয়তো কিছুই নয় কিন্তু বাস্তবে এটা কত টাকা তা অনুভব করা কষ্টকর। ধন্যবাদ বাড়িটি দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলছেন ভাইয়া মানুষ টাকা ইনকাম করতে কষ্ট হয়। আর আমরা টাকার হিসাব করতে চিন্তা করতে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাঁচ শত কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি ভাবতেও অবাক লাগছে তাও আবার গ্রামে। বাড়ির বাহির থেকে দেখতে ভালো মনে হচ্ছে, ভিতরে দেখতে পারলে আরো ভাল লাগত। আপনি কিছু নিদর্শন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট। ধন্যবাদ আপু।
বাড়ি র ভিতরে ঢোকার অনুৃমতি ছিল না ভাইয়া।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।