মেহমানদারির কিছু মূহুর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো,

বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ ভেবে পাচ্ছিলাম না কি পোস্ট করব। পরে ভেবে দেখলাম কয়েকদিন আগে আমার বাসায় কয়েকজন কে আমার বাসায় দাওয়াত করেছিলাম।সেই দিনের কিছু মূহুর্ত আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।


GridArt_20221111_190805312.jpg

বেশ কিছু দিন আগে জাহিরার বাবা আমার হাজবেন্ড এর অফিসে খুব অল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম। তখন ওর কয়েকজন সহকর্মীর সাথে দেখা হয়েছিল।তা মধ্যে একজন সহকর্মীর সঙ্গে কথা হওয়ার পরে জানতে পারলাম যে তিনি সন্তানসম্ভাবা।ওনার এটা দ্বিতীয় বেবি হবে।একজন তিন বছরের ছেলে আছে ওনার।

IMG_20221109_141359.jpg

চাকুরিজীবী মেয়েদের এই সময়টা অনেক কষ্টে কাটে।ওনার বাবা মা রংপুরে থাকেন।আর উনি শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।ডাক্তার ওই আপুকে জার্নি করতে নিষেধ করেছেন।তাই বাবার বাড়িতে ও যেতে পাচ্ছেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।আর এ সময় তো বাবা মা র কাছে থাকতে ইচ্ছে করে। অন্যের হাতের খাবার খেতেও ভালো লাগে।

আপুর কথ গুলো শুনে খারাপ লাগছিল। তাই বলেছিলাম আমার বাসায় যদি একবেলা খেতেন তাহলে খুশি হতাম।আমি প্রস্তাব দেওয়ার সাথে সাথে রাজি হয়েছিলেন।উনি বলেছিলেন ঝাল খেতে ভালো লাগে।

তাই আমিও চেষ্টা করেছিলাম ঝাল ও মুখরোচক কিছু খাবার রান্না করতে। আমি চাচ্ছিলাম যে একবেলা হলেও তার মনের মতো খাবার খাওয়াতে।তাই অনেক ভাবনা চিন্তা করে রান্না করেছিলাম।এ সময় তো অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়।অনেক কিছু ইচ্ছা করলেও খাওয়াতে পারি নি।

আপুদেরকে আমি দুপুরে খেতে বলেছিলাম।দুপুরে খাওয়াতে হলে অনেকটা সকাল সকাল রান্না শুরু করতে হয়েছিল। কারন ওনারা দুপুর ২ টার মধ্যে চলে আসবে।আর আমাকের একলা হাতে সব রান্না করতে হবে।

সকালের নাশতা শেষে ফ্রিজ থেকে মাছ,মাংস গুলো বের করে রেখেছিলাম।এরপর শুরু রান্নার তোড়জোর।অবশেষে ঠিক সময়ের আগে রান্না শেষ করতে পেরেছিলাম।এরপর আমি ফ্রেশ হয়ে আসার পর টেবিল রেডি করেছিলাম।

তার কিছু সময় পর আমার হাজবেন্ড সহ সবাই চলে এসেছিল।কয়েক রকমের মিষ্টি আর আমার মেয়ের জন্য চকলেট চিপস এনেছিল।আমার মেয়ে চকলেট চিপস পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিল।

যেহেতু দুপুর বেলার খাবার তাই আসার পরপরে খেতে দিয়েছিলাম। আমি বকের মাংস, হাঁসের মাংস, খাসির মাংস রান্না করেছিলাম।তার সাথে ধনে পাতা ভর্তা,শুটকি ভর্তা,সালাদ,বেগুন ভাজি, চিংড়ি মাছ ভুনা করেছিলাম।সাথে সাদা ভাত ও সাদা পোলাও করেছিলাম।

সব চেয়ে ভালো লেগেছিল ওনারা খাবার গুলো খেয়ে খুশি হয়েছিল।খাওয়া দাওয়া শেষে অনেক গল্প করেছিলাম।খুব ভালো সময় কেটেছিল।যেহেতু আপুদের সবার বাসায় ছোট বেবি ছিল তাই বেশি দেরি না করে চলে যেতে হয়েছিল।যাওয়ার সময় খারাপ লাগছিল। তবে সবাই কথা দিয়েছে যে আবারও ওনারা আবারও আসবেন।সেটা শুনে একটু ভালো লাগছিল।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।পরবর্তীতে আবার দেখা হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  
 2 years ago 

এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন চাকরিজীবী মেয়েদের একটু কষ্টের মধ্যে সময় পার করতে হয়।

মেহমানদারী করার জন্য দেখছি আপনি দারুন কিছু লোভনীয় খাবার রান্না করেছেন আপু। খাবারগুলো দেখে তো এখনই আমার ইচ্ছা হচ্ছে আপনার বাড়িতে চলে আসি মেহমান হয়ে।

 2 years ago 

চলে আসেন ভাইয়া খুশি হবো।আপনার খেতে ইচ্ছা করছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।

 2 years ago 

বাহ আপু আপনি একা হাতে বেশ কিছু রান্নার আয়োজন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো । আসলে কাউকে খাওয়াতে পারলে নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে । আর একজন সন্তান সম্ভাবনা মেহমান কে খাওয়াতে পেরে তো আপনার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে আপনার লেখাটা পড়ে যা মনে হল । খাবারের ছবিগুলো বেশ লোভনীয় ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ।

 2 years ago 

অতিথি আপ্যায়ন করতে আমার ও খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

বাহ আপু আপনি মেহমানদের জন্য তো প্রচুর রান্না করেছেন। সব ভালো ভালো রান্না করেছেন। আমি বকের মাংস কখনো খাইনি। এখানে বক শিকার যদিও নিষিদ্ধ। আপনার মেহমানরা নিশ্চয়ই খুব তৃপ্তি পেয়েছে সব খেয়ে। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

বকের মাংস খুব বেশি পাওয়া যায় না। তবে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার পরিকল্পনাটা খুব ভাল ছিল আপু অনেক ভালো লাগলো।এরকম কাউকে খাওয়াতে পারলে আমার খুব ভালো লাগে।আপনি অনেক গুলো ঝাল ঝাল মজার খাবারের আয়োজন করেছেন।খাবারের আইটেম গুলো দেখে আমার খাবারের প্রতি লোভ বেড়ে গেল আপু।

 2 years ago 

এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

ওয়াও! আপু মেহমানদারী করার জন্য দেখছি আপনি দারুন কিছু লোভনীয় খাবার রান্না করেছেন। খাবারগুলো দেখে তো এখনই আমার ইচ্ছা হচ্ছে আপনার বাড়িতে চলে আসি মেহমান হয়ে। হয়তো দেখবেন যে কোন একদিন হাজির হয়ে গিয়েছি। আমি শুনেছি মেহমানদেরকে খাওয়ালে নাকি খাবারে বরকত হয়।

 2 years ago 

বাসায় আসলে খুব খুশি হব ভাইয়া।মেহমান বাসায় আসলে বরকত হয়।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আসলে আপু ঠিকই বলেছেন চাকরিজীবী মেয়েদের এই সময়টা অনেক কষ্ট করে কাটাতে হয়। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো আপনি যখন ওনাদেরকে নিজের বাসায় খাওয়ার জন্য বলেছিলেন। যদিও আপনি একা হাতের সবকিছুই তৈরি করলেন। বেশ অনেকগুলো আইটেম করেছেন দেখছি। সবগুলো আইটেম একা হাতে করেছেন বলে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া ওনারাও খুব পছন্দ করেছে খেতে। তাছাড়া, এই সময়টা একটু ঝাল খাবার বেশি ভালো লাগে। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে।

 2 years ago 

মেহমানরা খেয়ে খুশি হলে ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 60704.11
ETH 2452.38
USDT 1.00
SBD 2.62