শানিতের দুই মাস পূর্ণ হলো
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগবাসী কেমন আছেন সবাই? আশা করি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। অনেকটা শীত পড়ে গেছে আর এই শীতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকতেই দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায়। প্রথমে বলে নেই শানিত হলো আমার ছেলে। যার বয়স মাত্র দুই মাস পূর্ণ হলো।
উপরের ছবিটি শানিতের। ওর তিনদিন বয়সের ছবি এটি।যখন ওর নাম রাখাই হয়নি। হসপিটালে থাকার সময় ছবিটি তুলেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করাই হয়নি। আসলে ছোট বাচ্চা নিয়ে সবসময় নানা রকম ব্যস্ততার মধ্যে সময় কেটে যায়। এজন্য নিয়মিত পোস্ট লিখতে পারি না। ঠিকঠাক মতো কাজও করতে পারি না। যাই চেষ্টা করছি সবকিছু সামলানোর। সানিত আমার দ্বিতীয় সন্তান প্রথম জাহিরা যাকে নিয়ে আমি অনেক পোস্ট লিখেছি আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন।
সন্তান জন্মের সাথে সাথে একজন মায়ের ও নতুন করে জন্ম হয়। আমার দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। জাহিরা সব সময় অন্যের বাচ্চা দেখলে আদর করতে চাইতো। সবসময় চাইতেও ওর যেন একজন ভাই হয়। মহান আল্লাহতায়ালা ওর সে কথা শুনেছেন। ওর মনের আশা পূর্ণ করেছেন। জাহিরা কে একজন ভাই দান করেছেন। ওর ভাইকে এত বেশি পছন্দ এত বেশি ভালোবাসে যা বলে বোঝানো যাবে না। সানিত একটু কান্না করলে ও তার সাথে সাথে দৌড়ে চলে যায় আমার চেয়ে যেন বেশি কেয়ার করে।আমি তো হসপিটালে শানিতের জন্মের সময় ভাবতাম জাহিরা কিভাবে একা একা থাকবে। ও কার কাছে থাকবে ওকে নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তায় করতাম। কিন্তু আমার সব চিন্তা দূর করেছে জাহিরা নিজেই। আমার মায়ের সাথে হসপিটালে থাকার চারটি দিন ও আমার সাথে থেকেছে এবং শানিতের সাথে ঘুমিয়েছে। ভাইকে ছেড়ে সে কোথাও যাবেনা।উপরের ছবি টি হসপিটাল থেকে বাসায় আসার পরে তুলেছিলাম। জাহিরার ইচ্ছা ছিল দুজনেই ম্যাচিং ম্যাচিং ড্রেস পরবে।তাই একই কালারের ড্রেস পরে ছবি তুলেছিলাম।
২৬ দিন হওয়ার পর শানিতকে নিয়ে আমরা গোবিন্দগঞ্জ বাসায় চলে আসি। এখানে আসার পর সানিতের আরো এক বোন শানিতকে অনেক বেশি ভালোবাসে সে হলো ওর অর্থী।বৌদির ছোট মেয়ে।যাকে পেলে শানিত অনেক বেশি খুশি হয়।শানিতকে সবসময় সঙ্গ দেয়।ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ দু মাস পূর্ণ হয়েছে। সানিতে দুমাস পূর্ণ হওয়ার দিন বাসায় ছোটখাটো খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। আমি একা একাই সানিতকে সামলাই। এজন্য বেশি কিছু রান্না করতে পারেনি।
সানিতের দুমাস পূর্ণ হওয়ার দিন অর্থী ঐশী শানিতের কিছু ছবি তুলে নিয়েছে।আমার বাসার সবাই রোস্ট খুব পছন্দ করে। তাই আমি সকাল সকাল রোস্টটা বানিয়ে নিয়েছি। আর বাকিগুলো একটু পরে রান্না করলেও সমস্যা নেই। শানিত খন ঘুমায় তার ফাঁকে ফাঁকে আমি রান্না করি। কারণ ও জেগে থাকলে ওর কাছে সব সময় থাকতে হয়। না হলেও ভয় পায় । দুপর বেলা সবাই মিলে এক সাথে খেয়ছি।
কথায় কথায় ভুলে গেছি শানিতের পুরো নাম শামিয়েল ইশমাম শানিত।ওর বাবা রেখে নামটা।কেমন হয়েছে নামটা জানাবেন।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন শাড়িতে দুই মাস পূর্ণ হওয়ায় বাসায় খাবারের আয়োজন করেছেন এবং খুব সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন যেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট টি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আপনার সন্তান শানিতের বয়স দুই মাস পূর্ণ হলো জেনে ভালো লাগলো আপু। আপনার মেয়ে দেখছি ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে বেশ খুশি। সানিতের নামটা সানিতের বাবা রেখেছে এটা জেনে খুশি হলাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
শানিতের নামটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
তাই তো বলি আপনার দেখা নাই কেন।যাইহোক বাবু যদি একদম ছোট হয় তাহলে তাকে নিয়ে হাজারও ব্যস্ততা থাকে।আবার জাহিরা আছে, সাথে ফ্যামিলি।সবকিছু সামলে কাজ করাটা কতটা কষ্টকর সেটা আমি বুঝি।কারণ আমারও এমন সময় গিয়েছে,এদিক সামলাতে গিয়ে ওদিকে হয় না।যাইহোক শানিতের নামটা কিন্তু খুব সুন্দর। আর ওর জন্য অনেক দোয়া রইলো,যেন সুস্থ থাকে।
একজন মা ই বোঝে বাচ্চা সামলানো কতটা কঠিন।আর তা যদি হয় একা তাহলে নিঃশাস নেওয়ার ও সময় থাকে না।অনেক ধন্যবাদ আপু আমাকে বোঝার জন্য।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।