রুই মাছের দোপেয়াজা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আমার বাংলায় ব্লগের সকলকে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমি আমার আজকের ব্লগটি শুরু করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে রুই মাছের রেসিপিটি শেয়ার করব।
আমাদের সুস্থ শরীরের জন্য যেমন ছোট মাছ খাওয়া জরুরী তেমনি বড় মাছ খাওয়াও জরুরী।আর আমার বাসায় তো ছোট মেয়ে ও ছোট মাছ খেতে পারেনা। তাই ওর জন্য মাঝে মাঝে বড় মাছ রান্না করতে হয়।আমি কিভাবে বাসায় রুই মাছের দোপেয়াজা বানাই সেটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
উপকরণ সমূহ
- রুইমাছ
- পেঁয়াজ কুচি
- মরিচ কুচি
- মরিচ বাটা
- জিরা বাটা
- লবণ
- হলুদ
ধাপ-১
- প্রথমে রুই মাছ গুলো লবণ,হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
- এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে লবন হলো দিয়ে মেখে রাখার রুই মাছ গুলো দিয়েছি ভাজার জন্য।
ধাপ-৩
- রুই মাছের দুই পাশ ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৪
- এরপর মাছ ভাজার তেলের মধ্যে পেয়াজকুচি দিয়েছি
ধাপ-৫
- পেঁয়াজ ভজা হয়ে এলে তাতে সব মশলাগুলো দিয়ে
কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
- এবার ঝোলের জন্য পানি দিয়েছি।
ধাপ-৭
- এরপর ঝোল ফুটতে শুরু করলে তাতে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়েছি।ঝোল কিছুটা কমে এলে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
- এবার আমার রুই মাছের দোপেয়াজা পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
রুই মাছের দোপেয়াজা খেতে দারুণ লাগে।আর হ্যা সুস্থ থাকার জন্য ছোট মাছ যেমন প্রয়োজন তেমনি বড় মাছ ও দরকার।আপু বেশ মজা করেই রুই মাছের দোপেয়াজা তৈরি করেছেন।বেশ আর্কষনীয় লাগছে।এই রকম দোপেয়াজা দিয়ে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপু এ রকম দোপেয়াজা হলে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়।সুন্দর মন্তব্যের অনেক ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলছেন,শরীরের জন্য ছোট,বড় সব মাছ খাওয়া দরকার।আমিও তরকারি রান্না করলে আপনার মত ছোট মাছ আর বড় মাছ দুইটা রান্না করতে হয়।আমার মেয়েরা ও ছোট মাছ খেতে পারেনা।আপনার রেসিপি খুব সুন্দর হয়েছে।দোপেয়াজা গরম ভাতে খেতে অনেক স্বাদ লাগে।
জ্বি ভাইয়া খেতে সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আমার মন্তব্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
রুই মাছের দোপেয়াজা ওহ দেখে তো জিভে জল টলমল করছে ৷ সত্যি আপু মাঝে মাঝে ছোট মাছ খেতে ভালো লাগলেও বড় মাছও কিন্তু খারাপ না ৷ বিশেষ করে বড় মাছের ঝোল সত্যি দারুন লাগে ৷ আপনি আপনার মেয়ের জন্য রুই মাছের দোপেয়াজা করেছেন দেখে ভালো লাগলো ৷ খুব সুন্দর ছিল রেসেপি টি ৷
অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপু রুই মাছের দুটো যে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু আপনার অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে রুই মাছের ধুপিয়াদাটা তুলে ধরেছেন। যা আমার দেখেই খেতে মন চাচ্ছে।
আমার রেসিপি দেখে আপনার খেতে ইচ্ছা করছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।
ছোট বাচ্চারা ছোট মাছ খেতে পারেনা কাঁটার ভয়ে, তাই ওদের জন্য রুইমাছ একদম পারফেক্ট। রুই মাছের কাঁটা কম থাকার কারনে খেতে সুবিধা হয়। ভাবি রুই মাছের দোপেয়াজা খেতে অনেক ভালো লাগে আমার আমি মাঝে মাঝেই এভাবে দোপেয়াজা রান্না করি তবে কখনো কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে রান্না করা হয়নি। কাঁচা মরিচের স্বাদ অনেক ভালো লাগে এরপর থেকে আমিও কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে রান্না করবো। ভাবি রেসিপি টি খুবই সুন্দর হয়েছে আর আপনার উপস্থাপনাও অনেক ভালো ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
বৌদি কাঁচা মরিচ বাটা দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। একদিন রান্না করে খেতে পারেন।অনেক ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপুর রুই মাছের দোপেয়াজা রেসিপি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। তবে আপু আমি যে কোন দোপেয়াজার রেসিপিতে রান্না শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বড় বড় করে কিছু পেঁয়াজ দিয়ে দিই তাহলে রেসিপিটি দেখতে সুন্দর লাগে এবং খেতেও একটু ভালো লাগে। আমি যতটুকু জানি সেটাকেই দো পেয়েজা বলে থাকি।
আপনার টিপসটি অবশ্যই পরবর্তীতে মাথায় রাখব।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার রুই মাছের দোপেয়াজা রেসিপিদেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তবে আপনার দোপেয়াজা রান্না ধরনটা একটু অন্যরকম ছিল। তবে রান্নার ধরন যেরকমই হোক না কেন খেতে সুস্বাদু হলেই হয়। এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
মাছের কাঁটার জন্য ছোট সদস্যদের ছোট মাছ না খাওয়ানো টাই ঠিক। এবং বাচ্চারা আবার বড় মাছ বেশ পছন্দ করে। রুই মাছের দোঁপেয়াজা রেসিপি টা সুন্দর তৈরি করেছেন আপু। রেসিপি টা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
এজন্যই আমার মেয়েকে বড় মাছ খাওয়াই।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।