নানুর বাড়ির পিঠাপুলি
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবা? আশা করি সবাই সুস্থ আছে। ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ সকলকে নিয়ে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে আবার নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নানা বাড়িতে গেলেও খুব কম সময়ের জন্য নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম প্রায় ২৮ ঘণ্টার মতো হবে সব মিলিয়। আগের দিন যে সময় গিয়েছিলাম পরের দিন তার চেয়ে একটু বেশি সময় থেকেই চলে এসেছি। আমার আবার গোবিন্দগঞ্জ আসার তারা ছি।। আর আমার আম্মু বেশিক্ষণ বাড়ি ছাড়া যে থাকতে পারেনা। বাসায় সব একা পড়ে থাক। এজন্য তাড়াতাড়ি চলে আসতে হয়েছিল। যদি অল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলাম সব প্ল্যান ঠিক করে ছিল যেদিন যাব সেদিনই পিঠা বানানো হবে। আমার নানির অনেক বয়স হয়ে গেছে।এখন আর ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে না। কিন্তু তারপর তার সব মেয়ে নাতি জামাই নাতনি সবাই আসবে তার বাসায় হৈচৈ করবে সে কিছু করতে না পারো দুচোখ মেলে শুধু দেখবে এটাতেই তার আনন্দ।
আমি আমার বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে না যেতে পারলে অন্য সবাই নানী দাওয়াত করলে চলে যায়। নানি বছরে দু-তিনবার এভাবে সবাইকে দাওয়াত করে। পিঠা সময় পিঠা ঈদের সময় খাওয়াবে আমের সময় খাওয়াবে এরকম বিভিন্ন সময় নানি সবাইকে দাওয়াত করে আর সবাই মোটামুটি যাওয়ার চেষ্টা করে না হলে তোর নানি মন খারাপ করবে। এবারও নানী অনেকদিন থেকেই বলছিল নানু বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আমার ছোট বেবি ছিল আর আম্মু বিভিন্ন কারণে যেতে চাচ্ছিল ন। কিন্তু নানীর রিকোয়েস্টে সবাই যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। আর আমারও খুব যেতে ইচ্ছে করছিল অনেকদিন তো নানি বাড়ি যাওয়া হয় না। ছোটবেলায় তো নানি বাড়ি যাওয়ার কথা শুনলে মনে হয় ঈদের মতো খুশি হয়ে যেতাম কখন যাবো কখন যাবো। আমার নানু বাড়িতে যাওয়ার জন্য খুব খুব করে বলে । তার বড় মার বাড়ি তার অনেক পছন্দের।
বিকেল হতে হতেই সবাই চলে এসেছিল।। আর আপনাদের সাথে তো শেয়ার করেছি আমরা প্রথম এসে বিকেলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তারপর এসে পিঠা বানানোর কার্যক্রম শুর। যদি আমি অন্য রান্না করলেও পিঠা বানাতে খুব ভয় পাই। কেন যেন মনে হয় পিঠা ভালো হবে না হয়তো মনের মত হবে না। এজন্য সাহস করে বানাতেও বসি না তেমন। তবে এবার আম্মুর সাহসে বানাতে বসে ছিলাম। সবাই বলছিল সবার চেয়ে নাকি আমার পিঠাগুলোই বেশি সুন্দর হচ্ছিল। বিশেষ করে পুলি পিঠা সবার হাতে সুন্দর হয় না।
অন্য পিঠা মাঝেমধ্যে খাওয়া হলেও পুলি পিঠা নানা বাড়ি ছাড়া খাওয়া হয় না। কারণ এই পিঠাটা নানা বাড়ি গেলে শুধু বানানো হয়। অনেকটা রাত জুড়ে সবাই পিঠা বানানো হলো। অনেক গল্প আড্ডা দিয়ে রাতে খাওয়া শেষে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আবার অনেকগুলো পিঠা সকালেও বানানো হয়েছিল। যে পিঠাগুলো তেলে ভাজা হবে সেগুলো সকালে বানানো হয়েছিল।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
নানুর বাড়ির পিঠাপুলি যাক বেশি ভালোই লাগতেছে। নানুর বাড়িতে পিঠাপুলি খেতে গিয়েছেন। ভালো লাগলো মুহূর্তগুলো পড়ে। বেশ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে নানা বাড়িতে গিয়ে এ ধরনের মজার মজার শীতকালীন পিঠা খাওয়ার মধ্যে রয়েছে এক অনাবিল আনন্দ। অত্যন্ত সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং পিঠা খাওয়ার চমৎকার অনুভূতি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আমার পোস্ট টি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। শীতের সময় পিঠা পুলি খেতে এমনিতে ভালো লাগে। নানুর বাড়ির পিঠা হলে তো কথাই নেই। আপনার পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত গুলো পড়ে আমারও নানুর বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে। ধন্যবাদ আপনাকে পিঠা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ছোটবেলায় নানুর বাড়ি যাওয়ার অনুভূতিটা বর্তমান সময়ে সেটা পাইনা। শীতকাল আসলেই পিঠা খাওয়ার জন্য নানুর বাড়িতে যাওয়া যেটা এখন মিস করি। অল্প সময় হলেও আপনি নানুর বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়েছেন। খুবই সুন্দর মুহূর্ত ছিল এরকম দিন আবার ফিরে আসুক সেটাই কামনা করি।
এমন দিন বার বার ফিরে আসলেই ভালো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সবাই একত্রে মিলে খুব সুন্দর সুন্দর পিঠা তৈরি করছেন দেখছি। এমনিতেই পিঠা আমার খুবই প্রিয়। বিশেষ করে শীতের দিনে এমন পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। বেশি লোভনীয় সব রেসিপি তৈরি করা হচ্ছে।
আপনি পিঠা খেতে পছন্দ করেন জেনে খুশি হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আহারে আমাদের নানু যদি জীবিত থাকতো তাহলে আমাদেরকে বছরের ২-৩ বার যাওয়ার জন্য দাওয়াত করত। যাহোক নানুর রিকোয়েস্টে নানুর বাড়িতে গেলেন। আসলে মুরুব্বীগণ যদি থাকে তাহলে নাতি নাতনিদের জন্য অনেক ভালো হয়। যদিও আপনি বেশি কম ছিলেন না ২৮ ঘন্টার মত ছিলেন। তবে নানুর বাড়িতে খুব মজা করে পিঠাপুলি খেলেন। আর আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালোই সময় কাটিয়েছেন। নানুর বাড়িতে পুলি পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।