আলু দিয়ে ছোট বাটা মাছ চচ্চড়ি||১০% বেনিফিশিয়ারি @ shy-fox এর জন্য||
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজও নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আলু দিয়ে ছোট বাটা মাছ চচ্চড়ি।
বাটা মাছ আমার খুবই পছন্দের। বাটা মাছ ভর্তা, ভাজি, ভুনা সবই খাওয়া যায়।আজ আমি আলু দিয়ে ছোট বাটা মাছ চচ্চড়ি করেছি।গরম ভাতের সাথে ছোট বাটা মাছ আর মসুর ডাল হলে আর কিছু চাই না।আমি কিভাবে আলু দিয়ে ছোট বাটা মাছ চচ্চড়ি করেছি সেটা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
- ছোট বাটা মাছ
- আলু
- তেল
- পেয়াজ
- মরিচ
- জিরা বাটা
- লবণ
- হলুদ
প্রথম ধাপ
- প্রথমে মাছ গুলোকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
- প্যানে তেল গরম করে তাতে পেয়াজ মরিচ কুচি দিয়েছি ভাজার জন্য।
তৃতীয় ধাপ
- পেয়াজ মরিচ হালকা ভাজা হলে তাতে লবণ,হলুদ ও জিরা বাটা দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
- এরপর অল্প পানি দিয়ে মশলাগুলো কষিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
- এ পর্যায়ে মশলা কষানো হয়ে এলে তাতে ধুয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ ধাপ
- এবার কুচি করে রাখ আলু গুলো দিয়ে হালকা নেড়ে দিয়েছি।
- আলু সিদ্ধ হয়ে এলে ঝোল কমে এলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
পরিবেশন
- সবশেষে একটি পরিষ্কার বাটিতে ঢেলে শশা দিয়ে পরিবেশন করেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আপনাদের কাছে কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন অবশ্যই।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
বাটা মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। আমি বাটা মাছ দিয়ে তরকারি খেয়েছি, ভুনা খেয়েছি কিন্তু কখনো চচ্চড়ি খাওয়া হয়নি। আমি এত ছোট বাটা মাছ কখনো দেখিনি। যেকোনো ছোট মাছ খুবই সুস্বাদু হয়। আপনার রান্নার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির ছবি এবং বর্ণনা ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রেসিপি টি সুস্বাদু হয়েছিল। একদিন বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ।
বাটা মাছের ভর্তা, ভাজি খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। তবে এভাবে আলু দিয়ে কখনো চচ্চড়ি করিনি। আলু দিয়ে এভাবে চচ্চড়ি করলে খেতে নিশ্চয়ই ভালো লাগে। আমি এরপর অবশ্যই একদিন এভাবে খেয়ে দেখব আপু। দারুন লোভনীয় ছিল এই রেসিপি।
আলু চিকন করে কেটে চচ্চড়ি খেতে খুব ভালো লাগে আপু। একদিন খেয়ে দেখবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আলু দিয়ে ছোট বাটা মাছ এর চচ্চড়ি বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে মনে হয় একটু ঝাল দিয়ে করলে অনেক বেশি সুস্বাদু হত। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
ঝাল হলে খেতে ভালো লাগে।কিন্তু আমার আ্যসিডিটির সমস্যা আছে। তাই বেশি ঝাল দেই নি।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা ঠিক বলেছেন আ্যসিডিটির কারণে অনেকেই মজা করে খেতে পারে না।ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
বাহিরে থাকার কারণে ছোট মাছ খুব একটা খাওয়া হয়না। ছোট মাছ আমার অনেক পছন্দের। বিশেষ করে ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনার চচ্চড়ি রান্নার দেখে তো জিহ্বা দিয়ে পানি চলে আসলো।এই মাছের ভর্তা খেতেও সুস্বাদু। পরিবেশনা থেকে শুরু করে সবকিছুই পারফেক্ট ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মাছ ভর্তা এবং মাছ ভাজি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে খেতে।। তবে এরকমভাবে আলো দিয়ে চচ্চড়ি করলেও খারাপ লাগে না।।
লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
বাটা মাছের আলু চচ্চড়ি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু বাটা মাছ আমার খুব একটা পছন্দ না, কারণ বাটা মাছ আমার কাছে অনেক বেশি কাটা কাটা লাগে। কিন্তু আমার আম্মুর অনেক পছন্দ প্রায় সময় আপু বাটা মাছ নিয়ে আসে। তবে এত ছোট বাটা মাছের চচ্চড়ি কখনো খাইনি। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।
খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগে । সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আলু দিয়ে ছোট যে কোন মাছের চচ্চড়ি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যদিও আমি কখনো এমন ছোট বাটা মাছের চচ্চড়ি খাইনি। সব সময় নদীর কাচকি মাছের চচ্চড়ি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আলু কুচিয়ে টমেটো দিয়ে আম্মু যে চচ্চড়ি করে ওটা খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
কাচকি মাছের চচ্চড়ি আমার ভলো লাগে।টমেটো দিয়ে খেতে আরও ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
এই ধরনের মাছগুলো ভেজে খেতেই আমার কাছে বেশি ভালো লাগে।তবে চচ্চড়িতেও খারাপ লাগেনা।
এর সাথে যদি মশুরের ডাল থাকে, তাহলে আর কথাই নেই।
খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন সম্পূর্ণ রেসিপিটি।শুভ কামনা রইলো ❤️
আমি আজ এই চচ্চড়ির সাথে মসুরের ডাল ও রান্না করেছিলাম। দারুণ লেগেছে খেতে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
।
খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে আলু দিয়ে এভাবে ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে দারুণ লাগে। গরম ভাতের সাথে এই রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটি খুব ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।