মায়ের স্বপ্নজয়ী কন্যা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম নতুন এটি ব্লগ নিয়ে। আশা করে আজকে ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

এর আগে গত কয়েকটি পোস্টে আমি অর্থীর ন্যাশনালে কম্পিটিশনে উইনার হওয়ার সমস্ত কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব উইনার হওয়ার জন্য যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল তার কিছু মুহূর্ত।

গত ১৮ তারিখ অর্থীর কোচিং এ থেকে ওর জন্য সংবর্ধনা দেওয়ার হয়েছিল। আমাদেরকে দুপুরবে আগে থেকেই বলে রেখেছিল যে সংবর্ধনা দেওয়ার দিন আমাদেরকে যেতে হবে। এত সুন্দর সুযোগকে কে ছাড়ে । এসব অনুষ্ঠানে গেলে নিজেদের বাচ্চারা অনেক বেশি উৎসাহিত হবে এটা ভেবে আরো বেশি ভালো লাগছিল। আমরা দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই রেডি হয়ে ছিলাম গিয়ে প্রথমে কোচিংয়ে একটা জিনিস ভালো লেগেছে অর্থীর ব্যানার গুলো। এত সুন্দর করে ছবির এই লাগানো হয়েছে দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছিল যদিও সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল ঘরোয়া। যেহেতু প্রথম বার উইনার হয়েছে আর কোচিং নতুন প্রথম এবার চালু হয়েছে এ আর সেদিন আলোহা কোচিং এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছিল এজন্য তাড়াহুড়া করে ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সবাই কে নিয়ে এত বেশি মাতামাতি করছিল দেখে খুব ভালো লাগলো সবাই অর্থীর সঙ্গে ছবি তোলায় ব্যস্ত।

আমাদের সাথে বৃত্ত গিয়েছিল। সবাই যেহেতু ছবি তুলছিল তাই সে সুযোগটা আমিও মিস করতে চাইনি। আমি সানিত জাহিরা আমরা সবাই অর্থীর সঙ্গে অনেক অনেক ছবি তুলেছি। বৌদি সানিত ধল ছবি তুলেছে। সানিত রংবেরঙের চশমা পড়ে অনেকগুলো ছবি তুলেছে। তার কিছু কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

এর মধ্যে অর্থীর ডাক পড়ে যায়। কোচিং এ টিচার ডেকে নিয়ে সকলের সামনে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে। অর্থীর জন্য একটা কে অর্ডার করা হয়েছিল প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটা কেক। সে কি গুলো বাচ্চারা সবাই মিলে কেটেছে কোচিং এর অনেক অভিভাবকরা উপস্থিত ছিল। এরপর সবাই মিলে টিচারদের সাথে অনেক ছবি তোলে বাচ্চাদেরকে ক্লাসে নিয়ে গিয়ে কেক বিতরণ করা হয়। তার সাথে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পেন্সিল চকলেট অনেক কিছুই বিতরণ করা হয় বাচ্চাদের মাঝে।এরপর অভিভাবকদের মাঝে মিষ্টি দেওয়া হয়।

অর্থীর জন্য কোচিং থেকে হএকটি শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেটি অর্থীর হাতে তুলে দেয়া হয় দেখে এত বেশি ভালো লাগছিল চোখগুলো আমার যেন ছলছল করছিল।আসলে বাচ্চাদের সাফল্য দেখলে সবাই হয়তো এভাবে খুশি হয়ে যায়।অথীর এই সাফল্যটা এত বেশি ভালো লেগেছে যা বলে বোঝাতে পারবো না।মনে হচ্ছিল যেন আমার মেয়ে উইনার হয়েছে।এরপর আমরা সবাই বাসায় চলে আসি।

আজ এ পর্যন্তই।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65811.45
ETH 2675.69
USDT 1.00
SBD 2.88