খালার গায়ে হলুদের কিছু মূহুর্ত
কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে আমার এক পাড়াতো খালার বিয়ে ঠিক হয়।পাড়াতো বলতে আমার বাবার বাড়িতে মানে গাইবান্ধায় আমাদের পাড়ায় সবার সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক।যার বিয়ে ঠিক হয়েছ সে মেয়ে সম্পর্কে আমার খালা হয় যদিও আমারও অনেক ছোট।
বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার সাথে সাথে আমার কাছে দাওয়াত চলে এসেছিল। আর আমি শুনে তো সেই খুশির। কারণ অনেকদিন বিয়ে খাওয়া হয়না আর পাড়ার বিয়ে মানে অনেকটা নিজের বাড়ির মতোই মনে হয়। সব সময় সব বিষয়ে অংশগ্রহণ আর সব কিছুতেই যেতে ভালো লাগে। আর অনেক দায়িত্ব নিতে হয়। ফোনে ফোনে অনেক দায়িত্ব ঘাড়ে চেপে বসেছিল। কি কেনাকাটা করবে কিভাবে হবে,কিভাবে ডেকোরেশন হবে সব কিছু।
বিয়ের দুই একদিন আগে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমার মেয়ের ম স্কুল এজন্য বেশি আগে যেতে পারি নি।আমি গায়ে হলুদের দিন সকাল সকাল চলে গিয়েছিলাম। দেরিতে যাওয়ার জন্য অনেক কথাও শুনতে হয়েছে।তারপরও যা দায়িত্ব দেওয়া ছিল সেগুলো পালন করেছি।যেয়ে ডেকোরেশনের জন্য ফুল নিয়ে এসে স্টেজ সাজিয়েছিলাম।তারপর দায়িত্ব ছিল নানা ফলের আর খাবারের ডেকোরেশন। সে কাজটাও ঠিক ঠাক মতো করে । বাসায় গিয়ে আমার মেয়েকে খাইয়ে নিলাম।আমার চেয়ে ওকে নিয়ে আমার বেশি প্ল্যান ছিল। হলুদের জন্য ফুল কিনেছিলাম।তাই সন্ধ্যার আগে ওকে সাজিয়ে দিয়েছিলাম।ও দুপুরে ঘুমায় নাই সাজার পর ঘুমায় গেছে।
জাহিরাকে সাজিয়ে দেওয়ার পর বিয়ে বাড়ির অনেকেই চলে এসেছে সাজার জন্য। সবাইকে সাজিয়ে দেওয়ার পর আমার আর সাজার তেমন সুযোগ হয় নাই। তাড়াহুড়া করে যা পেরেছি সেজে চলে গেছিলাম।গিয়ে সবার সাথে ফটোসেশন করলাম।অনেকের সাথে দেখা হল।নাচগান করে সবাই যখন অনেক ক্লান্ত তখন খাওয়া দাওয়া করে শুরু হয়ে গেছে অন্য দিকে।আমার মেয়েও অনেক মজা পেয়েছে। খাওয়া দাওয়া শেষে বাসায় এসে আমি আর আমার মেয়ে সবাই ক্লান্ত। সবাই এক সাথে অনেক দিন পর মজা করলাম।
ফ্রেশ হয়ে সবাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরলাম।কারণ পরের দিন বিয়ে আর অনেক কাজ আছে।আজ এ পর্যন্ত। আগামীতে বিয়ের দিন মূহুর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।ধন্যবাদ সবাইকে।
বিয়ে মানেই খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ।
বয়সে ছোট হলেও সেই খালার গায়ে হলুদে বেশ আনন্দ করেছেন, দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আর বেশ কিছু দায়িত্ব নিয়েছেন বলছিলেন, আসলে দায়িত্ব মাঝে মাঝে এমনিতেই চলে আসে। যাক ঠিকমতো বিয়ে হোক এই কামনা করছি। বিয়ের অনুষ্ঠান আমাদের সাথে ভাগ করে নেবেন আশাকরি 🤗
জ্বি ভাইয়া বিয়ের অনুষ্ঠান টাও আপনাদের সাথে অবশ্যই ভাগ করে নেব।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপু বিয়ের গায়ে হলুদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান বেশ সুন্দর হয়েছে। সুন্দর করে ডেকোরেশন এর দায়িত্ব নিয়েছেন অনেক সুন্দর লাগতেছে সবকিছু।মাশাল্লা বিয়ের কনে তো অনেক সুন্দর দেখতে।পাড়ার বিয়ে বলে কথা অনেক আনন্দ করা যায় খাওয়া ও বেশ ভালোই করে করা যায়।খালার বিয়েতে তো অনেক আনন্দ করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে।
জ্বি আপু গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটা আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পাড়ার বিয়ে মানেই একটু বেশি আনন্দ ৷যা হোক আপনি বিয়ের সাজানোর দায়িত্বে ৷ কনে কে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে ৷ আর বিয়ে বাড়ি মানে অনেক ব্যস্ত ৷ যা হোক নব দম্পতির জন্য শুভেচ্ছা ৷ পরের পোষ্টের জন্য অপেক্ষা ৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পাড়ার বিয়ে মাানে একটু বেশি আনন্দ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য।
আমিও কিছুদিন আগে খালা মনির বিয়ে খেয়ে এলাম।আমিও দায়িত্বের চাপে ছিলাম আপনারো দেখি একই অবস্থা।তবে সব ঠিকঠাক ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটাই শান্তি।জাহিরা কে অনেক কিউট লাগছে।ধন্যবাদ মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
বেশিরভাগ বিয়েতে দায়িত্ব নিতে হয়।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে বিয়ে মানে অনেক আনন্দ সকলের সাথে গল্প গুজব খাওয়া-দাওয়া সুন্দর সময় কাটানো। যদিও আপনার খাল হয় তবে বয়সে ছোট তার বিয়েতে এতো সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো
চমৎকার ছিলো। বিশেষ করে ছোট ছেলে মেয়েরা বিয়েতে অনেক আনন্দ করে থাকে। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ছোট ছেলে মেয়েদের আনন্দ দেখে খুব ভালো লাগে । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে কাজিনের বিয়ে খেয়েছি। বিয়ে বাড়িতে দেখছি আপনার অনেক দায়িত্ব ছিল এবং সেই দায়িত্ব গুলো সুন্দরভাবে পালন ও করেছেন। সাধারণতো বিয়ে বাড়িতে ছোট ছেলে মেয়েরা বেশি মজা করে থাকে। শত ব্যস্ততার মাঝে আপনি তো সাজুগুজু করতে পারেননি। তারপরেও আপনাকে সুন্দর লাগছে দেখতে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিয়ে বাড়ি গিয়ে তো দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্তও অতিবাহিত করেছেন আপনি। আসলে বিয়ের দিনের থেকে আমার কাছে হলুদের সন্ধ্যাটা একটু বেশি ভালো লাগে তখন বেশি ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায়। আপনার বাবু শাড়ি পড়েছে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে। ওকে সাজগোজ করার কারণে বেশ মিষ্টি লাগে। ফটোগ্রাফিতে দেখে বুঝতে পারছি সে অনেক খুশি হয়েছে। আপনার কাটানো আনন্দ স্বরূপ একটি মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করলেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমার সেজে একটু বেশি খুশি হয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার ছোট্ট মিষ্টি মেয়েটি শাড়ি পরার কারণে খুবই কিউট দেখতে লাগছে তাকে। তার সাজ গোজও দেখছি খুবই সুন্দর ভাবে করেছে। বিয়ের কনে কেউ দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লাগছে। আসলে হলুদের দিনে এমনিতে বেশ ভালোই মজা হয়। সবাই একই রকমের শাড়ি পড়ে বিভিন্ন ভাবে মুহূর্ত কাটানোর মজাটাই হয় অন্যরকম। আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত সত্যিই অসম্ভব ভালো লেগেছে পড়ে।
আমার পোস্ট টি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম আপু।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।