বাণিজ্য মেলার কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি প্রতিদিনকার মতো নতুন একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাণিজ্য মেলার কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে আমি গাইবান্ধার এক মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের পরিবারের অনেকেই আমার সাথে গিয়েছিল। সেখানে মজা করেছি অনেক খাবার খেয়েছি অনেক কিছু কেনাকাটাও করেছি। আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য সেখানে গিয়ে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ফটোগ্রাফি -১
এরা মূলত বাচ্চাদের একটা রাইট যেটা অনেকটা ড্রাগনের মতো ড্রাগনের পিছনে বসে রাউন্ড করে ইলেকট্রিকের মাধ্যমে ঘুরায়। বাচ্চারা তো এসব খুবই পছন্দ করে আমার মেয়ে তো বলছিল সে সবগুলো রাইড উঠবে। কিন্তু কিছু কিছু রাইড এত ভয়ংকর আমার কাছে তো খুবই ভয় লাগে। আমি কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে বাচ্চারা বোধহয় এসব দেখে ভয় পায় না। ওদের কাছে আনন্দটাই অনেক বড় কিছু। আমার ছেলে তো ছোট সে কিছুই বোঝেনা সে শুধু আমার মায়ের কোলে বসে বসে চেয়ে চেয়ে দেখে। ছাতা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে এবং অনেক কালারফুল লাগছে পুরো থিমটা এবং এর মাঝখানে আবার একটা ভূত কেউ বানিয়ে রেখেছে যেটা আপস অ্যান্ড ডাউন করে।
ফটোগ্রাফি -২
উপরের ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই সবাই বুঝতে পারছেন এটা একটা নাগরদোলা। এত বেশি বড় যে আমি দেখি এটা মাথা পর্যন্ত তাকানোর সাহস পাচ্ছিলাম না। তবে নাগরদোলাটা লাইট দিয়ে এত সুন্দর করে সাজিয়েছে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। তবে অন্য রাইডগুলোর চেয়ে নাগরদোলায় মানুষ কম উঠছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে । এটার মূল কারণ হতে পারে এটা অনেক উঁচু দিয়ে ঘুরছে। আমার মেয়ে উঠতে চেয়েছিল কিন্তু আমি অনেক কিছু বলে তাকে বুঝিয়েছি।
ফটোগ্রাফি -৩
এই স্টলটা আমার কাছে একদমই নতুন লেগেছে। এই স্টল টার নাম ছিল স্মোক বিস্কিট। অনেকেই দেখছিলাম ট্রাই করছে কিন্তু আমি ছোট বাচ্চা নিয়ে ট্রাই করার সাহস পাইনি। লোকজনের অনেক কৌতুহল ছিল এই স্টলটা নিয়ে।
ফটোগ্রাফি -৪
উপরের ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন মিকি মাউসের রাইড। আমার মেয়ে তো এসব দেখবে তাকে বেঁধে রাখা যাচ্ছিল না।সে পারলে একসাথে সবগুলোতে ওঠে সবগুলোই রাউন্ড রাউন্ড করে ঘুরছিল। তবু আমার মেয়ের কাছে এসব কিছুই অনেক বেশি আনন্দদায়ক। আসলে বাচ্চারা তো খুব অল্পতেই খুশি হয়ে যায়। তাই আমিও তাকে কোন কিছুতেই বাধা দিচ্ছিলাম না।
ফটোগ্রাফি -৫
এটাতো আমার মেয়ের কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় একটি রাইড স্লিপার এবং এটাতে সে আগে কখনোই ওঠেনি। তার প্রথম থেকে আবদার ছিল সে এই স্লিপারে উঠবে কিন্তু আমার কাছে অনেক উঁচু বলে খুব ভয় লাগছিল। আর রাতের বেলা যেহেতু অনেকটা অন্ধকার লাগছিল। কিন্তু তাকে তো কোনোভাবেই বোঝানো যাবে না সে এটাতে উঠবে এবং উঠেছিল এটার সময় ছিল প্রায় ১৫ মিনিট। ১৫ মিনিট ধরে লাফাঝাপা করে তারপরে সে শান্ত হয়েছে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিভাইস নেম | vivo |
---|---|
মডেল | y20 |
লোকেশন | গাইবান্ধা |
কখনো বাণিজ্য মেলায় যাওয়া হয় নাই, কিন্তু ইচ্ছা আছে যাওয়ার কখনো যদি তেমন সুযোগ হয়। বিশেষ করে বর্তমানে ছাতার ডিজাইন টা ট্রেন্ডিংয়ে চলতেছে, কি দারুন লাগতেছে। আমি তো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাচ্চারা এগুলো বেশ পছন্দ করে এবং দোলনা দেখতে পারতেছি। আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
ছাতার ডিজাইন টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাণিজ্য মেলা থেকে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার অসাধারণ এই ফটোগুলো দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন মেলা সম্পর্কে। আরে এর থেকে বেশ অনেক কিছু জানতেও পারলাম।
আমার করা ফটোগ্রাফি গুলা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাণিজ্য মেলায় আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর বিবরণের মাধ্যমে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
এখন নাগরদোলা প্রতিটি মেলার মধ্যে একটি বিশেষ আকর্ষণ। ছেলে মেয়েরা মেলায় গেলে আগে তারা নাগরদোলায় উঠার জন্য ছোটাছুটি করে থাকে। আপনি আজকে গাইবান্ধা বাণিজ্য মেলার বেশ কিছু সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে মেলার মধ্যকার বাচ্চাদের খেলা ধুলা করার কিছু জিনিস পত্রের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
বাহ আপনি তো দেখতেছি বাণিজ্য মেলা ঘুরতে গিয়ে চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে মেলাতে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের মজার মজার খাওয়া-দাওয়া করা যায় এবং সৌন্দর্য দেখা যায়। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। এবং সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
বাণিজ্য মেলায় গিয়ে আপনি খুবই ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে তোলা সুন্দর সুন্দর কিছু আলোচিত্র আজকে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন, দেখে আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। মেলাতে বাচ্চারা যেতে সবথেকে বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে মেলাতে বিভিন্ন ধরনের রাইড থাকে যেগুলোর মধ্যে তারা উঠতে ভালোবাসে। আপনার মেয়ে বিভিন্ন রাইডের মধ্যে উঠে মজা করেছিল জেনে ভালো লেগেছে। ছাতা দিয়ে উপরে অনেক সুন্দর একটা ডেকোরেশন করা হয়েছে। যেটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
সবাই দেখছি বাণিজ্য মেলাতে গিয়ে ভালোই সময় অতিবাহিত করতেছে। আর আপনিও বাণিজ্য মেলাতে গিয়েছিলেন জেনে খুব ভালো লেগেছে। বাণিজ্য মেলার সৌন্দর্য দেখেই তো আমি মুগ্ধ হয়েছি। বাচ্চাদের জন্য নানা রকমের রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে দেখে আরো ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন বাণিজ্য মেলার। ছাতা দিয়ে এত সুন্দর ডেকোরেশন করা হয়েছে যে, দৃশ্যটা একেবারে দেখার মত ছিল। আপনার মেয়ে স্লিপারে উঠে অনেক মজা করেছিল নিশ্চয়ই। ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্লিপারের মধ্যে লাফালাফি করেছিল এবং ভালো সময় কাটিয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।