বৈঠক খানায় কাটানো কিছু মূহুর্ত||১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এর জন্য ||

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে মা মেয়ে আরাম করে ঘুম দিয়েছিলাম।আকাশ অনেকটা মেঘলা ছিল। মাঝে মাঝে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এজন্য ঘুম টাও বেশ গভীর হয়েছে।হঠাৎ আমার সেল ফোনে জাহিরার বাবার কল আসে।আধো ঘুম চোখে কল রিসিভ করলাম।ওপার থেকে বলছে মেয়ে নিয়ে রেডি হয়ে চলে আসো।


GridArt_20221003_165202838.jpg

মেয়ে তখনও গভীর ঘুম। তারপরেও সন্ধ্যা হয়ে গেছে প্রায়। ডাকলাম মেয়েকে বললাম চলো তোমার বাবা ডাকছে। আমরা বাইরে ঘুরতে যাব। যেই বলা অমনি চোখ খুলে তাকিয়েছে। বাইরে যাওয়ার কথা শুনলেই তো খুব খুশি হয়ে যায়। আসলে ওর বাবা ডাকার কারণ হচ্ছে সকালে ওর বাবার সঙ্গে অফিসে যাওয়ার জন্য অনেক কান্নাকাটি করছিল। আর বাবা কথা দিয়ে গিয়েছিল যে অফিসে এসে ওকে বেড়াতে নিয়ে যাবে। তাই আমাদেরকে ডেকে পাঠিয়েছে।


IMG_20221002_181449.jpg

ঝটপট ফ্রেশ হয়ে মা মেয়ে রেডি হয়ে ওর বাবার অফিসের সামনে চলে গেলাম। ততক্ষণে ওর বাবা মাগরিবের নামাজ পড়ে চলে এসেছে। তারপর বললো কোথায় যাবা যদি ও সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই দূরে কোথাও যেতে চাইনি। কাছাকাছি ওর বাবার অফিসের পাশেই যেহেতু বৈঠক খানা নামক রেস্টুরেন্ট আছে তো আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। এর আগেও একদিন আমি বৈঠকখানায় গিয়েছিলাম সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল আমার ডেকোরেশন গুলো।তাই ভাবলাম ওখানেই যাই। বিকেলের নাস্তা করা হয়নি ভাবলাম ওখানে গিয়ে একটু হালকা নাশতা করে নিব।


IMG_20221002_185530.jpg

ভিতরে ঢুকে আমার মেয়ে মেনু কার্ড নিয়ে বসে গেছে। ও এখন বুঝতে পারে রেস্টুরেন্টে ঢুকে মেনু কার্ড দেখে অর্ডার করতে হয়। সে তো আমাকে মেনু ধরতেও দেবে না হাতে দেবে না দেখতেও দেবে না। সে নিজেই মেনু কার্ড দেখে তার খাবার পছন্দ করে নিজেই অর্ডার দিয়ে দিলো। আমি তো দেখি অবাক হয়ে গেছি।


IMG_20221002_183021.jpg

IMG_20221002_182922.jpg

ওর খাবার অর্ডার দেওয়া শেষ হলে তারপর আমি মেনু কার্ডে হাতে পেয়েছিলাম। আমার পছন্দ মতো খাবার অর্ডার এর জন্য। জাহিরা যাওয়ার সময় ওর খেলনা খরগোশ টা ও নিয়ে ছিল।খরগোশ কে বাসায় রেখে গেলে নাকি কান্না করবে।


IMG_20221002_184234.jpg

IMG_20221002_183556.jpg

জাহিরার খাবার যেহেতু আগে অর্ডার দেয়া হয়েছিল তাই ওর খাবার আগে আগে চলে এসেছিল। ও সেভেন আপ আর ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করেছিল। আসার সাথে গরম গরম ফ্রেন্স ফ্রাই আর সেভেন আপ খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। খাওয়া শেষে ওর খরগোশ কেউ কিছু ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে দিয়েছে। না হলে খরগোশটা মন খারাপ করবে নাকি।


IMG_20221002_183117.jpg

IMG_20221002_182714.jpg

IMG_20221002_182145.jpg

IMG_20221002_181625.jpg

IMG_20221002_184220.jpg


ডেকোরেশন এর কিছু ছবি তুলতে তুলতে দেখি আমার খাবার এসে গেছে। আমি চিকেন চাওমিন অর্ডার করেছিলাম। কারণ ভারী কিছু খাইনি রাতে এসে বাসায় খেতে হবে তাই। খাবারটা বেশ মজার ছিল।খাবারটি স্পাইসি ছিল। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ঝটপট খাওয়া শেষে বিল পেমেন্ট করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। বের হয়ে বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করে বাসায় চলে এসেছি।


3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRQ3hpsmoj15mmztu6xAp1uYqepUBz9ZLy6c2CAuuUCLy64p2REDu9P9ehHG6rH...Xb8dAZvrpjAYtqC66r4AtimBK7MufjYUZLQavMScAp8tZoUGCJ74n9kkU4prh1pFMTZYufwf5GrhxEqKjpmSiRCmtqDoNFfaperGNPXzcpuwDJAX3yGYCCn5ED.gif

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM.gif

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

Sort:  
 2 years ago 

বৈঠক খানায় সন্ধ্যাবেলায় ভালো ভালো খাবার খেয়েছেন ও পাশাপাশি অনেক আনন্দ করেছেন,জেনে ভালো লাগল । সত্যি বাচ্চারা সব সময় বাইরে যেতে ও বাইরের খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে। এখনকার বাচ্চরা অনেক স্বয়ংসম্পূর্ণ ঠিক জাহিরার মতো। বাবা মেয়েকে কথা দিয়েছে, তাই কথা না রাখায় তো কোন উপায় নেই। জাহিরার সেভেন আপ আর ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করেছিল, দারুণ খাবার। জাহিরার খরগোশটাকে জাহিরার মতো চমৎকার লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

কোন কথা না রাখতে পারলেও মেয়ের কথা রাখতে হবে। বাবা মেয়ের সম্পর্ক দেখে আমার ছোট বেলাগুলো ফিরে পাই। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপু, আমিও বাইরে কোথাও গেলে আমার ছেলেও আমার সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। অনেক সময় কান্নাও করে তবুও যেতে হয়। ঠিক আপনার মেয়েও তার বাবার সাথে অফিস যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল। ছোট ছোট সোনা মনিরা বোধ হয় এরকমই হয়। যাইহোক মেয়ের জন্য বৈঠকখানায় গিয়ে, মনোরম পরিবেশে জম্পেশ খাওয়া হয়েছে। চিকেন চাওমিন আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এই তো কিছুদিন আগে আমার অর্ধাঙ্গিনীও রেস্টুরেন্ট স্বাদে চিকেন চাওমিন তৈরি করেছিল। সেই রেসিপি দুই একের মধ্যেই শেয়ার করব।

 2 years ago 

মেয়েদের বাবার কাছে যত আবদার। আমি ও এখনও আমার বাবার কাছে করি।বাবারাও এটা বুঝতে পারে নিশ্চয়ই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

পরিবারের সাথে কাটানোই সময় গুলোই আসলে স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। ফ্রেন্স ফ্রাই এবং চিকেন চাওমিন দেখে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছা করছে।

 2 years ago 

এই ধরনের খাবার গুলো আমরা ও অনেক পছন্দের।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে আপু বৈঠকখানা নামটি শোনার পরে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তোবা কোন একটা আলোচনা সভার কক্ষ। পরে আমি আপনার পুরো পোস্টটা পড়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম এটা একটা রেস্টুরেন্টের নাম। আসলে এখন ছোট বাচ্চারাও অনেক এডভান্স হয়ে গিয়েছে তারা নিজেরাই বুঝতে শিখে গিয়েছে যে মেনু কার্ড দেখে অর্ডার দিতে হয়। আপনার বাচ্চা শুধু একা খায়নি তার প্রিয় খরগোশ কেউ খাইয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার মত আমারো চিকেন চাওমিন খেতে খুবই ভালো লাগে।

 2 years ago 

রেস্টুরেন্টের নাম টা প্রথম কেউ শুনলে এমনটাই ভাবে।আমার মেয়ে টা এতো তাড়াতাড়ি বড় হচ্ছে। মাঝে মাঝে চিন্তা হয়।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

মেয়েকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছেন দেখে অনেক খুশি মনে হচ্ছে আপু। আমার ও ছোট ভাই আমি বা আম্মু বাইরে গেলে অনেক বায়না করে। ছোটদের এই বায়না গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি ও মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

বৈঠক খানায় গিয়ে অনেক মজা করেছেন অনেক পছন্দের খাবার ও খেয়েছেন মনে হয়। এখনকার বাচ্চারাই বাইরের যেতে পারলে খুব খুশি হয়। আপনার বাচ্চাটি দেখে বোঝা যাচ্ছে সে অনেক খুশি ছিলেন। সে নিজেও খেলে না এবং তার খরগোশটিকেও খাওয়ালেন। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

জ্বি আপু বাচ্চারা বাসায় থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যায়।তাই বাইরে গেলে খুশি হয়।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু। 😊😊😊

 2 years ago 

মেয়েকে নিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া মেয়ে কে সুন্দর সময় কেটেছিল। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61497.04
ETH 2478.29
USDT 1.00
SBD 2.66