ঘরে তৈরি রেস্টুরেন্টের স্বাদে চিকেন ফ্রাই রেসিপি😋😋 "@shy-fox 10% beneficiary
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
বন্ধুরা,আমরা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে চিকেন ফ্রাই গিয়ে খেয়ে থাকি। চিকেন ফ্রাই খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে আমাদের মধ্যে। রেস্টুরেন্টের চিকেন ফ্রাই কতটা স্বাস্থ্যকর আমরা সেটির ব্যাপারে জানি না। মুখরোচক খাবার তাই আমরা প্রতিটা মানুষ হুমরে পরি রেস্টুরেন্টের চিকেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য। চিকেন ফ্রাই রেস্টুরেন্টে বিক্রি করা হয় আমিও মাঝেমধ্যে চিকেন ফ্রাই খেতে রেস্টুরেন্টে যেতাম। একবার চিকেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে ছিলাম। চিকেন ফ্রাই খাওয়ার সময় দেখি একদম ফ্রাই টি কাঁচা আর স্বাদটা ছিল খুবই বিশ্রী যা বলে বোঝাতে পারবোনা। তারপর থেকে আর আমি চিকেন ফ্রাই খেতে রেস্টুরেন্টে যায় না তবে অন্যান্য জিনিস মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়।
ভাবছেন চিকেন ফ্রাই নিয়ে এত কথা বলছি কেন? আমি আসলেই চিকেন ফ্রাই খেতে খুবই পছন্দ করি। আজকে আমি ঘরে রেস্টুরেন্টের স্বাদে চিকেন ফ্রাই তৈরি করেছি বিকেলের নাস্তা হিসেবে খাওয়ার জন্য। রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন কালার বিভিন্ন জিনিস মিশ্রণ করে চিকেন ফ্রাই তৈরি করে। তবে আমি আমার নিজের মতো করে চিকেন ফ্রাই তৈরি করেছি। চিকেন ফ্রাই তৈরি করার পরে দেখলাম সত্যিই আমার ফ্রাই করা চিকেন রেস্টুরেন্টে চিকেন ফ্রাইয়ের মতোই লাগছে। আর স্বাদটা ও যেন রেস্টুরেন্টের চিকেন ফ্রাইয়ের কে হার মানায়।
বন্ধুরা,আজকে আমি ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে বিকেলের নাস্তার জন্য চিকেন ফ্রাই করেছি।তাই চিন্তা করলাম আপনাদের সাথে এই সুস্বাদু চিকেন ফ্রাই টি শেয়ার করি।
তাহলে দেরি কেন চলুন, আমি কিভাবে চিকেন ফ্রাই রেসিপিটি তৈরি করেছি তা আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
রেস্টুরেন্টের স্বাদে চিকেন ফ্রাই করা উপকরণ সমূহ"
১/ বড় আকারের মুরগির মাংসের টুকরো ৫ টি।
২/ আদা বাটা এক চা চামচ।
৩/ রসুন বাটা দেড় চা চামচ।
৪/ সয়া সস দেড় চামচ।
৫/ গোলমরিচ গুঁড়া এক চা চামচ।
৬/ লালা মরিচ গুঁড়া দেড় চা চামচ।
৭/ হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ।
৮/ ময়দা দুই কাপ।
৯/ টেস্টিং সল্ট পরিমাণ মত।
১০/ সয়াবিন তেল দুই কাপ।
১১/ স্বাদ মত লবণ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১ম ধাপ,
প্রথমে আমি মুরগি মাংসের টুকরো গুলোর পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম।এবার ছুরির সাহায্যে মুরগির মাংসের উপরের দিকটা হালকা করে একে নিলাম।এভাবে করে সবগুলো টুকরো আমি ছুরির সাহায্যে এঁকে দিব।
২য় ধাপ,
মুরগির মাংসের উপরের দিকটা ছুরির সাহায্যে আঁকা হলে, এবার আমি একটি বাটিতে মুরগির মাংসের টুকরোগুলো রেখে দিলাম। প্রথমে আমি মুরগির মাংসের টুকরোগুলো তে আদা,রসুন বাটা দিয়ে দিলাম,এরপর লবণ এবং টেস্টিং সল্ট দিয়ে দিলাম, তারপর একে একে সবগুলো মসলার গুঁড়া ঢেলে দিলাম, সর্বশেষ দেড় চামচ সয়া সস মুরগির মাংস গুলোতে ঢেলে দিলাম।এবার আমি হাতের সাহায্যে ভালো করে মাখিয়ে আধা ঘন্টার জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলাম।
বন্ধুরা, একটা কথা বলে রাখা ভালো চিকেন ফ্রাই করার জন্য সব মসলার সাথে সয়া সস দেওয়া হলে।লবণের পরিমাণ একটু হিসাব করে দিতে হবে,না হলে চিকেন ফ্রাই লবণের পরিমাণ টা বেশি হয়ে যাবে।আমরা সকলেই জানি সয়া সসে লবণ থাকে।
৩য় ধাপ,
আধা ঘন্টা পর নরমাল ফ্রিজে থেকে নামানোর পর মুরগির মাংসের টুকরোগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে তাই না? এবার আমি প্লেটে 2 কাপ ময়দা নিলাম। এখন প্লেটের ময়দা গুলোর সাথে গোলমরিচ গুঁড়া,লাল মরিচ গুঁড়া এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে ময়দার সাথে মিশিয়ে দিলাম।
৪র্থ ধাপ,
দ্বিতীয় বার পানিতে ভেজানোর পর ময়দার সাথে মেশানো "
ময়দা গুলোর সাথে গোলমরিচ, লাল মরিচ এবং পরিমাণমতো লবণ মেশানো হলে হলে,নরমাল ফ্রিজ থেকে নামানো মুরগির মাংসের টুকরোগুলো। প্রথমে আমি শুকনো ময়দার মধ্যে দিয়ে ভালো করে সবগুলো মুরগির মাংসের টুকরো মাখিয়ে নিলাম।এবার একটি বাটিতে আমি পরিষ্কার নরমাল পানি দিলাম,এতে ময়দা মাখানো মুরগির মাংসের টুকরোগুলো পানিতে ভিজিয়ে নিলাম, আবার উঠিয়ে ময়দার সাথে ভাল করে মাখিয়ে নিলাম। এভাবে করে আমি তিনবার ময়দায় মাখাব দুই বার পানিতে ভিজিয়ে নিব।
৫ম ধাপ,
মাংসের টুকরোগুলো মধ্যে ময়দা মেশানো হলে, আমি একটি বাটিতে নিলাম। এখন চুলায় একটি প্যানে 2 কাপ পরিমাণ সয়াবিন তেল দিলাম। তেল গরম হলে ময়দা মাখানো মুরগির মাংসের টুকরো গুলো একটি একটি করে প্যানে দিয়ে দিলাম।
৬ষ্ঠ ধাপ,
এবার আমি মাংসের টুকরোগুলো একপাশ হালকা ভাজা হলে, আরেক পাশ উল্টে দিব।এবার চুলার একদম কম আঁচে চিকেন ফ্রাই করব। আমি 20 মিনিট ফ্রাই করবো লাল লাল ভাজা হলে প্যান থেকে চিকেন ফ্রাই গুলো তুলে নিলাম।
বন্ধুরা,চিকেন ফ্রাই করতে হলে ডুবোতেলে চিকেন ফ্রাই করতে হয়।আর ফ্রাই করার সময় চুলার আঁচ প্রথমে মাঝারি রেখে ফ্রাই করতে হবে। পরবর্তীতে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে ফ্রাই করতে হবে। না হলে উপরের অংশটি ভাজা হয়ে যাবে ভিতরে চিকেন কাঁচা থেকে থাকে যাবে।
এবার আমি চিকেন ফ্রাই এগুলো গরম গরম পরিবেশন করব টমেটোর সসের সাথে। গরম গরম চিকেন ফ্রাই সত্যিই খুবই সুস্বাদু।চিকেন ফ্রাইয়ের ভিতরটা খুবই নরম এবং সুস্বাদু হয়েছে।
চিকেন ফ্রাই এগুলো ঘরে তৈরি করতে অনেক সময় লাগে আমারও তেমনি লেগেছে।
বন্ধুরা, আমার তৈরি করা রেস্টুরেন্টের স্বাদে চিকেন ফ্রাই গুলো কেমন হয়েছে?যদি ভাল হয় অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের কমেন্ট আপনাদের ভালোবাসা ভালো কাজ করার উৎসাহ যোগায়।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
চিকেন ফ্রাই এমন একটা নাম, যেটা ঘুমের ঘোরে শুনলেও গন্ধ নাকে ভেসে আসে 🥰🥰। আমার খুব খুব পছন্দ। আমার ভাইও খুব ভালোবাসে। আসলে এক এক জন এক এক রকম করে তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার রেসিপিতেও বেশ নতনরূপে কিছু জিনিস জানলাম ও শিখলাম। খুব সুন্দর উপস্থাপন । আমার ভালো লেগেছে দিদি।
দিদি,চিকেন ফ্রাই পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে।ঘুমের ঘোরে চিকেন ফ্রাইয়ের ঘ্রাণ ভেসে আসে আপনার নাকে শুনে ভালো লাগলো। দিদি,আপনার জন্য রেডি করে রেখেছি চলে আসেন একসাথে দুজনে বসে খাব😊 অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
আপনি অসাধারণ চিকেন ফ্রাই রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া, চেষ্টা করেছি ধাপগুলো খুবই সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। জানিনা কতটুকু পেরেছি তবে আপনি যখন বলেছেন ধাপগুলো খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছি তাহলে আমি পেরেছি।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চিকেন ফ্রাই আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। যদি আমি কখনো রেস্টুরেন্টে যাই তবে এটা খাওয়া আমার কখনই বাদ যায় না। আপনার চিকেন ফ্রাই টা খুবই মজার হবে মনে হচ্ছে। আর এটা তৈরি করার ধাপগুলো আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দরভাবে একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ভাইয়া,রেস্টুরেন্টের চিকেন ফ্রাই সুস্বাদু তবে ঘরে তৈরি করে যদি চিকেন ফ্রাই খাওয়া হয় এটি সুস্বাদু হয় এবং স্বাস্থ্যকর হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি একদম প্রফেশনালদের মতো করেই মানে রেস্টুরেন্ট এর মত করেই চিকেন ফ্রাই বানিয়েছেন। খুব সুন্দর ছিলো আপনার আজকের রেসিপি আপু। আপনি প্রত্যেকটা প্রসেস প্রতিটা ধাপে সুন্দর করে বর্ননা করেছেন এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপু আপনার জন্য।
জি ভাইয়া, চেষ্টা করেছি রেস্টুরেন্টে যেভাবে চিকেন ফ্রাই তৈরি করে সেভাবে ঘরোয়া ভাবে তৈরি করার। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য
আপনার আজকের রেসিপি দেখে সিপির চিকেন ফ্রাই এর কথা মনে পরে গেলো। সত্যিই অসাধারণ হয়েছে আপনার চিকেন ফ্রাই টি। আর বিশেষ করে আমার তো অনেক বেশি প্রিয়।
আপু,আমার তৈরি করা চিকেন ফ্রাই আপনার ভালো লেগেছে শুনে। অনেক ভালো লেগেছে আমার, আমার রেসিপি টা তৈরি করা সার্থক হয়েছে 🥰অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
চিকেন ফ্রাই অনেক মজাদার একটি রেসিপি। আপনার পোস্টে অনেক লম্বা বিবরণ দিয়েছেন। পর্যাক্রমে ধাপগুলো শেষ করে আমাদের সাথে সেই লোভনীয় চিকেন ফ্রাই রেসিপি তৈরি করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু 🥰
জি ভাইয়া,চিকেন ফ্রাই খুবই সুস্বাদু কিন্তু তৈরি করতে অনেকগুলো ধাপ নিয়ে তৈরি করতে হয়।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য
চিকেন ফ্রাই নাম শুনলে মুখে পানি চলে এসেছে। আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। আমি বাইরে গেলে চিকেন ফ্রাই অবশ্যই খাই। বাসায় বানালে এত মজা লাগেনা । কিন্তু আপনার চিকেন ফ্রাই বানানো টা দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই ক্রিস্পি এবং মজাদার হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার এই রেসিপি ব্যবহার করে আমি একদিন বাসায় বানিয়ে দেখব । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি চিকেন ফ্রাই এর রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমিও আগে রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন ফ্রাই খেতাম কিন্তু এখন খায় না।ঘরে এভাবে তৈরি করলে রেস্টুরেন্টের স্বাদ কেও হার মানাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।আপনার মন্তব্যগুলো ভালো কাজ করার উৎসাহ যোগায়।
আপনার চিকেন ফ্রাই রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে চিকেন ফ্রাই রেসিপি তৈরি করেছেন। যা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে বলে
অনেক সুন্দরভাবে চিকেন ফ্রাই করেছেন আপু। আমরা বন্ধুরা মিলে এরকমভাবে একবার চিকেন ফ্রাই করে খেয়ে ছিলাম। আপনার আজকের চিকেন ফ্রাইয়ের পোস্টটি দেখে সেদিনের কথা মনে পড়ে গেল। রান্না করার পদ্ধতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
তাই নাকি ভাইয়া, বন্ধুদের সাথে আনন্দ করে খেতে খুবই ভালো লাগে চিকেন ফ্রাই।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে বেশির ভাগই অরুচিকর অবস্থায় তৈরি করা হয়। নিজে করে খাচ্ছেন। নির্ভেজাল। সুন্দর উপস্থাপনা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,ঘরে তৈরি করে খাওয়াটা নির্ভেজাল এবং স্বাস্থ্যকর।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
🥬