খুব সহজে সুস্বাদু চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোলের ভাজি "@shy-fox 10% beneficiary
আসসালামুয়ালাইকুম,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি।
চলে এসেছে আবার একটি নতুন রেসিপি নিয়ে।আমার রেসিপিটি হচ্ছে চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোলের ভাজি।
চিচিঙ্গা একটি কমন সবজি । সবজি বাজারের প্রতিটি দোকানে পাওয়া যায় চিচিঙ্গা। শীতকালের তিন মাস ছাড় সব সময়েই এই সবজিটি পাওয়া যায় আমাদের দেশে। চিচিঙ্গা ভাজি, ঝোল, অন্যান্য সবজির সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়।
চিচিঙ্গার প্রচুর প্রকৃতিক পুষ্টি গুণ রয়েছে। চিচিঙ্গা আছে ভিটামিন এবং খনিজ । এছাড়াও আছে আঁশ, ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি রয়েছে -যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী।
প্রাকৃতিক এত পুষ্টিগুণ থাকা সত্বেও আমি এই সবজিটি খেতে এত বেশি পছন্দ করি না।তবে যদি চিচিঙ্গা ভাজি হয় তাহলে একটু আকটু খেয়ে থাকি।
আর কথা বাড়ানোর দরকার নেই।আমি কিভাবে খুব সহজে চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোল ভাজি করেছি তা আপনাদের সাথে উপস্থাপন করছি।
উপকরণ সমূহ
চিচিঙ্গা হাফ কেজি।
একটি কাঁকরোল।
পেঁয়াজ তিনটি।
কাঁচা মরিচ চার পাঁচটি।
হলুদ গুঁড়ো হাফ চামচ।
জিরা,ধনিয়া গুঁড়ো হাফ চামচ।
গরম মসালা গুঁড়ো এক চা চামচ।
সয়াবিন তেল তিন চামচ।
লবণ স্বাদ মতো।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
- প্রথম ধাপ"
প্রথমে আমি চিচিঙ্গার উপরের যে পাতলা খোসা থাকে এগুলো চামচের সাহায্যে ছিলে নিলাম। এবার আমি চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোল গুলো ছোট টুকরো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
- দ্বিতীয় ধাপঃ
চিচিঙ্গা ধুয়া হলে, চুলাই একটি প্যানে তিন চামচ সয়াবিন তেল দিলাম। তেল গরম হলে তিনটি পেঁয়াজ কুচি, চার-পাঁচটি কাঁচামরিচ টুকরো দিয়ে হালকা ভেজে নিলাম।
- তৃতীয় ধাপঃ
পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ হালকা ভাজা হলে। হলুদ গুঁড়া, জিরা ধনিয়া গুঁড়া,গরম মসলা এবং স্বাদ মত লবণ দিয়ে দিলাম প্যানে। চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম মসলা গুলো।
- চতুর্থ ধাপঃ
মসলা কিছুক্ষণ ভাজা হলে, ধুয়ে রাখা চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোল দিয়ে দিলাম প্যানে।এখন আমি চামচের সাহায্যে কাঁকরোল চিচিঙ্গা মসলার সাথে নেড়েচেড়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার মাঝারি আঁচে ভাজি করব 10 মিনিট।
বন্ধুরা, চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোল 10 মিনিট ভাজি করার সময় কিছুক্ষণ পরপর চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে দিতে হবে। না হলে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
- পঞ্চম ধাপঃ
আমি ঢাকনা উঠিয়ে দেখব, চিচিঙ্গা কাঁকরোল সিদ্ধ হয়েছে কিনা এবং স্বাদ ঠিক আছে কিনা?
তবে চিচিঙ্গা এবং কাকরোল সিদ্ধ হতে বেশি সময় লাগে না আপনারা সবাই জানেন।
দেখলেন তো বন্ধুরা,
কত সহজে চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোল ভাজি করা যায়।
আমার রান্না করা চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোল ভাজি আপনাদের কেমন লেগেছে। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনাদের সাপোর্ট আমার ভালো কাজ করার উৎসাহ জাগায়।
এই ভাজিটা খুব সহজে করে ফেলা যায়। আর আমার আবার ভাজি ধরণের খাবার গুলো খুব বেশি মজা লাগে আমার কাছে। আর চিচিঙ্গা আর কাকরোলের ভাজির স্বাদটাই দারুণ।
জি আপু,খুব সহজে চিচিঙ্গা ভাজি করা যায়
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
খুব বিশেষ খাবারের মেনু, স্বাদ অবশ্যই খুব ভালো হতে হবে
ধন্যবাদ ভাইয়া"
আপনাকে স্বাগতম
এটা খুব সহজ একটা রেসিপি, কিন্তু খেতে ভালো লাগে। আমাদের বাড়ীতে আমরা মাঝে মাঝে আলু দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি করি, খেতে বেশ লাগে। ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 💐💐
চিচিংগা খাইনা প্রায় বছর পার হয়ে গেলো।অনেক দিন পরে এই চিচিংগার রেসিপি দেখা পেলাম।অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি করলা খাই না খুবই তিতা লাগে। করলা যে মানুষ কিভাবে খায় সেটা আমার মাথায় আসে না। অনেকে আবার দেখি কাঁটা করলা খায়। ওরা মানুষ না অন্য জীব আমার বুঝে আসে না। সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাইয়া তিতা করোলা একটি আর চিচঙ্গা হচ্ছে আরেকটি চিনতে ভুল করে করেছেন।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
রিতা আপু অনেক সুন্দর করে আপনার রেসিপি বানাইয়েছেন
খুব ভালো হয়েছে
শুভকামনা রউলো আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
খুব সহজে সুস্বাদু চিচিঙ্গা এবং কাঁকরোলের ভাজি অনেক সুন্দর ছিল।আসলেই আপু আপনি প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন নতুন রেসিপি আপনার মাধ্যমে জানতে পারছি। এই রেসিপিটা এত সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন। আপনার আপনার হাতটা অনেক ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু। খুব সুন্দরভাবে পরিবেশন করেছেন আমাদের মাঝে
ধন্যবাদ ভাই, তোমাদের ভালোবাসা এবং উৎসাহ পেলে আরও ভালো কাজ করতে পারব ইনশাআল্লাহ