সরিষা বাটা দিয়ে তরতাজা সুস্বাদু কাঁকরোল ভাপা রেসিপি ▶ভিডিও [10% beneficiary to @shy-fox]
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন?আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি ভালো আছি।
কাঁকরোল খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। কাঁকরোল দিয়ে বিভিন্ন রকমের তরকারি অথবা ভাজি,ভর্তা তৈরি করা যায়।কাঁকরোল যেমন খেতে সুস্বাদু একটি সবজি এছাড়াও কাঁকরোলের রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। অনেকে কাঁকরোলকে স্বর্গীয় সবজির উপাধি দিয়ে থাকে।সত্যি কথা বলতে কি কাঁকরোল আমিও খেতে খুব পছন্দ করি বিশেষ করে কাঁকরোল ভাজা,কাঁকরোল চিংড়ি মাছ দিয়ে ভুনা, এছাড়াও কাঁকরোলের ভাপা রেসিপি গুলো সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়।আর কাঁকরোলে রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুন সেটি হচ্ছে কাঁকরোল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।তাই আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন এই কাঁকরোলের সিজনে কাঁকরোল খাওয়া।
যাইহোক,অনেক কথা বলে ফেলেছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই খুবই সুস্বাদু এবং ইউনিক একটি কাঁকরোলের রেসিপি শেয়ার করব। আমার আজকের রেসিপি তরতাজা কাঁকরোল দিয়ে কাঁকরোল ভাপা রেসিপি।
তাহলে চলুন দেরী কেন?চলুন কিভাবে আমি তরতাজা কাঁকরোল দিয়ে কাঁকরোল ভাপা রেসিপি তৈরি করেছি তা আপনাদের মাঝে ভিডিওর মধ্যমে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
ভিডিও লিং:
উপকরণ সমূহ,
বড় আকারে কাঁকরোল - ৩ টি।
চিনা বাদম বাটা।
সরিষা বাটা - ৪ চামচ।
কাঁচা মরিচ বাটা।
কাঁচা মরিচ- ৩ টি।
আদা রসুন বাটা - ১ চা চামচ।
হলুদ গুঁড়া - হাফ চামচ।
সরিষার তেল - ৩ চামচ।
সয়াবিন তেল- ৪ চামচ।
লবণ স্বাদ মতো।
প্রথমে আমি কাঁকরোল গুলো ছুরির সাহায্যে গোল এবং পাতলা করে কেটে নিলাম। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে একটি প্লেটে নিলাম।ধুয়া হলে,পরিমাণ মত হলুদ লবণ দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালো করে মাখিয়ে নিলাম। মাখিয়ে নিয়ে কিছুক্ষনের জন্য রেখে দিবো।কিছুক্ষণ পর চুলাই একটি প্যানে চার চামচ সয়াবিন তেল দিলাম। তেল গরম হলে,টুকরো করে রাখা কাঁকরোলের টুকরোগুলো প্যানে দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে হালকা ভেজে নিব। কাঁকরোলের টুকরোগুলো ভাজা হলে, প্লেটে থেকে তুলে নিব।
কাঁকরোল ভাজা হয়ে গেলে, এবার আমি যে পাত্রে কাঁকরোল ভাপা তৈরি করব সে পাত্রে প্রথমে অল্প সরিষার তেল ঢেলে দিব। চিনা বাদাম বাটা, সরিষা বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা একসাথে দিয়ে দিব। দেওয়া হলে, ভেজে রাখা কাঁকরোল দিয়ে দিব এবার রসুন বাটা দিয়ে অল্প পানি ঢেলে দিয়ে চামচের সাহায্যে সবগুলো উপকরণের সাথে কাঁকরোল ভাজা মিশিয়ে নিব। মেশানো হয়ে গেলে, আবার আমি সরিষার তেল ঢেলে দিব।
বন্ধুরা, কাঁকরোল ভাপা রেসিপি তৈরি করার জন্য অবশ্যই সরিষার তেল ব্যবহার করবেন তাহলে কাঁকরোল ভাপার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
সব উপকরণ দিয়ে কাঁকরোল ভাপা মাখানো হয়ে গেলে, এবার আমি ৩ টি আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে যে পাত্রে কাঁকরোল ভাপা তৈরি করব সেই পাএ ভালো করে চেপে দিব যেন ভিতর থেকে বাতাস না বের হয়।এবার চুলায় একটি হাড়িতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে হাড়িতে কাঁকরোল ভাপার পাত্রটি হাড়িতে বসিয়ে চুলার একদম মাঝারি আছে আমি ৩০ মিনিট কাঁকরোল ভাপা তৈরি করব।৩০ মিনিট পর কাঁকরোল ভাপা হয়ে এলে, চুলা বন্ধ করে দিবো। এখন দেখোন কাঁকরোল ভাপা রেসিপিটি কেমন লোভনীয় হয়েছে।
তৈরি হয়ে গিয়েছে কাঁকরোল ভাপা রেসিপি।এই রেসিপি গরম ভাত, পোলাও সাথে খেতে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
বন্ধুরা, আমার তৈরি করা তরতাজা কাঁকরোল দিয়ে কাঁকরোল ভাপ রেসিপিটি আপনাদের কেমন লেগেছে? যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনাদের কমেন্ট আপনাদের ভালোবাসা ভালো কাজ করার উৎসাহ যোগায়।
ভুল ত্রুটি হলে, ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন।।
এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ইউনিক মনে হল। কেননা এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সবার সামনে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
সরিষা বাটা দিয়ে তরতাজা সুস্বাদু কাঁকরোল ভাপা রেসিপি পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। এভাবে আসলে কাঁকরোল দিয়ে রান্না করা তরকারি খাওয়া হয়নি। রান্নাটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে আমি নিজেও শিখে গেলাম। তাই বাসায় একদিন আপনার মত করে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করব।
কাকরোল আমার কাছে খেতে খুব একটা ভালো লাগে না আমিও খাইও না বেশি মাঝে মাঝে বাসায় আনলে কিভাবে রান্না করবো খুজে পাই না। কাকরোল এর যে এত পুষ্টিগুণ রয়েছে তা আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম ।আর কাকরোল আপনি খুব সুন্দর করে ভাপা তৈরি করেছেন এভাবে করে রান্না করলে মনে হয় খেতে খুবই ভালো লাগবে। দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম আপু।
আপু আপনার হাতের বানানো কাকরোল ভাজি দেখতে অসাধারণ ৷তবে একটা কথা কী কাকরোলের বিচি গুলো আমায় ভাল লাগে না ৷একটা বিরক্তিকর
সরিষা বাটা দিয়ে তরতাজা সুস্বাদু কাঁকরোল ভাপা রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু
আপু সরিষা বাটা দিয়ে এভাবে কখনো কাকরোল ভাপা খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে এই রেসিপি গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আমার কাছে আপনার এই রেসিপি অনেক ইউনিক লেগেছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দারুন হয়েছে আপনার কাকরোল ভাবার রেসিপিটি। কিন্তু এভাবে কখনো কাঁকরোল রান্না করে খাওয়া হয়নি। সত্যি কথা বলতে কি কাকরোল আমাদের তেমন একটা খাওয়াই হয় না। সুন্দর ছিল রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই কাঁকরোল বিভিন্ন ভাবে রান্না করা যায়। যাইহোক আপনার এই নতুন ও টি বেশ ভালো লেগেছে। এভাবে কখনোই খাইনি। আজ নতুন কিছু শিখতে পেরেছি।
অনেক সুন্দর ভাবে কাঁকরোল ভাপা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই রেসিপিটি আগে কখনো দেখিনি। আজ প্রথম দেখলাম। এই রেসিপিটি দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে আশা করি খেতেও অনেক মজা হবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাকরোল দিয়ে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে এমন রেসিপি খেতে আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে সকালের নাস্তায় রুটি দিয়ে হলে তো কোন কথাই থাকে না।।