পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের সুস্বাদু তরকারি রেসিপি "@shy-fox 10% beneficiary
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
চলে এসেছি আপনাদের মাঝে নতুন এবং সুস্বাদু পুষ্টিকর একটি রেসিপি নিয়ে। আমার আজকের রেসিপি চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাকের সুস্বাদু তরকারি।
শীতের শাক পালং শাক। পালং শাক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।এই আয়রন সচরাচর অন্যান্য শাকে কমই থাকে। প্রচুর আয়রন থাকাতে পালং শাক খাওয়ার ফলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
এছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে পালং শাকে।পালং শাক আমরা প্রত্যেকটা মানুষই খেতে পছন্দ করি।সবচেয়ে বেশি স্বাদ লাগে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে। চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাক রান্না করলে আলাদা একটা স্বাদ হয় যা অন্য শাক খেলে এমন স্বাদ লাগেনা। শীত এলে আমি পালং শাক বেশি খেয়ে থাকি।কারণ এই শীতের সময় এই সুস্বাদু শাকটি পাওয়া যায় অন্য সময় তেমন একটা পাওয়া যায় না।
তাই আজকে দুপুরে টাটকা চিংড়ি মাছ পালং শাক রান্না করেছি। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে এই সুস্বাদু রেসিপি টি শেয়ার করি।
তাহলে চলুন দেরী কেন?আমি কিভাবে চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাক রান্না করেছি।তা আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করি।
চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাক রান্নার উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পালং শাক | ১ কেজি। |
চিংড়ি মাছ | পরিমাণ মতো। |
টমেটো | ২ টি। |
কাঁচা মরিচ | ৬ -৭ টি। |
পেঁয়াজ | ৩-৪ টি। |
হলুদ গুঁড়া | হাফ চামচ। |
জিরা,ধনিয়া গুঁড়া | হাফ চামচ। |
সয়াবিন তেল | ৩ চামচ। |
লবণ | পরিমাণমতো |
ধনে পাতা | পরিমাণ মতো। |
প্রথমে আমি পালংশাক গুলো ভালো করে পরিষ্কার করে মাঝারি আকারের টুকরো করে নিলাম। চিংড়ি মাছ গুলো ভালো করে পরিষ্কার করে কেটে নিলাম।এবার আমি পালং শাক এবং চিংড়ি মাছ আলাদা আলাদা ভাবে ধুয়ে নিলাম পরিষ্কার পানি দিয়ে।
![]() | ![]() |
---|
এবার আমি চুলায় একটি হাড়িতে তিন চামচ সয়াবিন তেল দিলাম। তেল গরম হলে, পেঁয়াজ কুচি হাড়িতে দিয়ে দিলাম।এখন আমি পেঁয়াজ কুচি চামচের সাহায্যে নেড়েচেড়ে ভেজে নিব।হালকা বাদামি রং হওয়া পযর্ন্ত।
পেঁয়াজ কুচি গুলো হালকা বাদামি রং হলে,এবার আমি টমেটো টুকরো এবং আস্ত কাঁচামরিচ হাড়িতে দিয়ে দিলাম পেঁয়াজের সাথে। এবার চুলার মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, টমেটো কিছুক্ষণ ভাজব। টমেটো, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ হালকা ভাজা হলে।এবার আমি ধুয়ে রাখা চিংড়ি মাছগুলো হাড়িতে দিয়ে দিলাম।
এবার আমি কাঁচামরিচ,পেঁয়াজ,টমেটো টুকরো এবং চিংড়ি মাছ গুলো হাড়িতে দিয়ে চামচের সাহায্যে কিছুক্ষণ ভাল করে ভেজে নিব। এবার আমি একে একে সব মসলা গুঁড়া হাড়িতে দিয়ে দিব।হলুদ গুঁড়া,জিরা ধনিয়া গুঁড়া এবং স্বাদমতো লবণ।
সব মসলা হাড়িতে দেওয়া হলে,পেঁয়াজ কুচি,কাঁচা মরিচের টুকরো,টমেটো এবং চিংড়ি মাছ গুলোর সাথে ভাল করে ভেজে নিব। সব উপকরণ ভাজা হলে,এবার আমি ধুয়ে রাখা পালংশাক অল্প অল্প করে হাড়িতে দিয়ে দিলাম।
সব উপকরণের সাথে পালংশাকে দেওয়া হলে, এবার আমি চামচের সাহায্যে পালংশাক মসলার সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব। এবার একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট চুলার মাঝারি আঁচে পালং শাক রান্না করবো। ১০ মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে পালংশাকের স্বাদ ঠিক হয়েছে কি না দেখে ধনেপাতা কুচি পালংশাকে ছিটিয়ে দিয়ে নেড়েচেড়ে আমি চুলা বন্ধ করে দিব।
তৈরি হয়ে গেল, খুবই সুস্বাদু এবং আমার পছন্দের একটি রেসিপি চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাকের তরকারি। পালং শাক চিংড়ি মাছের তরকারি গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আমি গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই পছন্দ করি।
বন্ধুরা, আমার রান্না করা চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাকের সুস্বাদু তরকারি। আপনাদের যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।পনাদের কমেন্ট আপনাদের ভালোবাসা ভালো কাজ করার উৎসাহ যোগায়।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনার পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপিটি ভালো হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করবেন প্রতিটি ধাপ।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পালং শাক এমনি খাইতে অনেক মজা লাগে আমার কাছে। আর তা যদি হয় চিংড়ি মাছ দিয়ে তাহলে তো কথাই নাই। অনেক স্বাদের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।😊
আপনি খুব দারুণ সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ আসলে এটি খুব মজাদার একটা রেসিপি। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপি টা দেখে।
জি ভাইয়া,আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ সত্যিই অনেক সুস্বাদু। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের সুস্বাদু তরকারি রেসিপি তৈরি করেছেন দারুন হয়েছে দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন দারুন হয়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।😊
পালং শাক আমার অনেক পছন্দের শাক।যে কোন ছোট মাছের সাথে রান্না করলে ও মজা লাগে।আপনি চিংড়ি দিয়ে খুব চমৎকার করে রান্না করেছেন।ভালো লাগলো।
জি আপু আমারও পালংশাক খুবই পছন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের তরকারি দেখে তো জিভে পানি চলে আসলো। পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। গরম গরম সাদা ভাতের সাথে এই তরকারিটি খাওয়ার মজাই আলাদা। এটা আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। রান্নার প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া,আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন পালং শাক চিংড়ি মাছ দিয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
পালংশাক আমার খুব একটি প্রিয় শাক । মাছের ভিতর দিয়ে পালং শাক খুবই ভালো লাগে । চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাকের রান্নাটি খুবই অসাধারণ দেখতে হয়েছে । মনে হয় মজাদার হবে খেতে ।উপস্থাপনা টি খুবই সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
জি ভাইয়া, পালংশাক আমার খুবই পছন্দের চিংড়ি মাছ দিয়ে পালং শাক রান্না করলে সত্যিই অনেক সুস্বাদু লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
গানাটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। পালংশাক প্রায়ই খাওয়া হয় কিন্তু পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ এটা কখনো খাইনি। ট্রাই করা যায় কিনা দেখব। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
তাহলে দেরি কেন ভাইয়া, একদিন ঘরে ট্রাই করে দেখবেন আশা করি আপনারা অনেক ভালোলাগবে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের সুস্বাদু তরকারি দেখে খুবই ভালো লাগতেছে। আপনার আজকে এই রেসিপিটি খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু, পালং শাক চিংড়ি মাছ দিয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সত্যিই আপনার রান্নাটা অসাধারণ হয়েছে আপু। রান্নাটার কালারটা ও বেশ ভালোই হয়েছে। পালং শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের সুস্বাদু তরকারি দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।