বিকেলের নাস্তা গরম গরম ফুলকপি ঝাল ফ্রাই। মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ "@shy-fox 10% beneficiary
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি।
ফুলকপি আমার খুবই পছন্দের সবজি।ফুলকপি দিয়ে বিভিন্ন রকমের তরকারি আমি রান্না করে খেয়ে থাকি।আমার খুবই ভালো লাগে ফুলকপি। শীত যখন আসে তখন আমার খুবই আনন্দ লাগে কারণ ফুলকপি পাওয়া যাবে।ফুলকপি দিয়ে যেকোনো তরকারি অনেক সুস্বাদু হয়। তবে ফুলকপি দিয়ে আমি শীতের দিনে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি বিকেলে ঝাল নাস্তা হিসেবে ফুলকপি ফ্রাই খেতে।
ফুলকপি ফ্রাই ঝাল নাস্তা সুস্বাদু মচমচে খুবই ভালো লাগে খেতে। শীত এলে ফুলকপি ঝাল ফ্রাই নাস্তা সপ্তাহে তিন-চার বার আমার ঘরে তৈরি করা হয়।
বন্ধুরা, ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর পুষ্টিগুণেও তেমনি ভরপুর। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক পুষ্টি গুণ যা আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। সত্যি কথা বলতে কি প্রতিটি সবজিতে রয়েছে প্রাকৃতিক পুষ্টি গুণ।আমাদের প্রতিটা মানুষের দরকার প্রতিবেলায় সবজি খাওয়া।
তাহলে চলুন মূল কথায় আসা যাক,আজকে বিকেলে নাস্তা হিসেবে ফুলকবি ঝাল ফ্রাই করেছি।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে এই সুস্বাদু রেসিপি ভাগ করে নেয়।
তাহলে চলুন, কিভাবে আমি এই সুস্বাদু রেসিপি টি তৈরি করেছি তা আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে বর্ণনাসহ করে শেয়ার করি।
ফুলকপি ঝাল ফ্রাই করার উপকরন সমুহ "
- মাঝারি আকারের ফুলকপি একটি।
- হাফ কাপ ময়দা।
- রসুন বাটা দুই চা চামচ।
- লাল মরিচ গুঁড়া এক চামচ।
- হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ।
- জিরা,ধনিয়া গুঁড়া এক চা চামচ।
- ম্যাজিক মশলা গুঁড়া এক চা চামচ।
- হাফ কাপ থেকে একটু বেশি সয়াবিন তেল।
- স্বাদ মত লবণ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
* প্রথম ধাপ"
প্রথম ধাপে আমি ফুলকপির ফুল গুলো আলাদা করে নিলাম। এবার ফুলকপির ফুলের ডাটার মধ্যে থাকে আঁশ গুলো আমি ভালো করে পরিষ্কার করে নিলাম। এখন আমি মাঝারি আকারে ফুলকপি গুলো টুকরো করে নিলাম।ফুলকপি টুকরো করা হলে। এবার আমি পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিলাম।
* দ্বিতীয় ধাপঃ
ফুলকপি টুকরো গুলো ধুয়া হলে, একটি হাঁড়িতে এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে,তাতে অল্প লবণ দিয়ে ফুলকপির টুকরো গুলো হালকা সিদ্ধ করতে দিয়ে দিলাম চুলায়। ফুলকপি টুকরোগুলো হালকা সিদ্ধ হলে, চুলা বন্ধ করে দিয়ে ফুলকপি টুকরোগুলো একটা প্লেটে রেখে ঠান্ডা হতে দিলাম।
* তৃতীয় ধাপঃ
ফুলকপি ঠান্ডা করা হলে, এবার আমি ফুলকপি ফ্রাই করার জন্য ময়দা এবং মসলা দিয়ে বিটার তৈরি করে নিব। বিটার তৈরির জন্য প্রথমে একটা বাটিতে হাফ কাপ ময়দা ঢেলে দিলাম।এবার রসুন বাটা দিয়ে দিলাম।এখন আমি একে একে সব মসলার গুঁড়া ময়দার সাথে দিয়ে দিলাম। লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরা,ধনিয়া গুঁড়ো,ম্যাজিক মশলা গুঁড়ো এবং স্বাদমতো লবণ।
বন্ধুরা, আমি যখন কোনো নাস্তা তৈরি করি তখন আমি ম্যাজিক মসলা গুঁড়া ব্যবহার করি। ম্যাজিক মসলা খাবারের স্বাদ বাড়ায় তাই আমি নাস্তার সাথে ম্যাগি ম্যাজিক মসলা দিয়ে তৈরি করি।
* চতুর্থ ধাপঃ
সব মশলা ময়দার সাথে দেওয়া হলে, আমি পরিমাণমতো পানি অল্প অল্প করে ঢেলে চামচের সাহায্যে নেড়ে বিটার তৈরী করে নিলাম। একবারে পানি ঢেলে বিটার তৈরি করা হলে, তখন বুঝা যাবেনা বিটার পাতলা হবে না ঘন হবে তাই অল্প অল্প পানি দিয়ে বিটার তৈরি করতে হবে।
বন্ধুরা,আমি ফুলকপির ঝাল ফ্রাই করার জন্য যে বিটার তৈরি করেছি।তা একদম পাতলাও না একদম ঘন ও না মাঝামাঝি রেখে তৈরি করেছি।
* পঞ্চম ধাপঃ
বিটার তৈরি করা হলে, হালকা সিদ্ধ করা ফুলকপি টুকরোগুলো আমি ময়দা এবং মসলার সাথে একে একে সবগুলো রেখে দিলাম। এবার আমি চুলায় একটি প্যানে হাফ কাপের থেকে একটু বেশি সয়াবিন তেল দিলাম।তেল গরম হলে এমন একটি কাঁটাচামচ দিয়ে আমি ফুলকপিগুলো বাটি থেকে তুলে প্যানে দিয়ে দিলাম ফ্রাই করার জন্য।
* ষষ্ঠ ধাপ "
ফুলকপি টুকরোগুলো একে একে প্যানে দিয়ে চুলার মাঝারি আঁচে ফ্রাই করবো। ফুলকপির একপাশ লাল লাল ভাজা হলে, আরেক পাশ খুব সাবধানে উল্টে দিবো। উল্টানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে তেল কেন ছিটে গায়ে না পড়ে।
লাল লাল ভাজা হলে, এবার আমি একটা প্লেটে টিস্যু পেপার উপর ফুলকপি ফ্রাই গুলো তুলে নিলাম।
তৈরি হয়ে গেল, আমার পছন্দের সুস্বাদু ফুলকবি ঝাল ফ্রাই। বিকেলে নাস্তা হিসেবে ফুলকপি ঝাল ফ্রাই টমেটোর সস দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে।
বন্ধুরা,আমার তৈরি করা ফুলকপির ঝাল ফ্রাই আপনাদের কেমন লেগেছে? যদি ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন।
বিকেলের গরম গরম নাস্তা সত্যিই অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করছেন আপু। এটা আমার কাছে তো ভালো লেগেছেই, আশাকরি সবার ভালো লাগবে। আপনার ফ্রাই তৈরির ধাপ দেখতে দেখতেই খাবার অনুভূতি চলে আসলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য
আপু আপনি আমার আগেই খেয়ে ফেললেন ফুলকপির চপ ।এই চপগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের ।আমি শীতের সময় প্রায় প্রতিদিনই এই চপগুলো বাসায় বানিয়ে খায়। এবার এখনো বানাইনি ।আপনার চপগুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারছিনা মজার মজার চপগুলো সামনে রেখে দিলে কি হয় বলেন আপু ?খুবই সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি শুভেচ্ছা রইল।
আপু,আপনার এত পছন্দের ফুলকপি ঝাল ফ্রাই আমি জানতাম না হলে আপনার বাসায় পাঠায় দিতাম ।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আপু আপনি সাপতায় দুই-তিন দিন ফুলকপি ঝাল ফ্রাই নাস্তা খান। আর এর আগে আমি কখনও শুনিও নাই দেখিও নাই খাই ও নাই। আপনার ফুলকপির ঝাল ফ্রাই দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। এবং অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুন্দর রেসিপিটি জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সেই জন্য নতুন রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যেনো আপনি ঘরে তৈরি করে খেতে পারেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অসাধারণ হইছে আপনার রেসিপি টি বিকালের নাস্তা হিসেবে এটি অনেক জোস। আপনার রেসিপি অনেক সূর্সাদু হইছে দেখে খেতে মনে করছে।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।আর আপনার বিকাল টি ও অনেক সুন্দর ছিল।আপনার প্রতি শুভ কামনা রইলো আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য
এই ফুলকপির ঝাল ফ্রাই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। সত্যি কথা আপু এই ফুলকপির ঝাল ফ্রাই খেলে মুখে লাগে থাকে। একবার খেলে মনে হয় বারবার খেতে। এই রেসিপিটা বিকালের নাস্তা হলে অনেক মজা হয়। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা বিকালের নাস্তার রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ওয়াও আপু জাস্ট অসাধারণ। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। খেয়ে দেখতে পারলে আরো ভালো হতো। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনি আমাদের মাঝে ফুলকপি ঝাল ফ্রাই শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। যেন সবসময় এমন সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদেরকে উপহার দিতে পারেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার ফুলকপির ঝাল ফ্রাই টি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এরকম রান্নার রেসিপি আমি কখনো দেখিনি। আর দেখেই খুবই ভালো লাগলো। আর তাই আমার পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আমি নিজেও এই শীতকালে প্রায়ই ফুলকপির তরকারি খেয়ে থাকি।আমার ভীষণ ভালো লাগে।কিন্তু আপনার এই ফুলকপির পকোড়া দেখে আমার কিন্তু খুব লোভ লাগছে।আপনি একদমই ঠিকই বলেছেন বিকেলের নাস্তা হিসেবে ফুলকপি ফ্রাই খেতে দারুন লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি।শীতের সময়ে এগুলো খেতে আলাদা মজা।
জী দাদা, শীতের দিনে বিকেলের নাস্তা ফুলকপি ঝাল ফ্রাই খেতে অনেক সুস্বাদু। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা🙏
বিকেলের নাস্তা গরম গরম ফুলকপি ঝাল ফ্রাই অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন আপু। আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপ প্রয়োজনীয় উপকরণ দারুণভাবে আপনি তুলে ধরেছেন এবং আপনি বরাবরই ভাল রান্না করে থাকেন। একদম নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হন। খুবই ভালো লাগে