🌼লাষ্ট ফ্রাইডে🌹|| নাটক রিভিউ || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- লাষ্ট ফ্রাইডে
- ০৪, ফেব্রুয়ারি ,২০২২
- শুক্রবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করছি ।আশাকরি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
পরিচালক | বি.ইউ.শুভ |
লেখক | দয়াল শাহা |
বিভাগ | লেজার ভার্সন |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | আফরান নিশো, তানজিন তিশা, মিলি বাশার, জান্নাতুল তুর্কি,নয়ন চৌধুরী, আরও অনেকে। |
আমি আগে কখনো নাটক বা মুভি রিভিউ পোস্ট করিনি।আজ একটি নাটক দেখার চিন্তা ভাবনা করলাম। আমার কাছে মুভি থেকে নাটক দেখতে বেশি ভালো লাগে। আমি প্রায়ই নাটক দেখে থাকি।ছোট পর্দার অভিনেতা আফরান নিশোর করা নাটক গুলো আমার বেশ ভালো লাগে। তার করা নাটক গুলোই বেশি দেখা হয়। নাটকের অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেছে তানজিন তিশা সেও একজন ভালো মডেল হিসেবে পরিচিত।
নাটকটির নাম দেওয়া হয়েছে লাস্ট ফ্রাইডে।মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন সংগ্রামের বিষয় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। আফরান নিশো মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান কিন্তু তার বাবা গ্রামে বসবাস করে। গ্রামে তাদের একটি বড় পুকুর আছে তার উপর জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।অন্যদিকে তানজিন তিশা শহরে বসবাস করে কিন্তু তার বাবা মারা যাওয়ায় সংসারের দায়িত্বগুলো বড় মেয়ে হিসেবে তার কাঁধে পড়ে।গল্পের শুরুর দিক থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকে। আফরান নিশো শহরে থেকে বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্য দিকে তানজিন তিশা বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে সংসার চালায় যেটা খুবই কষ্টকর।
আফরান নিশো গত কয়েকবার বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি।তিনি শেষবারে মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে যেটা বাবার দেওয়া শেষ সুযোগ। অন্যদিকে তানজিন তিশা যে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ায় তার পড়ানো ছাত্রটি বারবার গণিতে ফেল করে।তানজিন তিশার ছোট একটি বোন থাকে যার পড়ার টাকা দিতে গিয়ে তাকে হিমশিম খেতে হয়।তার ছোট বোনের সামনে পরীক্ষা ফরম ফিলাপ তিন দিনের মধ্যে টাকা জোগাড় করতে হবে। এই দিকে তার টিউশনি করা টাকা মাস শেষ হওয়ার পর পাবে। তানজিন তিশা তার বোনকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে কালকেই তোর ফরম ফিলাপের টাকা পেয়ে যাবি। এই বলে টিউশনি করতে চলে যায়।তানজিন তিশা তার ছাত্রকে পড়াতে গিয়ে ছাত্রের অভিভাবক গতকাল থেকে আসতে নিষেধ করে কারণ তার ছাত্র বারবার গণিতে ফেল করায় অভিভাবক এই সিদ্ধান্ত নেয়। যেটা তার জন্য জীবনে কষ্টের সংবাদ ছিল। এই প্রাইভেট পড়ানোর মাধ্যমে তার সংসারের সকল দায়-দায়িত্ব কোনভাবে চালিয়ে যেত সেটাও তিনি হারিয়ে ফেলেন। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন । তিন দিনের মধ্যে তার ছোট বোনের ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করতে হবে।
তানজিন তিশা হতাশায় তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড সেট বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ তার ছোট বোনের ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করতেই হবে। তিনি একটি দোকানে গিয়ে তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড সেট বিক্রি করে দিয়ে তার ছোট বোনের ফরম ফিলাপের টাকা ছোট বোনের কাছে হাসিমুখে দিয়ে দেয়।
আফরান নিশো বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে লেখাপড়া করতে থাকে। যেটা তার জীবনের শেষ সুযোগ তার গ্রামের বাবার কথা স্মরণ করে তিনি বিসিএস এর জন্য প্রস্ততি নিতে থাকে। আফরান নিশো ও তানজিন তিশা তারা দুজনেই দুজনকে অনেক ভালোবাসে। বিকেলে তাদের জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প একে অপরের সাথে শেয়ার করে ।প্রায়ই তানজিন তিশা আফরান নিশোকে বিয়ের জন্য প্রেসার দেয়। আফরানা নিশো তানজিন তিশার কাছ থেকে বিসিএসের অজুহাত দেখিয়ে সময় নেয় বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করলেই তাকে বিয়ে করবে। এদিকে তানজিন তিশার বাবার বন্ধু তানজিন তিশার মায়ের কাছে তার বিবাহের জন্য পাত্র খোঁজ নিয়ে আসে। অনেকবার রিকোয়েস্ট করে তানজিন তিশার মায়ের কাছে যে তাকে বিয়ে দিতে হবে অনেক বয়স হয়েছে পরিবারের হাল ও সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে ভালো একটি পাত্র পেয়েছে। অবশেষে তানজিন তিশাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হয় ।যেটা তার জন্য খুবই কষ্টের ছিল আফরান নিশো কে না জানিয়ে তানজিন তিশা বিয়ে করে ফেলে। আফরান নিশো তার খোঁজ খবর না পেয়ে তানজিন তিশার বাড়িতে চলে যায় ।তার মায়ের মাধ্যমে জানতে পারে তার গত দুইদিন আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। যেটা তার জন্য খুবই কষ্টের সংবাদ ছিল এভাবেই নাটকটি পরিসমাপ্তি ঘটে।
নিজের কিছু মতামত
আসলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা কঠিন কষ্টের মাধ্যমে জীবনযাপন করে থাকে। যেটা কারো সাথে শেয়ার করতে পারে না মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে। তাদের জীবনের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষা এভাবেই নষ্ট হয়ে যায়। জীবনটাই অনেক কষ্টের মাধ্যমে পার করতে হয়। আমার কাছে নাটকটা অনেক ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার নাটকের রিভিউটি পড়ে মনে হল যে পুরো নাটকটি আমি অল্প সময়ের মধ্যে দেখে ফেললাম। আপনি খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউটি দিয়েছেন। আসলেই মধ্যবিত্ত পরিবারের অবস্থা এমনই থাকে। না যা কাউকে বলা যায় নিজে সহ্য করা। খুব ভালো লাগলো আপনার রিভিউটি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাংলাদেশের এই নাটকগুলো আমার খুব প্রিয়। সময় পেলেই দেখতে বসে যাই। অল্প সময়ে বেশ ভালো উপভোগ করা যায়। লাস্ট ফ্রাইডে নাটকটা দেখিনি এখনও। তবে রিভিউ পড়ে মনে হল পুরো নাটক টাই হালকা করে দেখে নিলাম 😊। খুব সুন্দর উপস্থাপন ছিল।
দেখবেন আপু খুলে সুন্দর নাটক ধন্যবাদ। ❤️
এই নাটকটি আমি দেখেছি ।অসাধারণ এই নাটকটা। আর আপনি যদি বলেন নাটক জগতে কার নাটক আমি বেশি দেখি। আমি এক কথাই বলতে পারি আফরান নিশো ।আমি তার বড় একটা ফ্যান বলতে পারেন ।আপনার নাটকটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম নাটক সমন্ধে। আশা করি আরও সুন্দর সুন্দর নাটকের রিভিউ আপনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পারবো। শুভকামনা রইল।
আমার কাছেও আফরান নিশো বেস্ট অভিনেতা ধন্যবাদ।