🌹♥️ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কিছু কথা♥️🌹 ||১০% লাজুক খ্যাকের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কিছু কথা
- ১৪, ফেব্রুয়ারি , ২০২২
- সোমবার
আপনার সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। প্রতিটি মানুষের ভেতরে হৃদয়ের আবেগ ও অনূভুতি বিদ্যামান রয়েছে যেটা ভালোবাসায় রুপ নেয়। সেই অনূভুতির কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার কাছে ভালোবাসা দিবসের উপর নির্ভর করে নাহ।ভালোবাসার অনূভুতি এক এক জনের কাছে ভিন্ন হতে পারে কিন্তু সেখানে আবেগ একটি বিষয় আছে। যাইহোক, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসাকে বাড়িয়ে দেয় নাহ কিন্তু স্মরণ করিয়ে দেয়। ভালোবাসা দিবসের উৎস নিয়ে কিছু কথা বলবো।ভালোবাসা দিবস বা সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে যা ভালোবাসার উৎস বলা হয়ে থাকে। এই ভালোবাসা দিবস একটি বিশেষ কারণের জন্য পালিত হয়ে আসছে ।বিশেষ করে একজন বা দুইজন খ্রিস্টীয় পাদ্রী শহীদ হওয়ায় তাদের স্মরণ করার মাধ্যমে ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি ঘটে। কিন্তু আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশে ভালোবাসা দিবসের ব্যাপক সাড়া জাগে সেই থেকে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
যেকোনো দিবস পালনের ক্ষেত্রে কিছু ভিত্তি যুক্ত কারণ থাকে সেই কারণ গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে এক জন খ্রিস্টান পাদ্রী ধর্মীয় ও চিকিৎসক ছিলেন তার নাম ছিল সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। সেই সময়ে রোম সাম্রাজ্যের খ্রিস্টান ধর্মের প্রচার নিষিদ্ধ ছিল ।সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ব্যক্তি ধর্ম প্রচারের জন্য সেই দেশের শাসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে জেলে কারারুদ্ধ করে। তিনি জেলে বন্দী অবস্থায় এক কারারক্ষী দৃষ্টিহীন মেয়ের চোখের চিকিৎসা করে সুস্থ করেন। সেই থেকে তার চারিদিকের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় ।তারপর সেই রাজ্যের সম্রাট তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিনটি ছিল ১৪ ই ফেব্রুয়ারি । অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও প্রথম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কে স্মরণ করে দিবস পালন করে। এভাবেই যুগের পর যুগ ভালোবাসা দিবসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। সেখান থেকেই মানুষ এই দিনে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করতে থাকে।
আমাদের দেশেও এই দিনে ইয়াং জেনারেশন খুব উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করে থাকে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ততা রেখে এই দিবসটি পালিত হয়। আবার বাংলার পঞ্জিকা অনুসারে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি বসন্ত অর্থাৎ পহেলা ফাল্গুন। যেটা প্রতিনিয়ত উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে সমাজের তরুণ ছেলে মেয়ে এই দিবসটি আনন্দের সাথে পালন করে থাকে ।তাদের ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করে। অনেকে ভালোবাসা বলতে তার প্রিয় মানুষটির আবেগ-অনুভূতির গল্প তুলে ধরার বিষয়টাকে প্রাধান্য দেয়। প্রতিটি মানুষের হৃদয় থেকে ভালোবাসার অনুভূতি জাগ্রত হয়ে থাকে। আমার কাছে ভালোবাসা বলতে প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটা ক্ষণ সবসময় সমভাবে বিরাজমান। পৃথিবীতে ভালবাসার কাছে সবকিছুই হার মানে। মানুষ একটু ভালোবাসার জন্য তার জীবনের সব কিছু বিলিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করে না। আমি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমার ভালোবাসার প্রিয় মানুষ মা ও বাবাকে স্মরণ করি। যারা পৃথিবীতে আমার শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার মানুষ। মায়ের ভালোবাসার কাছে পৃথিবীর সব ভালোবাসা পরাজিত । যেটা যুগের পর যুগ প্রমাণিত হয়ে আসছে। মা তার সন্তানের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধাবোধ করে না এটাই প্রকৃত ভালোবাসা। প্রতিটি মানুষের জীবনে ভালোবাসার উৎফুল্ল পরিবেশ বজায় থাকুক সেটাই কামনা করি। সবার ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু ভালোবাসার অনুভূতির গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর ইতিহাস আমি সত্যি আগে জানতাম না আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই অনেক উপকার হল। আপনি অনেক চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে ভ্যালেন্টাইন্স ডের শুভেচ্ছা ভাইয়া। এমন সুন্দর একটি পোষ্ট আপনি আমাদের মাঝে সাজিয়ে-গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন যেটি সত্যি অনেক প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ❤️❤️❤️❤️❤️
পড়া ও জানার জন্য ধন্যবাদ ভাই।❤️❤️
ভালোবাসা দিবস কেনো পালিত হয় সেই সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে সব কিছু তুলে ধরেছেন।কিন্তু এখনকার ভালোবাসাগুলো আগের মতো নেই।তবে কিছু কিছু ভালোবাসা স্বার্থ ভাবে গড়ে ওঠে।আমাদের সকলের উচিত ওই ভালোবাসা আকড়ে ধরে বাঁচা।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুগঠিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ। 😍😍