নাটকের রিভিউ "রেড রোজ" || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- নাটক রিভিউ
- ০৬, ফেব্রুয়ারি ,২০২৩
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে রেড রোজ নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাম | রেড রোজ |
---|---|
পরিচালক | নাভিল আহমেদ অভি । |
অভিনয় | আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী । |
দৈর্ঘ্য | ৩৯. ৪১ মিনিট । |
ধরন | শিক্ষামূলক, বাস্তবধর্মী । |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ২৬.০১.২০২৩ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ
নাটকটিতে জয়া নামে অভিনয় করে মেহজাবিন চৌধুরী আর আফরান নিশো অভিনয় করে জাকির নামে। জয়া সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হাঁটাহাঁটি করতে চলে যায়। তারপর হাটাহাটি শেষ করে বাসায় ফেরে। তার বাবা তাকে দেখে বলে কোথায় গিয়েছিলে এত সকালে সে বলে কেন তুমি জানো না আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন হাটাহাটি করি। তার বাবা তাকে ধন্যবাদ জানায় হাঁটাহাঁটি করার জন্য। তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করে তোমার লেখাপড়ার কি অবস্থা? তখন জয়া বলে সবকিছু ঠিকঠাক এইতো আজ থেকে এক্সাম শুরু। তার বাবা শুনে অবাক হয়ে যায় বলে ও তাই নাকি তো কেমন প্রস্তুতি আগের চেয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। সে তার বাবাকে আশ্বাস দেয় এবার আমার প্রস্তুতি অনেক ভালো তুমি চিন্তা করো না এবার ভালো রেজাল্ট করব। তার বাবা তার কথা শুনে খুশি হয়।
তারপর সে রেডি হয়ে পরীক্ষার জন্য ভার্সিটিতে চলে যায়। এদিকে তার বন্ধুরা তার জন্য অপেক্ষা করে। একসাথে বসে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে গ্রুপ স্টাডি করতে থাকে বিভিন্ন প্রবলেম সলভ করতে থাকে। তারা চার বন্ধু মিলে একটি বিষয় সমাধান করতে পারছিল না। সিলভার কার্বনেট এবং নাইট্রিক অ্যাসিড বিক্রিয়া করে কি হয় সেটা তারা সমাধান করার চেষ্টা করছিল।সবাই সবাইকে চেষ্টা করতে বলে কিন্তু কেউই পেরে উঠছে না। জয়া নাজমুলকে বলে এতক্ষণ ধরে তো কিছুই পারলি না। নাজমুল বলে আর একটু ওয়েট কর আমি এক্ষুনি সমাধান করে দিচ্ছি তার আরেক বান্ধবী বলে কখন থেকে বলে যাচ্ছিস সমাধান করছি কিন্তু সেটা আর দেখতে পাচ্ছি না। তার পাশে জাকির বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে বলে সিলভার কার্বনেট এবং নাইট্রিক এসিড বিক্রিয়া করে সিলভার নাইট্রেট পানি এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
জাকিরের কথা শুনে তারা চার বন্ধু অবাক হয়ে যায় তারা মিলিয়ে দেখে সব ঠিক আছে। তারপর তাদের পরীক্ষার টাইম হয়ে যায় তারা পরীক্ষা দিতে চলে যায়। পরীক্ষা শেষ করে বাইরে আয় এসে দেখে সেই লোকটি ওই জায়গাতে বসেই আছে । তারপর জয়া গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি এখনো বসে আছেন কেন? তারপর জাকির বলে আমার বাসা গ্রামে চাকরির সুবাদের আমি একজনকে টাকা দিয়েছি ভালো চাকরি দিবে বলে কিন্তু শহরে এসে তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। সে এখানে এসে আমাকে অপেক্ষা করতে বলছিল। তখন জয়া এবং তার বন্ধুরা বুঝতে পারে লোকটি ফাঁকিবাজি লোকের হাতে পড়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি এখন কি করবেন? সে বলে আমার এখানে কেউ নেই কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। জয়া তার বন্ধুদের তাদের বাসায় নিয়ে যেতে বলে কিন্তু কেউই জাকিরকে নিয়ে যেতে চায় না। বলে এরকম একটা আনস্মার্ট লোককে নিয়ে গেলে সবাই কি ভাববে।
তখন জয়া নিজেই তার বাসায় নিয়ে যেতে সম্মতি প্রকাশ করে কিন্তু জাকির যেতে চায় না। তবুও তাকে জোর করে তার স্কুটিতে ছড়িয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জয়া তার বাসায় পৌঁছানো মাত্রই গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে জাকির লজ্জা পায়।জয়া তাকে জোর করে ভিতরে নিয়ে যায়। তার বাবা গেট খুলে জাকিরকে দেখে অবাক হয়। কে এই লোক কোথায় থেকে এসেছে? তারপরে তার বাবা তার সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করে যখন বলে তোমার গ্রামের একজন লোক তিনি শহরে চাকরি সুবাদে এসেছিলেন কিন্তু বিপদে পড়েছে। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তখন তার বাবা বুঝতে পারে জাকির কে ভিতরে নিয়ে বসতে দেয়। জয়া তাদের গেস্ট রুম দেখিয়ে দেয়। যেটা একটু অপরিচ্ছন্ন ছিল নিজেই রুমটি পরিস্কার করার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুক্ষণ পর জাকির কে পরিষ্কার করে নিতে বলে।
জয়া সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে জাকির এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি। তাকে ডেকে উঠিয়ে নাস্তা খেতে দেয় তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করে গ্রামের লোক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে আপনি এত দেরি করেছেন কেন। সে বলে আমি খুবই ক্লান্ত সেজন্য আজ ঘুম থেকে উঠতে লেট হয়ে গেছে। জাকির ফ্রেশ না হয়ে ওভাবে নাস্তা খেতে থাকে। জয়া অবাক হয় আপনি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেলেন না কেন যাকে বলে রাতে প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল সেজন্য ফ্রেশ হতে মন চাইলো না। জয়া কিছুটা অবাক হয় তারপর তাকে বলে আচ্ছা ঠিক আছে। এদিকে জয়ার বাবা অফিসের কাজের জন্য বাইরে যাবে। সেজন্য জয়াকে ডেকে সবকিছু বুঝিয়ে বলে সে যেন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে। জয়া তার বাবাকেও বলে তুমি ঠিকমতো ওষুধ খেতে হবে তোমাকে তা না হলে অসুস্থ হয়ে যাবে। আমার থেকে তোমার সাবধানতা বেশি অবলম্বন করা উচিত তার বাবা খুশি হয়ে তার কাছ থেকে বিদায় নেয়।
আবার জয়া তার বন্ধুদের সাথে একত্রিত হয় সকল বন্ধুকে দেখে একটু চিন্তিত মনে হচ্ছিল। সবাই একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছে ভার্সিটির হান্নান স্যারের এসাইনমেন্ট এখনো কমপ্লিট করতে পারেনি। নাজমুল বলে জয়া আমি তোরটা করে দেব জয়া বলে এরকম বলিস শুধু কখনো করে দিস না। তারপর বলে আচ্ছা ঠিক আছে যে যার মত এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে নিস। একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে এখন কি করব সে বাসায় এসে দেখে জাকির তার রুমে কি যেন করছে এসে দেখে কবিতা লিখছে তাকে বলে তার এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে দিতে জাকির রাজি হয়ে তার এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে দেয়। জাকিরের লেখা কবিতাটি পড়ে সে মুগ্ধ হয় সেখানে লেখা ছিল লাল শাড়ি লাল টিপ লাল ঠোঁট নিয়ে দারুণ কবিতা লেখা। তাকে জিজ্ঞাসা করে কাকে নিয়ে কবিতা লিখছো সে বলে কাল্পনিক একটি মেয়েকে নিয়ে তার কথা শুনে জয়া অবাক হয়।
জাকির জয়ার বাসায় চাকরির প্রস্তুতি নেয়। জয়া একটি কোম্পানির সার্কুলার পেলে তাকে সেই কোম্পানিতে চাকরির জন্য ভাইবা দিতে নিয়ে যায়। জাকিরের তেমন ভালো পোশাক ছিল না তাই জয়া তার বাবার পোশাক এনে দেয় তাকে রেডি হওয়ার জন্য। সে কোনভাবেই পড়তে চায় না জাকির বলে আমার যা আছে তাই নিয়ে রেডি হই কিন্তু জয়া বলে এগুলো তোমাকে পড়তেই হবে। জয়া জাকিরের সাথে সেই কোম্পানিতে যায় জাকিরের প্রস্তুতি অনেক ভালো ছিল সেই অনুযায়ী ভাইবা ভালো হয় কিন্তু কোম্পানির ম্যানেজার তাকে পছন্দ করে না তারপর সেখান থেকে তারা দুজন রাগ করে চলে আসে। জয়া এবং জাকিরের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় দুজন দুজনকে অনেক ভালবেসে ফেলেছে। বিভিন্ন জায়গা তারা দুজন ঘুরাঘুরি করতে চলে যায়।
এইদিকে তার বাবা বিজনেসের কাজ শেষ করে বাসায় । ফিরে আসে। তারপর জয়া বলে তোমার জন্য একটা গুড নিউজ আছে জয়া খুশি হয়ে বলে কি গুড নিউজ। তখন জয়ার বাবা বলে তোমার জন্য একটি ছেলে দেখেছি খুবই ভদ্র অনেক ভালো ছেলে। আমার বিজনেস পার্টনারের ছেলে তখন জয়ার মন খারাপ হয়। আমি এখন বিয়ে করতে চাই না তবুও বাবার দিকে তাকিয়ে হাসে। এদিকে তার বন্ধু নাজমুল আসে তার বাসায় একটি নোট দিতে । তার বাবার সাথে কথা বলে যাওয়ার সময় তার বাবাকে বলে আংকেল একটা কথা জিজ্ঞাসা করব কিছু মনে করবেন না। জায়ার বাবা বলে ঠিক আছে বল জয়া তাদের বাসায় থাকা ছেলেটির সাথে অনেক মিশাবেশ করছে যে ছেলে পরিচয় বংশের ঠিক নেই । তখন তার বাবা অবাক হয় এ বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকে সিদ্ধান্ত নেয় তাকে বাসা থেকে বের করে দিবে। তারপর জয়ার অনুপস্থিতিতে জাকির কে এক্ষুনি বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে জাকির তারপর বাসা থেকে চলে যায় একটা চিঠি লিখে টেবিলের উপর রেখে যায়।
এইদিকে জয়া লাল শাড়ি, লাল টিপ, লাল গোলাপ নিয়ে তার রুমের সামনে অপেক্ষা করে তাকে অনেকবার ডাকে কিন্তু সাড়া পায় না । জয়া রুমের ভিতর ঢুকে তাকে না পেয়ে একটা চিঠি লেখা দেখতে পায়। জয়া চিঠিটা পড়ে অনেক কান্নাকাটি করে এভাবে তার ছয় মাস চলে যায় তারপর তার বাবা তাকে বিয়ে দিয়ে সেই ছেলেটির সাথে। জয়ার হাসবেন্ড অনেকদিন খেয়াল করে সে সবসময় মন খারাপ করে বসে থাকে। একদিন হঠাৎ তাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি কেন মন খারাপ করে বসে থাকো? সেদিন জয়া তার হাসবেন্ডকে বলে আমি একজনকে ভালবাসতাম এখনো আমি তাকে ভালোবাসি তাকে কখনো আমি ভুলতে পারবো না। তখন তার হাজবেন্ড তাকে বলে তুমি আগে বলনি কেন। জয়া বলে সে আমাকে ফেলে কোথায় চলে গিয়েছে এখনো জানিনা শুধু আমার কাছে তার একটা ছবি আছে । ছবিটি দেখে তারা হাসবেন্ড অবাক হয়ে যায় তার কোম্পানির একটি পোস্টে চাকরি করে সে অফিসে গিয়ে তাকে তার রুমে ডেকে জিজ্ঞেস করে।
জয়ার হাসবেন্ড বলে জাকির সাহেব তোমার ভালোবাসাকে আমি যদি ফিরিয়ে দিই তাহলে তুমি কি গ্রহণ করবে !অনেকক্ষণ জাকির ভাবার পর উত্তর দেয় এটা এখন কিভাবে সম্ভব তখন তিনি বলে আগামীকাল আমাদের যে প্রজেক্ট চলছে তারই রাস্তার পাশে অপেক্ষা করবে। জাকির সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করে জয়া তার হাসবেন্ড তাকে নিয়ে সেই জায়গায় যায়। গাড়ি থেকে নেমে জয়া যখন জাকিরের কাছে যাবে এই দিকে তার হাসবেন্ড পরিকল্পনা করে গাড়ি রেডি করে রাখে যেটা জাকিরকে আঘাত করে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। জাকির হসপিটালে নিয়ে গেলে সে মারা যায় যেটা কোন ভাবে জয়া মেনে নিতে পারে না জাকির মৃত্যুবরণ করে এই দিকে জয়া পাগল হয়ে যায়। এখানে নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে।
শিক্ষা
নাটক থেকে শিক্ষণীয় বিষয়টি হলো কাউকে ঠকিয়ে নিজে কখনো বড় হওয়া যায় না। প্রতিটা মানুষের মধ্যেই ভালোবাসা ভালোলাগার বিষয়টি রয়েছে। সেজন্য প্রতিটা মানুষের ভালোবাসা এবং অধিকারকে মূল্য দিতে হয়। একজন মানুষ হিসেবে তার বড় পরিচয় মনুষ্যত্ব, সততা, আর যোগ্যতা। একজন মানুষের বংশ দারিদ্রতা তার চলাফেলার সরলতা কখনোই তাকে ছোট করে না তার যোগ্যতা তার গুণকেই বড় করে দেখা উচিত। যেটা আমাদের সমাজে অনেকেই বুঝতে চায় না। সেই কারণে বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি কয়েকদিন আগেই রিলিজ পেয়েছে কিন্তু আমার দেখা হয়নি। আফরান নিশো যে অভিনয়ে অল স্কয়ার সব ধরনের অভিনয়ে সে পারফেক্ট। মেহজাবিন অনেক ভালো অভিনয় করে তাদের দুজনের জুটি অনেক মানায় নাটকের গল্পটা চমৎকার ছিল। তাছাড়া মিউজিক, সাউন্ড সিস্টেম সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকের লিংক
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
নাটকের শেষ অংশটুকু অনেক কষ্টকর ছিল। জয়ার হাজবেন্ড পরিকল্পনা করে জাকির কে গাড়ি চাপা দেয় আর জাকির মারা যায়। হয়তো জয়া জাকিরকে অনেক বেশি ভালোবাসতো তাই তার মৃত্যু সহ্য করতে পারেনি এজন্য সে পাগল হয়ে গিয়েছিল।
চেষ্টা খুবই কষ্টের ছিল অমানুষিক কর্মকাণ্ডের পরিচয় দিয়েছে জয়ার হাসবেন্ড সত্যিই যেটা বাস্তবে জীবনে অনেক জায়গায় ঘটে।
এই নাটকটিতে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। আসলে কাউকে ঠকিয়ে নিজে কখনো বড় হওয়া যায় না। জয়ার হাজবেন্ড জাকিরকে বলে জয়াকে এখন গ্রহণ করবে কিনা। পরে তাকে একটি জায়গায় অপেক্ষা করতে বলে এবং জয়া আসার সময় জয়ার হাজবেন্ড পরিকল্পনা করে জাকিরকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলে। এরপর জয়া পাগল হয়ে যায়। খুবই বেদনাদায়ক ছিল এই নাটকের শেষের অংশটি। শেষের অংশ পড়ে খুবই খারাপ লেগেছিল। এমনিতে আমার কাছে নাটকের রিভিউ পড়তে ভীষণ ভালো লাগে।
হ্যাঁ কাউকে কখনো ঠকিয়ে বড় হওয়া যায় না নিজের বুদ্ধিমত্তারার অতিরক্ত ব্যবহার যেটা অকল্যাণকর সেটাই পরিলক্ষিত হয়।
নাটকটি আমার কাছে জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে।
আমি তো গল্পটার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। জয়ার হৃদয়ে জাকির ছাড়া আর কেউ ছিল না। জয়ার স্বামী এতো বড় অন্যায় করেও শেষ পর্যন্ত জয়াকে পেলো না। আসলে ভালোবাসা মাঝে মাঝে এভাবেই হারিয়ে যায়। বেশ ভালো লেগেছে রিভিউ পোস্টটি।
অন্যায় করে কেউ ভালো থাকতে পারে না সেজন্য অতি লোভে তাঁতি নষ্ট যতটা চালাকি করেছে ততটাই বিপদে পড়েছে।
আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। এই নাটক আগে দেখা হয়নি তবে আজ আপনার রিভিউ পড়ে দেখার আগ্রহ জেগেছে। নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি কাউকে ঠকিয়ে নিজে কখনো সুখি হওয়া যায় না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
আপনার কাছে নাটকটি ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো আমিও নাটক দেখতে খুবই পছন্দ করি।
শুরু থেকেই এই নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে ভীষণ ভালোই লাগছিল কিন্তু শেষের দিকে যখন পড়ি তখন সত্যি ভীষণ খারাপ লাগে। জয়ার হাসবেন্ড পরিকল্পনা করে জাকির কে মেরে ফেলে গাড়ি চাপা দিয়ে। তাকে আশায় রাখে জয়াকে ফিরিয়ে দেবে কিন্তু শেষে এরকম করল। জাকিরের মৃত্যু এই সময় জয়া একেবারেই পরিকল্পনা করতে পারেনি তাই সে পাগল হয়ে গেল। ভাবছি এই নাটকটি সময় পেলে দেখে নেব কারণ আমার এখনো নাটকটি দেখা হয়নি তাই। তবুও আপনার রিভিউর মাধ্যমে পড়ে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আপনার মত আমার অনেক খারাপ লেগেছিল শেষটা তো খারাপ ছিল কখনোই ভাবেনি।
নাটকটি আমি একবার দেখেছিলাম। যার কারনে আপনার রিভিউটা পড়ার সাথে সাথে কাহিনীটা মাথায় বসে গেছে। জাকিরের প্রতি ধীরে ধীরে জয়ার ভালবাসা সৃষ্টি হয়। তবে জাকিরের শেষ মৃত্যুটা মেনে নিতে পারলাম না। জয়ার স্বামী কাজটা ভাল করে নি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ যেটা অনেক কষ্টের ছিল সেজন্যই জয়া পাগল হয়ে গেল এরকম বাস্তবিক জীবনে অনেক জায়গা ঘটে।
বাংলাদেশের নাটক দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি আজ খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন। নাটকটি পড়ে বুঝতে পারলাম এই নাটকে অনেক শিক্ষনীয় জিনিস রয়েছে। তার ভিতরে আছে কাউকে ঠকিয়ে নিজের কখনো জয়ী হওয়া যায় না। তবে নাটকের শেষের দিকে এসে একটু মনটা খারাপ হয়ে গেল। জাকির কে মেরে ফেলার জন্য জয়া লাস্টে পাগল হয়ে গেল। সময় পেলে নাটকটা একবার দেখে নেব নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আমিও মুভি থেকে নাটক দেখতে বেশি পছন্দ করি নাটক কি বেশি দেখা হয় এই নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল।
আরফান নিশো তো সব সময়ে অল স্কয়ার। আমার তো বেশ ভাল লাগে তার নাটক। তবে সুন্দর আজকের নাটকটি। নাটকটিতে বেশ শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। জীবনে কেউ কাউকে ঠকিয়ে সুখি হতে পারে না। তার পরিনাম তাকে বহন করতেই হয়। দেখি একবার দেখবো নাটকটি।
হ্যাঁ আপু জীবনে কেউ কাউকে ঠকিয়ে সুখী হতে পারেনা সেই দৃশ্যটি ফুটে তোলা হয়েছে নাটকটিতে।
খুবই চমৎকার একটি নাটক রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই নাটকটি আমি কয়েক মাস আগে দেখেছি সত্যিই নাটকটা শেষের দিকে যে খুবই দুঃখ লেগেছে। মূলত পরিকল্পনা করে কাউকে হত্যা করা হয়েছে যেটা নাটকের শেষ অংশের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়। আর প্রেমিকের মৃত্যু মেনে না নিতে পেরে অবশেষে সেও পাগল হয়ে যায় সত্যিই ভালোবাসা হয়তো বা এমন। ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর নাটক রিভিউ দেখে।
হ্যাঁ শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা করে যে স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিলেষ সেটা সম্ভব হয়নি।