👑ভাগ্নের জন্মদিন বলে কথা👑|| ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- ভাগ্নের জন্মদিন বলে কথা
- ০৬, মার্চ ,২০২২
- রবিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ দিনটি ছিল খুবই সুন্দর একটি দিন সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি । আশাকরি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে।
Device : A20s
ভাগ্নের জন্মদিন পালনের কিছু মুহূর্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
প্রতিটি মানুষের জীবনে সুখ দুঃখের অন্তর্নিহিত বিষয় রোহিত রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষেত্রে সেটা ভিন্ন হয়ে থাকে। আজকে আমি সুন্দর মুহূর্তের সাথে কিছু দুঃখের বিষয় তুলে ধরব। প্রতিটি মানুষকে বিভিন্নভাবে সংগ্রাম করে জীবনকে টিকিয়ে রাখতে হয়। জীবনে সুস্থতা সবার জন্যই কাম্য মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পছন্দ করে। মানুষ কোন না কোনভাবে অসুস্থতার সম্মুখীন হতে হয় সেটা মানুষভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আমার সাথে রয়েছে চাচাতো বোনের ছেলে আমার ভাগ্নে।
জন্মলগ্ন থেকে আমার ভাগ্নে হিমোফিলিয়া রোগের সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছে। যেটা খুবই মারাত্মক একটি রোগ হয়তো এই রোগ সম্পর্কে অনেকের অজানা আবার অনেকের জানা থাকতে পারে। এই রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমার অনেক কিছুই জানা রয়েছে। আমার আপন চাচাতো দুই ভাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। আমার সমবয়সী চাচাতো ভাই আট বছর বয়সে মারা যায়। যেটা আমার জন্য খুবই কষ্টের খবর ছিল। এটি বংশগত একটা ব্যাধি যা আমার চাচাতো বোনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। এই রোগের ভয়াবহতার আরেকটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করি। সেটা হলো কোন ভাবে আহত হয়ে কেটে গেলে রক্ত বন্ধ হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট ব্যতীত প্রাথমিক চিকিৎসায় রক্ত বন্ধ করা সম্ভব নয়। তার জন্য পরিবারের সকলকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হয় ।কোন ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।
তিন চার মাস আগের কথা দিনটি ছিল শুক্রবার। একটি কথা বলাই হয়নি আমার চাচাতো বোনের ছেলের নাম সিয়াম। তার বয়স ৮ বছর চলছে সে একটু চঞ্চল প্রকৃতির। পরিবারের সবাই তাকে একটু নিরাপদ ও সাবধানে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে জুম্মা মোবারক আমার ভাগ্নি তার বাবার সাথে মসজিদে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে যায়। সেখানে কিছু দুষ্টু ছেলের পেলের সাথে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে হঠাৎ মসজিদের সিঁড়ি থেকে পড়ে যায়। পায়ে প্রচন্ড আঘাত পায় একটু কেটে যায়। আগেই বলেছিলাম এই রোগে আক্রান্ত হলে কোথাও কেটে গেলে রক্ত বন্ধ হওয়া খুবই কষ্টের ছিল। তারপর তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয় কিন্তু কোনোভাবেই রক্ত বন্ধ করা যাচ্ছিল না। তারপর তাকে সেখান থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৫ থেকে ২০ দিন যাবত হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। তারপর তার রক্ত বন্ধ হয় এবং কিছুদিন পর ডাক্তার তাকে রিলিজ দেয়। তার চিকিৎসার কার্যক্রম তবুও চলমান থাকে প্রতি এক সপ্তাহ পর পর ইনজেকশন দিতে হবে যেটা শিশু হস্পিতাল থেকেই নিতে হবে। সাপ্তাহিক ভাবে ৫৫ টি ডোজ কমপ্লিট করতে হবে। সেই সুবাদে প্রতি এক সপ্তাহ পর পর তাকে নিয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে যেতে হয়।
ইনজেকশন নেওয়ার এমন একটি দিন সম্মুখীন হল সেই দিন ছিল তার জন্মদিন। আমার ভাগ্নি যার মনের সকল আশা পূরণ করার চেষ্টা করে পরিবারের সবাই। জন্মদিন হলেও তাকে ইনজেকশন নিতেই হবে হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী দিনে ইনজেকশন দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। যেটা বাইরে থেকে কিনে দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু আমার ভাগ্নের কথা জন্মদিন পালন করতেই হবে যেভাবেই হোক। সেই সুবাদে ঢাকাতেই জন্মদিন পালন করার আয়োজন করা হয়েছিল। আমার দুলাভাইয়ের মেজ ভাই ঢাকাতে চাকরি করে তিনি একটি কলেজের প্রিন্সিপাল। ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে এক কিলোমিটার দূরে তার বাসা সেখানে গিয়ে থাকতে হয় ।ভাগ্নের জন্মদিন সেখানে গিয়ে ঘরোয়াভাবে পালন করা হয়। ভাগ্নের মেজো আম্মা বাড়িতে একটি কেক বানিয়ে রেখে দিয়েছিল। আমরা পৌঁছানোর পর কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি। আবার রাত ১১ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তার জন্মদিন পালনের জন্য রেডি হই ।
আমি জার্নি করার পর অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু আমার ভাগ্নে পথে এক মুহূর্তের জন্য ঘুমায়নি এবং ক্লান্ত হয়নি। সে আমার মোবাইল নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্টুন দেখতে দেখতে সময় পার করে দেয়। বাসায় পৌঁছানোর পর এক মুহূর্তের জন্য রেস্ট নেওয়া তো দূরের কথা সে তার বিভিন্ন দুষ্টামির কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কারণ তার জন্মদিন বলে কথা সে কি আর ঠিক থাকতে পারে। আমাকে অনেক আগেই বলেছে রাত বারোটার দিকেই আমার জন্মদিন পালন করতে হবে। আমিও তার সকল আকুতি-মিনতি মেনে নিয়েছি। আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের গিফট আবদার করে সেগুলো কিনে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
রাত বারোটা বাজা মুহূর্তেই কেক কাটতে শুরু করে। তার জন্মদিনে পরিবারের সবাই উপস্থিত থাকতে পারে না মাত্র 5 জন উপস্থিত ছিলাম। তার চাচাতো ভাইবোন ও মেজো কাকা মেজো আম্মা উপস্থিত ছিল তার সাথে আমি। প্রথমে ঘরের সকল লাইট অফ করে দেয়া হয় ।তার মেজো আম্মা ম্যাচের কাঠি দিয়ে কেকের উপর আলো জ্বালিয়ে দেয়। বারোটা বাজা অবধি আমরা তাকে কেক কাটতে বলি ।সে কেক কাটতে শুরু করে আমরা হ্যাপি বার্থডে বলে তাকে উইশ করি। তার বয়স কম কিন্তু অনুভূতিটা যথেষ্ট সুন্দর ছিল। সে আমাকে আগেই বলে রেখেছে আমার জন্মদিনের সকল ভিডিও ছবি তুমি করবা। সেজন্য আমি অনেকগুলো ভিডিও করি তার সাথে অনেকগুলো ছবিও তুলে রেখেছি।কেক কেটে তার মেজ আম্মাকে খাওয়ায় দেয় । খাওয়ানোর কিছু দৃশ্য পটভূমির ছবি তুলে রেখেছি । তারপর জন্মদিনের যেসকল দৃশ্যকল্প হয়ে থাকে বিশেষ করে কেক একে অপরের মুখে মাখামাখি করার দৃশ্য ।তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে একে অপরের মুখে মাখিয়ে দিয়ে মজা করতে থাকে। এভাবেই তার জন্মদিন পালন করি ।আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন আল্লাহ সুস্থ করে দেয় ।আপনাদের কাছেও তার জন্য দোয়া প্রার্থী তার জন্য দোয়া করবেন ।সে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে সুস্থ মানুষ হিসেবে সবার সামনে ঘুরে বেড়াতে পারে।
বাহ ভাগ্নের জন্মদিন দেখছি বেশ দারুন আয়োজন এর সাথে উদযাপন করেছেন। আসলে ভাগ্নেরা সব সময় ভালোবাসার হয়তো। আপনার ভাগ্নের জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
হ্যাঁ জন্মদিনের মুহূর্তটা চমৎকার ছিল ।ভাগ্নের জন্মদিন বলে কথা। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ভাগ্নের জন্মদিন উপলক্ষ্যে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি। আপনার ভাগ্নের জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আনন্দময় মুহূর্ত টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হ্যাঁ খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি গল্প গুলো খুবই কষ্টের ছিল ।আপনার মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভাগিনাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা। ভাগ্নের জন্মদিন 🎂 এর অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমাদের সবার সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করবে ভালো একটা দিন ছিল তার জন্য। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভাগ্নির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। ভবিষ্যৎতে যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারি। জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আশা করছি জন্মদিনে মুহূর্ত গুলো খুব সুন্দর এবং অসাধারণ ভাবে কাটিয়েছেন। প্রতিটি মুহূর্ত খুব চমৎকার ভাবে অতিবাহিত করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
তার জন্য আপনারা সুস্থতা কামনা করবেন। সে মারাত্মক একটি রোগ এর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভাগ্নের জন্য দোয়া রইলো ভাই।আল্লাহ তায়ালা তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে দেন সেই কামনা করি।অনেক দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন আমাদের সাথে বেস গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো।
আল্লাহু আপনাদের দোয়া কবুল করুক আমার ভাগ্নে সুস্থ হয়ে উঠুক আমিও সেটাই কামনা করি। এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভাগিনা কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। দোয়া করি ওর ভবিষ্যৎ দিনগুলো অনেক সুন্দর কাটুক। জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তাছাড়া আপনি আপনার ভ্রমণ কাহিনী টাও আমাদেরকে খুলে বললেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আমি ভ্রমণকাহিনীর কিছু গল্প এখানে তুলে ধরে নি। মানুষ সুস্থ থাকার জন্য রোগের সাথে পাঞ্জা লড়ে সেই বিষয়টি উপলব্ধি করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি ধন্যবাদ।
আমাদের গ্রামে একটি কথা বলে মামা ভাগিনা যেখানে বিপদ নাই শেখানে।মামা ভাগিনার দুষ্টামিগুলো ভালো লাগলো।আপনার ভাগ্নির জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইলো। হিমোফিলিয়া রোগ সম্পকে জানা ছিলো না।কি বিপদজনক রোগ।যাই হোক।আল্লাহ ভালো রাখুক তাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই মারাত্মক একটি রোগ আপু যেটা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। তার জন্য দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ হয়ে যায় সেটাই কামনা করি।
আপনার ভাগ্নে কে আমার পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিন জানিয়ে দেবেন। সে যাতে দীর্ঘায়ু হয়।
আর তার অসুস্থতার কথা শুনে সত্যিই ব্যথিত হলাম। এত অল্প বয়সে এতো মারাত্মক একটি রোগের সাথে লড়াই করা সত্যিই কষ্টের। আপনার ভাগ্নির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যাতে সে সুস্থ হয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়গুলো সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।
আপনার শুভেচ্ছা অবশ্যই গ্রহণ করবে।আপনাদের দোয়ায় আশাকরি সুস্থ হয়ে ওঠবে।এতো সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
অসাধারণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন ভাই। আর আপনার ভাগনে কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তার জীবন সুখের হোক। জীবনে ভালো কিছু করুক এটাই চাই। আপনি খুব সুন্দর করে আপনার ভাগ্নের জন্মদিনের সবকিছুর বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এরকম সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
হ্যা মুহুর্তটা অসাধারণ ছিল। তার জন্য দোয়া করবেন কঠিন রোগের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই প্রথমেই আমার পক্ষ থেকে ভাগ্নের জন্য শুভকামনা রইল। তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। সে যেন সুন্দরভাবেই মূহূর্তটাকে আজকে উদযাপন করতে পারে। পরিবারের সকলকে নিয়ে। বেশ ভালো লাগলো রাত বারোটা বাজার মুহূর্তেই আপনারা সবাই মিলে কেক কাটতে বসলেন। আসলে জন্মদিন আনন্দ বয়ে আনে সেইসব জীবন থেকে একটি বছর চলে যায়। সর্বোপরি ভালো ছিল সুন্দর একটি মুহূর্ত তুলে ধরেছেন।।।
হ্যাঁ রাত বারোটা অবধি কেক কাটা হয়েছিল। তার আট বছর বয়স পূর্ণ হলো আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন একটু অসুস্থ ধন্যবাদ।