রেসিপি: সুস্বাদু পুঁটি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি//by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- সুস্বাদু পুঁটি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি
- ৩০, সেপ্টেম্বর ,২০২৩
- শনিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি সুস্বাদু পুঁটি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করে। যেগুলো দেখে আমরাও রেসিপি তৈরি শিখতে পারি। বর্তমান সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রেসিপি দেখতে পাওয়া যায়। সেই ভিন্ন ধরনের রেসিপি খাবারটাও অনেক সুস্বাদু হয়। নিজের কখনো তেমন একটা রেসিপি তৈরি করা হয় না। এই কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর প্রথম দিকে ভালোই রেসিপি পোস্ট করতাম। নদীর মাছ পুটি মাছ যেটা চচ্চড়ি রেসিপি করলে খেতে দারুন লাগে। এই রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম আমার কাছে খেতে দারুন লেগেছিল। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
পুঠি মাছ | ২৫০ গ্রাম |
লম্বা বেগুন | ২টি |
পালং শাক | ১ আটি |
পেয়াজ কুঁচি | আধা কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৬টা |
হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমান মত |
ধনে পাতা | পরিমান মত |
ধাপ-১
- পুঁটি মাছ গুলো কেটে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে অল্প পরিমান হলুদ গুড়া,মরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।
ধাপ-২
- এর পর পালং শাক কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবং বেগুন দুটি ভাজির চেয়ে একটু মোটা করে কেটে নিতে হবে।
ধাপ-৩
- প্যানে তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে উঠলে তাতে পেয়াজ কুচি,ও কাচা মরিচ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। এরপর পেঁয়াজ একটু ভাজা হলে তাতে আগে থেকে কেটে রাখা বেগুন দিয়ে দিতে হবে। এরপর একে একে হলুদ গুড়া, ধনে গুড়া, মরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে।
ধাপ-৪
- বেগুন একটু নরম হয়ে এলে তাতে পালং শাক দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে আগে থেকে মশলা মাখিয়ে রাখা পুঁটি মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৫
- এর পর পুঁটি মাছগুলো শাক বেগুনে কসিয়ে আধা কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঢেকে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে। পানি প্রায় শুকিয়ে এলে তাতে কুচি করে রাখা ধনে পাতাগুলো দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলেই হয়ে যাবে মজাদার পুঁটি পালং চচ্চড়ি।
ধাপ-৬
- এই সময়টায় পালং শাক পাওয়া যায় দেশি পুঁটিও পাওয়া যায় সহজেই। আর তাইতো এই খাবারটি রান্নার উপযুক্ত সময়ও এটাই। রান্না করে জানাবেন কেমন লাগলো এই স্পেশাল রেসিপিটি।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পুটি মাছ দেখেই বোঝা যাচ্ছে একদম টাটকা। এমন মাছের রেসিপি অনেকদিন হলো খাওয়া হয়ে ওঠে না। আপনার রেসিপি পোস্ট থেকে খুব লোভ লাগছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
পুঁটি মাছের মজাদার চচ্চটি রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করলো। এই পুঁটি মাছ আমার খুবই প্রিয়। পুঁটি মাছ ভাজি খেতে বেশি পছন্দ করি। আপনার রেসিপিটা তাই আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো।
পুঁটি মাছ আমরা সকলেই পছন্দ করি৷ আর পুঁটি মাছ ছোটবেলায় অনেক বেশি পরিমাণে ধরে আনতাম। আর আজকে আপনি যেভাবে এই পুঁটি মাছ দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন তা দেখে একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ এটি দেখে এখনই আমার খেতে ইচ্ছে করছে৷
পুটি মাছের চচ্চড়ি দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে পুটি মাছের কাটা বেশি, সেজন্য চচ্চড়ি করে খাওয়ার চাইতে ভাজি করে খাওয়া আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমার কাছে খুবই ভালো লাগে নদীর যে কোন মাছ। আপনি নদীর পুটি মাছের দারুন একটি চচ্চড়ি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং লোভ হচ্ছে খেতে।
লোভনীয় পুটি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি শেয়ার করেছেন যেখানে ভাজি করা পুটি মাছ গুলো সবচেয়ে বেশি লোভনীয় লেগেছে আমার কাছে।। সবজি বেশি দেওয়ায় রেসিপিটার টেস্ট আরো বেশি হবে। কিভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন সেটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পুঁটি মাছ দিয়ে তো দারুণ একটি চচ্চড়ি রেসিপি করলেন ভাইয়া। তাছাড়া পুঁটি মাছ গুলো দেখতে সাইজে ও একটু বড় ছিল। আপনি বেগুন এবং শাক দিয়ে অনেক মজার করে চচ্চড়ি তৈরি করলেন। দেখে অনেক মজার মনে হচ্ছে রেসিপিটি। আপনার রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনা দুইটি দারুণ ছিল।
পুঁটি মাছ রান্না করে খাওয়ার চেয়ে আমার কাছে কড়া করে ভেজে খেতে খুব ভালো লাগে। এভাবে রান্না করলে কাটা একটু বেশি মনে হয় খেতে। পুঁটি মাছ এভাবে সবজি এবং শাক দিয়ে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ওয়াও আপনি দারুণ একটা রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই। পুঁটি মাছর চচ্চড়ি খেতে বেশ দারুণ লাগে। তবে আপনি পুঁটি মাছের সাথে পালং শাক দিয়েছেন।আমি কোনদিন পালং শাক দিয়ে পুঁটি মাছ খাইনি।আপনার রান্না দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।