ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা || @shy-fox 10% beneficiary
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা
- ০৮, জুন ,২০২২
- বুধবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার মুহূর্তের দৃশ্যপট ও গল্প শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : A20s
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
প্রচন্ড গরম পড়ছে এই গরমে কোথাও যাতায়াত কোথাও যেতে খুবই কষ্টদায়ক। এইতো ঢাকার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম একটি প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এই প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় যাতায়াত করে টিকে থাকা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়। বিশেষ করে বাসে চড়ে বেশি কষ্ট হয় ।নদীপথ এবং ট্রেনের মধ্যে তেমন একটা কষ্ট হয়না ভিড় থাকলে সেটা আলাদা কথা। সেজন্য আমি মনে করি রাতে লং জার্নি করতে হলে রাতে জার্নি করাই সবচেয়ে পারফেক্ট। সেই সময় প্রচন্ড রোদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় হালকা ঠান্ডা থাকে তেমন একটা কষ্ট হয়না।
Device : A20s
লঞ্চে নদী পথ পার হওয়া মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে সকাল দশটার দিকে বেরিয়েছিলাম। বিকেলের আগ মুহূর্তে পৌঁছে যাব ভাবছি কিন্তু পথে অনেক যানজট থাকায় একটু কষ্ট দায়ক হয়ে গিয়েছিল। বাসে চড়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হই গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আস্তে 3 ঘন্টা সময় লেগেছে। এই প্রচণ্ড রোদে বাসে বসে জার্নি করাটা খুবই খারাপ লাগছিল। মনে হচ্ছে এখনই বাস থেকে নেমে গেলে অনেক তৃপ্তি পেতাম। অনেক ভালো লাগতো যাইহোক বাড়ির উদ্দেশ্যে যখন রওনা দিয়েছি তখন তো আসতেই হবে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পর পাটুরিয়ায় এসে পৌঁছায় সেখানে একটু রেস্ট করে হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার লঞ্চে চড়ে গোয়ালন্দ ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
Device : A20s
নদীপথ পাড় হওয়ার পরের দৃশ্য পটভূমি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
লঞ্চে ওঠার পর একটু প্রশান্তি পেয়েছি। খোলামেলা পরিবেশ ছিল নিম নিম করে বাতাস বইছে ।পরিবেশটা অনেকক্ষণ পর উপভোগ্য ছিল। যাইহোক, সুন্দর একটি জায়গায় বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। পদ্মা নদীর এখন একটু কম স্রোত ছিল এবং নদীতে তেমন একটা ঢেউ নেই ।খুব সুন্দর পরিবেশ যেটা উপভোগ্য ছিল খুবই ভালো লাগছিল। সবাই সেই মুহূর্তটা উপভোগ করতে মিস করেনি ।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে লঞ্চের ভিতর একটু শান্তি পেয়েছি। তিন ঘন্টা পরে সেখানে আধা ঘণ্টা অবস্থান করে নদী পার হওয়ার পর গোয়ালন্দ ঘাটে এসে পৌঁছায়। ঢাকামুখী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের জীবন মানে দৃশ্যপট দেখে খুবই ভালো লাগছিল। মানুষ তাদের নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য যে যার মতো ব্যস্ত সময় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং ঢাকার বাইরে যাচ্ছে । সেই দৃশ্য পটভূমির কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছি। তাছাড়া নদীতে বিভিন্ন ধরনের ময়লা কচুরিপানা যেগুলো ভেসে যাচ্ছিল সেগুলো ফটোগ্রাফি করেছি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
Device : A20s
ট্রেনে ওঠা মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নদী পার হওয়ার পর রেল স্টেশনে গিয়ে আধাঘন্টা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবো ।তারপর ট্রেনে চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। কারণ এই প্রচণ্ড গরমে বাসে চড়ে যাওয়া খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যাবে ।যেটা করতে আমি মোটেও পছন্দ করি না । এমনিতেই বাসে জার্নি করতে সত্যি আমার খুবই খারাপ লাগে। যাইহোক রেল স্টেশনে গিয়ে রেলস্টেশনের পাশে একজন তালশাঁস বিক্রি করছিল 15 টাকা দিয়ে এক পিস তালশাঁস কিনে যেটা খেয়েছিলাম। অনেকদিন পর তালশাস খেলাম। অনেক ভালো লেগেছে যেটা গরমের সময়ে খেতে সবাই পছন্দ করে ।আধা ঘণ্টা পর ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ট্রেনে উঠে বাড়ি ফেরার পথে। প্রচণ্ড মেঘ লেগে ছিল মনে হচ্ছে আকাশ গ্রাম্য পরিবেশের পাশেই নেমে এসেছে। সেই দৃশ্যটি উপভোগ করছিলাম জানালার ধারে বসে অনেক স্টেশন পার করে যেতে হবে। এভাবে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে করতে বাড়িতে পৌঁছায় ।আশাকরি আমার ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার গল্প আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
এই গরমে আমাদের জন্য পথঘাট, নদী-নালার ছবি তুলে এনে উপহার দিলেন ।সাথে নিজের প্রয়োজনে মিটালেন ভালো কিছু।
হ্যাঁ ভাই প্রচণ্ড গরমে পথঘাট নদী-নালার ছবি তুলে তুলে ধরলাম আসলেই পরিবেশটা তখন একটু সুন্দর ছিল সেজন্য তুলেছি।
আপনিতো এসব ব্যাপারে বরাবরেই পাক্কা ।উপহারগুলো ভালো হিসেবে তুলে ধরেন।
আপনি ১৫ টাকা দিয়ে ১ পিস তালশাঁস কিনেছেন কিন্তু আমাদের এদিকে এক পিস তালশাঁসের দাম ২০ টাকা। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি ঢাকা থেকে আপনার বাড়ি ফেরার জার্নি পোষ্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।