👥🌹 ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস🌹 👥||শহীদদের স্মরণে কিছু কথা(১০%লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস
- ২৬, মার্চ , ২০২২
- শনিবার
আপনার সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কিছু কথা।
আজ 26 শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে । ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্রের বিভক্তি ঘটে থাকে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের দুটো অংশ পূর্ব পাকিস্তান অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মুখের ভাষা বাংলা পশ্চিম পাকিস্তানের বসবাসকৃত মানুষের মুখের ভাষা উর্দু, হিন্দি এবং বিভিন্ন ভাষার মানুষ বসবাস করত। পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গৃহীত করে। পূর্ব বাংলার জনগণ উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায় কিন্তু পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠী বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি প্রত্যাহার করে। তখন পাকিস্তানের ৫৬ ভাগ মানুষের মুখের ভাষা বাংলা উর্দু তে মানুষ 3.3 শতাংশ মানুষ কথা বলতো। সেই থেকে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে তৎপরতার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রধান কারণ ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেটার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। এই স্বাধীনতার জন্য অনেক ইতিহাস ও স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাবহুল বিষয় বিরাজমান ।সেই বিষয় সম্পর্কে আমাদের সবারই কমবেশি জানা আছে। সেই দিনের কথা স্মরণ করে কিছু ইতিহাস আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি।
অপারেশন সার্চ লাইট:
পাকিস্তান সেনাবাহিনী হাজার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা পরিচালনা করে। এই গণহত্যার সাংকেতিক নাম দেয়া হয় অপারেশন সার্চ লাইট ।মুজিব-ইয়াহিয়া ও ভুট্টো আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেছিলেন। আর টিক্কা খান ছিল নিষ্ঠুরতার প্রতীক ।তিনি একযোগে ঢাকা ঢাকার বাইরে গণজাগরণকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এটি ২৫ শে মার্চের কালরাত্রি নামে পরিচিত ছিল। নিরস্ত্র জনগণের উপর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অত্যন্ত জঘন্য হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত হত্যা। ২৫ শে মার্চ রাতে হত্যাকাণ্ড শুরু করা হলেও এর প্রস্তুতি শুরু করতে থাকে মার্চের প্রথম দিক থেকে। যেটা কখনো ভুলবার নয়। এই দিনে ১০ জন শিক্ষক সহ প্রায় ৩০০ জন ছাত্র কর্মচারী এবং ঢাকা শহরের ৮ হাজারের মতো সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয় ।আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ঢাকা শহরে ব্যাপক হারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা:
এই দিনে দিনের আলো নিভে যায় আসে ইতিহাসের ভয়াবহ কালো রাত। ইয়াহিয়ার পূর্বনির্ধারিত ভাষণ না দিয়ে ঢাকা ত্যাগ করার সাথে সাথেই বঙ্গবন্ধু তাদের মতলব বুঝতে পারেন ।তিনি নেতাকর্মীদের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং সিদ্ধান্ত নেন স্বাধীনতা ঘোষনার গ্রেফতারের পূর্বে গভীর রাতে ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ।স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে হতে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শাসন হতে মুক্ত হবার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ।সেই আন্দোলনের প্রখরতা ব্যাপক ছিল। ক্ষমতা হস্তান্তর ইয়াহিয়া খাননের টালবাহানার জবাব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি ঘোষণা করেন,
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কূটনীতিকদের মতে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ এর মধ্যেই স্পষ্ট ভাবে স্বাধীনতা ঘোষনার সবুজসংকেত ছিল। এর পর নতুন করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার প্রয়োজন থাকে না কারণ ৭ মার্চের পর বিভিন্ন জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং ক্যাম্প করা হয়। এসময় ইয়াহিয়া খান রাজনৈতিক সমঝোতার নামে কাউকে কালক্ষেপণ করে।১৬ মার্চ থেকে ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান। সেটা বঙ্গবন্ধু ভালভাবেই বুঝতে পারেন ২৫ মার্চ কালো রাত পাকিস্তানি বাহিনীর সমগ্র পূর্ব বাংলায় অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনা করে। এতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ছাব্বিশে মার্চ রাতে কিছু সময় পর তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা পায় ।এর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয় ।এজন্যই 26 শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় সকল শহীদদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনেক ইতিহাস রয়েছে যেগুলো কমবেশি সবাই এই সম্পর্কে অবগত আছেন ।আমিও ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকল শহীদদের স্মরণ করি।
26 শে মার্চ বাঙালি জাতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেন। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হে স্বাধীনতা দিবস 26 শে মার্চ এই দিনটি আমাদের সবারই স্মরণ করা উচিত এই দিনে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় দেশের জন্য সবাইকে জীবন দিতে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত হতে বলা হয় ধন্যবাদ।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অপনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সেই ভয়াবহ দিনের কথাগুলো। তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে অতি সুন্দর ভাবে। আপনি আশা করি খুব সুন্দর ভাবে দিনটি উদযাপন করেছেন বন্ধুদের সাথে ।আপনার এই সচেতন দৃষ্টি ভঙ্গি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনার পথচলা শুভ হোক সেই কামনা করলাম।
হ্যাঁ 25 শে মার্চ কাল রাত পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠী বাঙ্গালীদের উপর নির্মমভাবে হত্যা করে। যেটা কখনো ভুলবার নয় আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
উপমহাদেশ স্বাধীন ভারত পাকিস্তান সৃষ্টি থেকে শুরু করে স্বাধীনতা দিবসের ভাষন পর্যন্ত অনেক সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। সত্যি সেই ভয়াবহ ২৫ শে মার্চ কালোরাত এখনো আমাদের শরীরে শিহরণ সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর সেই বজ্রকন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা তারপর সসন্ত্র যুদ্ধ এবং বিজয় অর্জন।।
আমি যতদূর জানি ভারত পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট। ভূল হতে পারে আমার। ধন্যবাদ।।
হ্যাঁ 25 শে মার্চ কালো রাত এখনো আমাদের শরীরে শিহরণ সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে 26 শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় ।আর পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি 1947 সালের 15 আগস্ট যেটা আমার মিসটেক হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমাদের মাঝে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আমার কাছে আপনার কথাগুলো শুনে বেশ ভালো লাগলো। এইদিন সত্যি আমাদের জন্য অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমাদের মাঝে বিষয় গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ চেষ্টা করেছি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরার যেটা আমাদের সবারই জানা উচিত স্বাধীনতা দিবসে সকল শহীদদের স্মরণ করি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন।শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপক অবদান রয়েছে দেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে।এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ও কম নয়।ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক বড় অবদান রয়েছে যেটা কখনোই ভুলবেন না তাঁর নেতৃত্বেই বাংলার মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা আমাদের এই দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। 26 শে মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দেশকে স্বাধীন করতে 30 লক্ষ মানুষকে তাজা বুকের রক্ত দিতে হয়েছে । 26 শে মার্চ নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল লিখেছেন । পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা
বাঙালি নিজের ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে যেটা ইতিহাসে বিরল একটি ঘটনা 26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকল শহীদদের স্মরণ করি আপনার সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
দেশ ভাগের পরের সময়ের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।আপনার পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।পোস্টটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হ্যাঁ দেশভাগের পর পরেই ভাষা আন্দোলন শুরু হয় সেখান থেকেই বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পায় আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। যাদের রক্তের বিনিময় আমরা এই সোনার বাংলা পেয়েছি তাদেরকে আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না।
এই কথাটি শুনলেই কেমন যেন আমার শরীরের পশম শিউরে ওঠে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ যারা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে এ দেশকে রক্ষা করেছে তাদের কখনোই ভুলা যাবে না আমাদের উচিত তাদেরকে স্মরণ করা শ্রদ্ধা করা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি এই দিনটি ছিল বাঙালির জন্য স্বপ্নের একটি রাত। সে রাতে স্বপ্নের মত পাক হানাদার বাহিনী এসে বাঙালি জাতির ওপর নির্যাতন চালায়। যার কারণে হাজার হাজার মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন আপনি সবকিছু। শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতি।
যেটাকে কাল রাত বলে অবহিত করা হয় এই রাতে বর্বর জাতি নিরীহ বাঙালিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় যেটা কখনোই ভুলবার নয় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ ভালো লিখেছেন তো।মহান শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আসলে আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করছি শুধু মাএ তাদের জন্য।আপনি খুব সুন্দর করে বর্ননা গুলো দিয়েছেন।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ আপু আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করি যেটা শহীদদের স্মরণ করে যারা এদেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আপনার সুগঠিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।