---

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক

---

---

---

আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আর আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে আবারো একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি।

Source

আসলে মাঝে মাঝেই আমি আপনাদের সাথে আমার মন থেকে চমৎকার কিছু কথা শেয়ার করে থাকি। তার তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো যে আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়ে থাকি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে।

ছোটবেলায় আমাদের ইংরেজি বইতে একটি গল্প পড়তাম, এখনও আমার মনে আছে এবং আমি মাঝে মাঝে এই গল্পটা নিজে নিজে চিন্তা করি। এছাড়াও বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজন যারা রয়েছে, তাদের কেও মাঝে মাঝে এই গল্পটা স্মরণ করিয়ে দেই। এই গল্পের চরিত্রে ২ জন বালক থাকে। গল্পটা মূলত বাইসাইকেল চালানো শেখার বিষয়ে। অর্থাৎ এই দুই জন বালক বাইসাইকেল চালানো শিখবে তাই কিন্তু তাদের পদ্ধতি ভিন্ন।

আসলে এই গল্পে যে দুইজন বালক থাকে, সেই দু'জন বালক এর ভিতরে প্রথম বালক বাইসাইকেল চালানো শেখার জন্য সে একটি বই পড়তে থাকে। কিভাবে সাইকেল চালাতে হয়, সাইকেল এর মধ্যে কি কি সরঞ্জাম রয়েছে, সেই সকল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে থাকে এবং সে বাইসাইকেল চালানো শেখার জন্য এই বইটি তার আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে। এক কথায় বাইসাইকেল এর বিষয়ে খুটিনাটি যা জানার আছে তা সে এই বই পড়ার মাধ্যমে জানতে চাই এবং এরপর সে সাইকেল চালানো শিখার জন্য প্র্যাকটিস করতে চায়।

কিন্তু সেই সময়ে দ্বিতীয় বালক বাইসাইকেল চালানো শেখার জন্য কোন বই না পড়ে সে রাস্তায় একটি সাইকেল নিয়ে বের হয়ে যায়। সে বাইসাইকেল চালানো শেখার জন্য সাইকেল নিয়ে প্র্যাকটিস করতে থাকে এবং এতে দেখা যায় যে, প্রথম বালক টি যত সময়ে বই পড়ে বাইসাইকেল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছে। সেই সময় দ্বিতীয় বালক বাইসাইকেল নিয়ে মাঠে বের হয়ে, সাইকেল চালানো শিখে গেছে।

কিন্তু প্রথম বালকটি এখন পর্যন্ত বাইসাইকেল চোখেই দেখলো না, শুধুমাত্র সে বাইসাইকেল সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে। সে জ্ঞান অর্জন করার পর বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামবে, এরপরে সে বাইসাইকেল চালানো শিখবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে। কিন্তু প্রথম বালকটি অনেক পিছিয়ে পড়লো, কেননা সে যখনই প্র্যাকটিস করার জন্য রাস্তায় বের হবে, ততক্ষণে দ্বিতীয় বালকটি বাইসাইকেল চালানো শিখে গেছে।
এই গল্পের মাধ্যমে আমরা এই গল্পের মাধ্যমে আমরা কি বুঝতে পারলাম?

আসলে এই গল্পের মাধ্যমে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছি যে, কোন কাজ করতে হলে বা কোন কিছু করতে চাইলে সে বিষয়ে অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই বিষয় নিয়ে প্রাকটিস করা। আর এজন্যই আমি বলেছি যে, সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো বাস্তব অভিজ্ঞতা। কেননা একজন একজন ব্যক্তি বই পড়ে যতই জ্ঞান অর্জন করুক না কেন। তাতে কিন্তু সে বাস্তব অভিজ্ঞতা কখনো পাবে না। যখন সে বাস্তব অভিজ্ঞতা পেয়ে যাবে, তখন কিন্তু খুবই সহজে এই কাজটি সম্পর্কে বুঝতে পারবে।

বাস্তবে মাঠে নেমে যেটা শিখা যায়, সেটা কখনো কিন্তু বই পড়ে শিখা যায় না। যেমন আমরা অনেক সময় ক্রিকেট খেলা দেখে থাকি আমাদের দেশে। অনেক সময় আমরা এটাও দেখেছি, যারা ব্যাটিং করে তারা ব্যর্থ হচ্ছে (৪, ৬ মারতে পারছে না ) এবং তাদেরকে আমি মনে মনে গালি দিচ্ছি এবং এটা বলছি যে, কেন এটা ৪, ৬ মারতে পারল না। আসলে আমরা তখন এটা চিন্তা করি না যে, আমি যদি ওই অবস্থায় থাকতাম আমি এটা করতে পারতাম কিনা। এটা শুধুমাত্র চিন্তা করছি যে, সে কেন ৪, ৬ মারতে মারতে পারল না। কিন্তু ৪, ৬ মারতে পৰ যে কত কঠিন, তা কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না। কেননা আমরা মাঠে খেলতে যাচ্ছি না, আমরা শুধুমাত্র টিভিতে বসে এটা দেখতে পারছি এবং বলতে পারলাম।

আসলে আমরা তখন এটা চিন্তা করি না যে, আমি যদি ওই অবস্থায় থাকতাম আমি এটা করতে পারতাম কিনা। এটা শুধুমাত্র চিন্তা করছি যে, সে কেন ৪, ৬ মারতে মারতে পারল না। কিন্তু ৪, ৬ মারতে পৰ যে কত কঠিন, তা কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না। কেননা আমরা মাঠে খেলতে যাচ্ছি না, আমরা শুধুমাত্র টিভিতে বসে এটা দেখতে পারছি এবং বলতে পারলাম।

আমি মনে করি বাহিরে বসে অনেক কিছু চিন্তা করা যায়। কিন্তু যখন সরাসরি মাঠে যাওয়া হয়, তখন সেই চিন্তাযর বিষয়টা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায় এবং বোঝা যায় বাস্তব কত কঠিন। আর তাইতো বাস্তব থেকে আমাদেরকে শিখতে হবে।

---

---