প্রিয় খাবারগুলো যখন একসাথে পাই 😋😋 ||by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- প্রিয় খাবারগুলো যখন একসাথে পাই
- ০১, আগস্ট ,২০২৩
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " প্রিয় খাবারগুলো যখন একসাথে পাই " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি ।প্রতিটা মানুষের আলাদা আলাদা প্রিয় খাবার রয়েছে যেগুলো খেতে সে খুবই পছন্দ করে। তেমনি আমারও কিছু প্রিয় খাবার রয়েছে যেগুলো মুখের রুচি বা মাঝে মাঝে মন চায় সেই খাবারগুলো খেতে। আবার সেই খাবারের সাথে রয়েছে জীবনের অনেক স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা।
কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা যেটা আমার খুবই পছন্দের ।শুধু আমার পছন্দের নয় কুষ্টিয়ার সবার কাছেই এটা খুবই প্রিয়। যেটা সবাই খেতে পছন্দ করে। শুধু কুষ্টিয়া জেলার মানুষের কাছে না অন্যান্য জেলার মানুষ এই তিলের খাজা খেতে পছন্দ করে। কোথাও গেলে টেনে বা বাসে তিলের খাজা বিক্রি করতে দেখতে পাওয়া যায়। জোড়া প্যাকেট ৩০ টাকা এভাবে তারা পথচারীর মাঝে বিক্রি করে থাকে। আমি যখন কুষ্টিয়া শহরে থাকতাম বেশিরভাগ সময় ট্রেনে যাতায়াত করতাম। সেই সময় ট্রেন থেকে এই তিলের খাজা কিনে খাওয়া হত। তিল এবং গুড়ের মিশ্রণ ে এই সুস্বাদু খাবার তৈরি যেটা খেতে অনেক মজা। তিলের খাজা আবার বিভিন্ন রকম আছে আপনি ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে যে তি লের খাজা কিনে খেয়ে থাকেন সেগুলোর থেকে আমি যে দুই প্যাকেট তেলের কাছে শেয়ার করেছি সেটার অনেক পার্থক্য।
আমি যখন এইচএসসি তে পড়ি সেই সময় তিলের খাজার একটি কারখানায় গিয়েছিলাম। কিভাবে তৈরি হয় সে দৃশ্যগুলো ভালোই উপভোগ করেছিলাম। তার পাশাপাশি আড়াইশো টাকা কেজি তিলের খাজা কিনে খাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এক কেজি তেলের খাজার দাম ৪০০ টাকা হবে সম্ভবত। একই দিনে বিভিন্ন ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারলে খুবই মজা লাগে। সেই দিন আবার নারকেলের নাড়ু খেয়ে ছিলাম যেটা আমার খুবই প্রিয়। মুড়ির সাথে নারকেলের নাড়ু যেটা ছোট্টবেলা অনেক খেয়েছি। এই নারকেলের নাড়ু অনেকদিন পর খেলাম সত্যিই সেই ছোট্টবেলায় মুড়ির সাথে নারকেলের নাড়ু খাওয়ার সেই মুহূর্তগুলোর কথা ভেসে ওঠে।
বাড়ির পাশে এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম তারা মা আমাদেরকে নারকেলের নাড়ু এবং আমের আচার খেতে দিয়েছিল। এতটাই খুশি হয়েছিলাম বলে বোঝাতে পারবো না কারণ প্রিয় খাবারগুলো কেউ খেতে দিলে এমনিতেই অনেক খুশি লাগে। আমের আচার খুব টেস্টি ছিল। সেই প্রিয় খাবার গুলো খাওয়ার পাশাপাশি ছবি তুলে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছি। হয়তো এক সময় এই খাবারগুলো মিস করবো সময় হবে না আর খাওয়ার। তাই আপনাদের সাথে আমার প্রিয় খাবার গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
বন্ধু এ খাবারগুলো অনেক স্মৃতি বিজড়িত। এই খাবারগুলো একসাথে পেলে তো পেটের সাথে সাথে হৃদয়ও সম্পূর্ণ হয়ে যায়। বাড়ির পাশের বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে সুন্দর এই খাবারগুলো খেয়ে অনেক মজা পেয়েছো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর এই তিলের খাজার প্যাকেট দেখলাম।আগে প্রায়ই বাসের মাঝে কিনে খেতাম,কিন্তু এখন আর দেখা যায় না। তিলের খাজা আমারো বেশ পছন্দের।তবে নারকেল নাড়ু শুধু আপনার না সবারই খুবই পছন্দের। যাই হোক আপনার পছন্দের খাবার গুলো অনেকদিন পর একসাথে পেয়েছেন জেনে ভাল লাগল।ধন্যবাদ আপনার খুশির মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
প্রিয় খাবার সামনে দেখলে আসলে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখা মুশকিল।
দামি হোক বা অল্প দামী হোক খাবার যদি প্রিয় হয় তাহলে সেটার প্রতি সবসময় অন্যরকম একটি ভালোলাগা কাজ করে।
আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে তিলের খাজা এটি কুষ্টিয়ার বিখ্যাত আমার খুবই ফেভারিট।
আর নাড়ু দিয়ে মুড়ি খেতে তো আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই তিলের খাজার দামও আগের চেয়ে একটু বৃদ্ধি পেয়েছে একসময় ১০ টাকা প্যাকেট বিক্রি হতো তবে এখন সেটা ৩০ টাকা হয়ে গিয়েছে। আর নাড়ু মুড়ি এটাতো বৃষ্টির দিনে সবচেয়ে মজার খাবার।