স্পোর্টস : ই পি এল কাপের ফাইনাল (লিভারপুল ^ চেলসি )//by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- ইংলিশ লীগ (লিভারপুল ^ চেলসি )
- ২৬, ফেব্রুয়ারী ,২০২৪
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃ Sportzfy TV থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাচের পরিসংখ্যান:
লিভারপুল | চেলসি |
---|---|
মোট শট-২৪ | মোট শট-১৯ । |
টার্গেটের শট-১১ | টার্গেটের শট-৯ । |
দৈর্ঘ্য | ৯০+৩০ মিনিট । |
বল পজিশন -৫৪% | বল পজিশন -৪৬% |
পাস করে -৬৮৯ | পাস করে -৫৮৭ |
পাস নির্ভুলতা-৮৪% | পাস নির্ভুলতা-৭৯% |
ফাউল-২১ | ফাউল-১৪ |
---|---|
হলুদ কার্ড- ০৫ | হলুদ কার্ড - ০২ |
রেড কার্ড- ০০ | রেড কার্ড-০০ |
অফসাইডস-০২ | অফসাইডস-০৩ |
কোণ-০৫ | কোণ- ০৬ |
সময়কাল রাত ১০ টা | ২৫.০২.২০২৪ইং |
ফলাফল : | লিভারপুল -১ চেলসি -০ |
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
আমার কাছে খেলাধুলা খুবই ভালো লাগে ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আলাদাভাবে নেশাটা রয়েই গেছে। এখনো সময় পেলে ছোট ভাই ব্রাদারের সাথে এলাকায় খেলাধুলার মেতে ওঠা। যেটা অনেক বড় একটি নেশা খেলাধুলা শরীরের পক্ষে যেমন ভালো তেমনি মানসিক সকল ধরনের অবসাদ দূর করে দেয়। ছোট্টবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো ফিরে যেতে মন চায়। আসলে সেই স্বাধীন মুহূর্ত চাইলে যখন তখন খেলাধুলা নিয়ে মেতে উঠতাম এখন আর পারি নাহ। মাঝে মাঝে ছোট্ট বাচ্চাদের খেলাধুলা গুলো দেখে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি আর খেলাধুলা এখন নিয়মিত না করা হলেও রাত জেগে খেলা দেখার অভ্যাসটা এখনো রয়েই গেছে।
গত দুইদিন আগে ইংলিশ লীগে দারুন একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ওঠার লড়াই ।ম্যানসিটি পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল অন্যদিকে এই দৌড়ে অনেক পিছিয়ে চেলসি । এই মৌসুমে তারা খুবই খারাপ ফুটবল ফুটবল খেলছে। তাদের খেলা দেখে আমিও হতাশ হয়েছি। টানা কয়েক সিজন তাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। অনেক টাকা খরচ করে ভালো ভালো প্লেয়ার দলে নিয়ে আসার পরেও তাদের পারফরম্যান্সের তেমন কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তালিকায় টিকে থাকার লড়াইয়ে এবারও বাদ পড়ছে চেলসি।
যদিও ম্যাচটি লিভারপুলের ঘরের মাঠে ছিল। এই মৌসুমে লিভারপুলের পারফরমেন্স অনেক ভালো। তারা লীগ শিরোপা জেতার দৌড়ে কখনো পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আবার কখনো দুইয়ে আবার তিনেও অবস্থান করছে। শিরোপা জেতার দৌড়ে ম্যানসিটি, আর্সেনাল, এদের মধ্য থেকে যে কেউ লীগ শিরোপা জিতবে। বর্তমান যে কোন ম্যাচ এই তিনটি দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । পয়েন্ট তালিকা থেকে তাদের অবস্থানের পরিবর্তন হবে। সেজন্য ম্যানসিটির এই ম্যাচে জেতা খুবই প্রয়োজন ছিল তা না হলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ অবস্থান হারাবে।
অন্যদিকে চেলসি তাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। টানা তিন মৌসুম তারা লীগ শিরোপা দৌড়ে তেমন একটা পারফরম্যান্স করতে পারেনি । সেরা চার দলের মধ্যেও আসতে পারেনি খুবই বাজে অবস্থা । বর্তমানে তারা পয়েন্ট তালিকায় দশে অবস্থান করছে। যেটা সত্যি হতাশা জনক অনেক চেষ্টা করেও এই অবস্থানের পরিবর্তন করতে পারেনি। অনেকগুলো কোচ পরিবর্তন হয়েছে তবুও পারফরমেন্সের উন্নতি হয়নি। আমি ভেবেছিলাম এই ম্যাচটি হেরে যাবে কিন্তু তারা খুবই ভালো ফুটবল খেলেছিল। যেত দুটি দল নামের দিক দিয়ে সমান সমান খেলাটি ভালোই উপভোগ করা যাবে। দুই দল চেষ্টা করবে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে।
যাইহোক, খেলা বিষয়ে ভালোই বকবকানি করতে পারি এখন খেলা বিষয়ে বলা যাক, খেলার শুরুতে দুই দল আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে। বিশেষ করে চেলসি অনেক ভালো ফুটবল খেলতে থাকে। খেলার প্রথমার্ধে দুই দল অনেকগুলো সুযোগ পায় বিশেষ করে চেলসি অনেক ভালো দুটি সুযোগ পায়। যেটা লিভারপুলের গোলকিপার দারুনভাবে ক্লিন শট করে দলকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে ম্যানসিটি অনেকগুলো সুযোগ মিস Brad। প্রথমার্ধের খেলা শেষ প্রায় ৪২ মিনিটে জন গ্লেগার দারুন সুযোগ পায় দলকে এগিয়ে দিয়ে যাওয়ার কিন্তু সেটা মিস করে তার সামনে শুধু গোলকিপার ছিল।
**যদি চেলসি গোল মিস না করতো প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকতো । খুবই সহজ দুটি সুযোগ মিস করেছে তারা। আবার বিরতি শেষে খেলা শুরু হয় লিভারপুল গোল দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে । কারণ ম্যাচটি তাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল । তাহলে ইপিএল কাপ জেতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। তারা তো ফুটবল খেলতে শুরু করে অনেক আক্রমণ করে অন্যদিকে চেলসি এটা কিং ফুটবল খেলতে শুরু করে। দুই দলের কোন দলই গোল করতে পারছিল না। অনেক সুযোগ পায় আর ভার্জিইল ভন্ডাইক দারুণ একটি হেডের মাধ্যমে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল সেটাও অফসাইড এর কারণে বাতিল হয়ে যায় গোলটি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় কিন্তু কোন দলে গোল করতে পারেনা। বিরতি শেষে আবার ৩০ মিনিটের খেলা শুরু হয়। দুই দল ডিপেন্ডশিপ ফুটবল খেলতে শুরু করে কেউই শেষ মুহূর্তে গোল খেতে চায় না । যদিও চেলসি অনেক ভালো সুযোগ পেয়েছিল তাদের স্ট্রাইকার মিস না করলে হয়তো ব্যবধান এবং ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যেত। দুটি বল বার পোস্টে লেগে ফিরে আসে আসলে যতগুলো খেলা দেখেছি তার মধ্যে বার পোস্টে লাগা সেই দলের পক্ষে জেতা অসম্ভব হয়ে যায়। ভাগ্য তাদের পক্ষে থাকে না। খেলার 118 মিনিটে দারুন এক হেড করে ভার্জিইল ভন্ডাইক গোল করে দলকে শিরোপা জেতার লক্ষ্যে পৌঁছে নিয়ে যায়। ম্যাচটি লিভারপুল জিতে যায়
ইপিএল কাপের শিরোপা জিতে নেয়।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ভিডিওর লিংক সমূহ
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
সময় সল্পতা ও কর্মব্যস্ততার কারণে খেলা একদমই দেখা হয় না। তবে মাঝে মাঝে আমার বাংলা ব্লগের স্পোর্টস পোস্ট গুলো দেখে কিছুটা হলেও উপভোগ করি। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে ই পি এল কাপের ফাইনাল শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।