ফিরে পাওয়া শৈশব //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- ফিরে পাওয়া শৈশব
- ১৮, মে ,২০২৪
- শনিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। ফিরে পাওয়া শৈশবের মাঝে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
এইতো কিছুদিন আগের কথা প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল জনজীবন। একটু ঠান্ডা পরিবেশ বৃষ্টিময় দিনের প্রত্যাশায় সবাই আকুল ছিল । বর্তমান সময় খুবই ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজমান। এবার রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রায় সবাই দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের জীবনযাত্রা হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে বর্তমান আবহাওয়া স্বাভাবিক কখনো বৃষ্টি কখনো রৌদ্র পরিবেশ যেরকম থাকার কথা সেই রকম পরিবেশ উপভোগ করছি। মাঝে মাঝে এই মেঘলা আকাশে দিনের বেলা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে । এই সময় এরকম পরিবেশে উপভোগ করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ।আবার কালবৈশাখী ঝড়ের আবাস মানুষকে ব্যস্তময় করে তুলছে।
Device : Redmi Note 11
এভাবে আমরাও অনেক কাঁধে উঠেছি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
এর আগের পোস্টে প্রকৃতির মাঝে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করেছিলাম। আসলে এরকম সুন্দর মুহূর্তগুলো সব সময় উপভোগ করতে পারা যায় না। বর্তমান সময়ে আকাশ কখনো মেঘলা কখনো রৌদ্র পরিবেশ। আর বর্তমানে তাপদাহ চলছে কয়েক দিন ভালোই গরম পড়ছে। এর আগে কয়েকদিন ভালোই ঠান্ডা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আজকে আকাশ অনেক মেঘলা ছিল পরিবেশ ঠান্ডা এই রকম আবহাওয়া যেটা সবাই প্রত্যাশা করে। যাইহোক কিছুদিন আগে পদ্মা নদীর তীরে গিয়ে বিকেল মুহূর্তে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম । সেখানে নদীর পাশে বসে আড্ডা দেয়ার মুহূর্তে কিছু ছোট্ট বাচ্চারা আমাদের সামনে এসে উপস্থিত । আমরা প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করছিলাম। সবাই সেই সময় ফটোগ্রাফি করায় ব্যস্ত । তারা আমাদের ফটোগ্রাফি করতে দেখে অনেক খুশি এবং আমাদের কাছে রিকোয়েস্ট করলো। তাদের ছবি তুলে দিতে আমরা অনেক খুশি তাদের ছবি তুলতে পেরে।
Device : Redmi Note 11
ক্যামেরা দেখে দুষ্টামির পরিমাণ বেড়ে গেল
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ছবি তোলার প্রতি একটা ভিন্ন ধরনের ভালোলাগা তৈরি হয়েছে । বর্তমান ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি যেটা আমার অনেক বড় একটি নেশা। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে তারা নদীর পাড়ে এসে উচু জায়গা থেকে লাফ দিচ্ছে নদীর নিচে। সেই দৃশ্যগুলো যখন দেখছিলাম শৈশবের কথা মনে পড়ছিল। তাদের সময় আমরাও কত এরকম খেলাধুলা করেছি। যে বয়সটা অনেক সুন্দর ছিল স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরার বয়স। তাদের প্রত্যেকের পণ্যে হাফ প্যান্ট খালি গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গায়ে প্রচন্ড ময়লা তবুও তাদের মধ্যে অনেক হাসিখুশি থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত। আমাদের দেখে তারা অনেক খুশি কারণ ছবি তোলা দেখে তারা আরো অনেক খুশি হয়েছে ।
Device : Redmi Note 11
পদ্মা নদীর তীরে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমাদের ফটোগ্রাফি করা দেখে তারা বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি শুরু করে দিল। বিভিন্ন ভাবে লাফ দিচ্ছে একে অপরকে দুষ্টামির ছলে ধাক্কা দিচ্ছে। যখন এই দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় বন্দি করছিলাম দেখতে আরো সুন্দর লাগছিল ।আসলে এইরকম সুন্দর মুহূর্তগুলো হয়তো তাদেরও এক সময় হারিয়ে যাবে। কিন্তু আমারও মনে পড়ে গেল সেই দিনগুলোর কথা। যখন অনেক ছোট্ট ছিলাম চলে যেতাম অনেক দূরে । অনেক ধরনের দুষ্টামিড ছলে তাদের এই সুন্দর মুহূর্ত দেখে আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের গল্পে হারিয়ে গেলাম। ফিরে পাওয়া শৈশবের কথা যেগুলো কখনোই ভুলবার নয় । যে দিনগুলো খুবই মিস করি । তাদের দেখে সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে কি দারুন লাগছে দেখতে ।আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ফিরে পাওয়া শৈশব |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | Kushtia |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
পদ্মা নদীর তীরে এত সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া এরকম সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাতে ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের মতই ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে দেখতে।
পদ্মানদীর তীরে আপনি বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আসলে ভাইয়া এমন শৈশব কখনো ভুলার মতো নয়। তবে বর্তমান বাচ্চারা শুধু ডিভাইস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সত্যি বাচ্চাদের ফটোগ্রাফি করেছেন জেনে উরা অনেক খুশি হয়েছে নিশ্চয়ই। ধন্যবাদ ভাইয়া শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য।
পদ্দার পারে আপনাদের সময় কাটানোর মুহূর্ত অসাধারন লেগেছে। বিশেষ করে তখন চারিদিকের প্রকৃতির আলোর সাথে বাচ্চাদের কি সুন্দর কতগুলো ফটোগ্রাফি যেনো আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ঐ প্রকৃতির মাঝে। ছবিগুলো এতটাই সুন্দর লেগেছিল আমি মুগ্ধ হয়ে ছবিগুলো দেখছিলাম।আর মনে হচ্ছিল যেন আমিও ওদের মাঝে আমার ছেলেবেলাকে খুজে পেয়েছি।ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর একটি পোস্ট আর ভালো কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনি চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছিলেন। তাছাড়া বাচ্চাদের এমন দৃশ্য দেখে ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো। বিশেষ করে আকাশ এবং সূর্য অস্তের ফটোগ্রাফি দেখে রিতিমতো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি সুন্দর একটি পোস্ট এবং অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পদ্মার পাড়ের। সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আসলে এসব স্মৃতি গুলো দেখলে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যায় যেগুলো কখনো ফিরে পাওয়ার মতো না। আসলে শৈশবের এই দিনগুলোর কথা কখনো ভুলবার নয়, সুন্দর একটি পোস্ট দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন সুন্দর শৈশবের অনুভূতি করলে আমার খুবই ভালো লাগে আমিও যেন ফিরে পাই আমার অতীতের সেই দিনগুলো। খুবই ভালো লাগলো আপনার অসাধারণ এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে।
সত্যি বলেছো বন্ধু শৈশবের সেই দিনগুলো এখন ভীষণ মিস করি। তবে এখনো এই সব ছোট ছোট বাচ্চাদের মাঝে সেই দিনগুলো দেখতে পায়। পদ্মার চরে গিয়ে দেখছি শিশু-কিশোরদের সাথে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছে। বন্ধু তোমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় মাস্টারপিস। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
https://twitter.com/mahmudrr_r/status/1792153340970983664?t=HlSQwaj_s19DQ86UXWyaTA&s=19
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিজের শৈশব জীবনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল ভাইয়া। শৈশবে কতই না আনন্দ করতাম। আর ছোট ছোট বাচ্চাদের এই আনন্দ দেখে আমারও ভালো লাগছে। ফটোগ্রাফির দক্ষতা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।