বিকেলের প্রশান্তি || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40 by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বিকেলের প্রশান্তি
- ১১, মার্চ ,২০২৩
- শনিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি বিকেলের প্রশান্তি মুহূর্তের দৃশ্যপট শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
বিকেলের প্রশান্তি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন শুরু করি |
---|
কিছুদিন আগে অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করেছি। সবাই এখন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করছে। আমিও কিছুদিন যাবত অনেক ব্যস্ত ছিলাম এখন কিছুটা ফ্রি হয়েছি। বিকেল মুহূর্তটা সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর ভাবে কাটানোর। কোন কাম কাজ না করতে করতে শরীরটা অলসতায় পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সে জন্য ভেবেছিলাম বিকেল বেলায় ফুটবল খেলে শরীরে অলসতা দূর করতে হবে। তাই কয়েকদিন যাবত ফুটবল খেলার মাধ্যমে বিকেল মুহূর্তটা দারুন ভাবে উপভোগ করছি। আপনারা জানেন বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে খুবই পছন্দ করি। কিছুদিন বাড়িতে থাকলে বিরক্তি বোধ হয় সেজন্য ভাবলাম বিকেল মুহূর্তটা সুন্দরভাবে কাটানোর।
Device : Redmi Note 11
সুন্দর বিকেল
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
বিকেল মুহূর্তে আমার এক বন্ধু এবং বড় ভাই তিনজন মিলে বাইক নিয়ে বাজার থেকে ফাস্টফুড খাবার সিঙ্গারা এবং সেভেন আপ পানি নিয়ে বাহাদুরপুর হেনা পার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। জায়গাটা আমার খুবই পছন্দের বেশিরভাগ মানুষই বিকেল মুহূর্তটা এখানে এসে পার করে। এই জায়গাটি সম্পর্কে কিছু কথা বলা যাক, আমাদের বাসা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আপনারা ছোট্ট নদীর মত যে অংশটি দেখতে পাচ্ছেন এখানে দশ বছর আগেও মানুষের বসবাস ছিল। যেটা পদ্মা নদীর শাখা নদী ভাঙ্গনের ফলে এখানে এই ধরনের শাখা নদী সৃষ্টি হয়েছে । সেই মুহূর্তের দারুন একটা অভিজ্ঞতা ছিল আমার আমি তখন ছোট্ট ছিলাম। ছোট্ট শাখা নদীর ওপারে অনেক বড় বালুর চর জেগেছে কয়েক বছরের মধ্যে সেখানে পলিমাটি পড়ায় চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে।
Device : Redmi Note 11
হাওয়াই মিঠা
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
এখন বিকেল মুহুর্তে এই জায়গায় প্রকৃতিপ্রেমীরা সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে। বিকেলের সুন্দর মুহূর্তটা সত্যিই উপভোগ্য হয়ে থাকে। তা ছাড়া এখানে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট গড়ে উঠেছে সেজন্য প্রায় প্রায়ই এই জায়গাটি আসা হয়। নদী ভাঙ্গনের ফলে নদীর তীরে খুব সুন্দর করে ব্লক দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে যার ফলে আর ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়নি। সেখানে বসে সিংগারা এবং সেভেন আপ খাবারটি উপভোগ করছিলাম। তারপর এক চাচা হাওয়াই মিঠা নিয়ে যাচ্ছিল আমাদের দেখে সে এসে আমাদেরকে অনুরোধ করে খাওয়ার জন্য । তার হাওয়াই মিঠা বিক্রি করা দেখে আমার ছোট্ট বেলার ছুন পাপড়ি খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল । একদম ছোট্ট সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের জিনিস দিয়ে এই ধরনের ছুন পাপড়ি যেটা খেতে দারুন লাগতো ভাবলাম অনেক দিন পর হয় উপভোগ করা যাক।
Device : Redmi Note 11
সন্ধ্যাময় বিকেলের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তিনজন মিলে দুই প্যাকেট হাওয়াই মিঠাই এক নিমিষেই খেয়ে শেষ করে দিলাম । মুখের ভিতর নিতেই যেন হারিয়ে যাচ্ছিল যাক অনেকদিন পর অনেক মজা লাগলো খাবারটি উপভোগ করতে পেরে। সেখানে কিছু সময় আড্ডা দিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম অতিথি পাখিগুলো সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে ঘরে ফিরবে সেই মুহূর্তটা উপভোগ করব। প্রতি বছর এই সময় অতিথি পাখি এখানে এসে জড়ো হয়। তাদের কিচিরমিচির শব্দ সত্যিই অনেক ভালো লাগে পাখিগুলো মারা নিষেধ সেজন্য কেউ পাখিগুলোকে আঘাত করে না ।তাদের এই সুন্দর দৃশ্য সত্যিই অনেক ভালো লাগার বিষয়। প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন বাড়িয়ে তুলেছে সুন্দর মুহূর্তে তারা ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে ঝাঁক বেদে রওনা দিয়েছে তারপরে আমরাও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। প্রায় সময় বিকেলের মুহূর্তটা এখানে এসেই কাটাই অনেক ভালো লাগে। এই জায়গাটির বর্ণনা অনেকবার দিয়েছি আশা করি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
আপনার বিকেলের প্রশান্তির মধ্যে যে ছবিগুলো তুলেছেন দূরদান্ত লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে নদীর পাড়ের ছবি এবং হাওয়াই মিঠাইয়ের ছবিগুলো দারুন ছিল। আর বন্ধুদের নিয়ে বেশ কিছু মিঠাই খেয়ে ফেলেছেন বলছিলেন। সবমিলিয়ে দারুন লেগেছে পোস্টটি আমার কাছে।
অলসতা দূর করার ভালো একটা আইডিয়া বের করেছেন ভাইয়া। বিকেলে ফুটবল খেলাও হয়ে যায় আপনার শরীরের এক্সারসাইজে হয়ে যায় এর সাথে। তাছাড়া নদী ভাঙ্গার সাইডে যে বেরিবাধ তৈরি করে এই জায়গাটা খুব সুন্দর হয় দেখতে। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন । আপনার শনপাপরি গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এগুলো অনেক খেয়েছি। ভালো সময় উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আসলেই বিভিন্ন কাজকর্মের সাথে ব্যস্ত থাকতে থাকতে কি রকম একটা লাগে। তখন যদি এরকম জায়গায় গিয়ে সময় কাটানো যায় ভীষণ ভালো লাগে। তবে বিষয়টা ভীষণ খারাপ লাগলো যে এই জায়গায় ১০ বছর আগেও বাড়িঘর ছিল। কিন্তু নদী ভাঙ্গনের কারণে জায়গাটা নদীতে পরিণত হলো। তবে আপনারা ফাস্টফুড খাবারের সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। তার সাথে তো দেখছি হাওয়াই মিঠাই এসে হাজির হলো। সত্যিই হাওয়ায় মিঠাই এবং শন পাপড়ির কথা মনে পড়ে গেল আপনার পোস্ট পড়ে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে আমারও খুব ভালো লাগে বিশেষ করে সবুজ প্রকৃতি এবং নদীমাতৃক অঞ্চল হলে তো কথাই নেই।।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলা অসাধারণ ছিল বিশেষ করে ছোটবেলায় খেতাম দিল্লি কা লাড্ডু ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ভাই নদীর এপার ভাঙ্গে আর ও কুল গড়ে এইতো নদীর খেলা। যার কারনে আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখতে পেলাম পদ্মা নদী ভাঙ্গনের ফলে শাখা নদী সৃষ্টি হয়েছে। যাইহোক ভাই, বিকেলে প্রশান্তি খুঁজতে গিয়ে আপনি খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেই সাথে সুন্দর বর্ণনাও করেছেন। যা পড়ে খুব ভালো লাগলো। বিকেলে প্রশান্তি নিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলে কাজ না করতে করতে একটা সময় শরীর অলস হয়ে পড়ে তখন আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তবে ফুটবল খেলাটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং ভালো লাগে শরীর ও মন দুটোই অনেক বেশি ভালো থাকে। যাইহোক বন্ধু এবং বড় ভাইয়ের সঙ্গে আবহেনা পার্কে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এরকম সুন্দর বিকেল কাটাতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে। বিকেল এই সময়টার মাঝে অন্যরকম এক প্রশান্তি রয়েছে আসলেই আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্তটা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে কিছুদিন ব্যস্ত থাকলে শরীরে অলসতা যেন প্রবেশ করে। আপনি আর আপনার এক বন্ধু আর এক বড় ভাই মিলে তাই একটু ঘুরতে বেরিয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। একটা চাচা হওয়া মিঠা বিক্রি করতেছিল আপনারা চাচার থেকে কিনেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। ছোটবেলায় আমরাও হাওয়া মিঠাই অনেক চিনে খেতাম। যেন আপনার মিঠা কিনা দেখে ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। চাচা ও বেশ খুশি হয়েছে আপনারা কিনেছেন দেখে। চমৎকার পোস্ট এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেকদিন কাজকর্ম না করলে শরীরে অলসতা চলে আসে। এইতো কিছুদিন আগে আমিও বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং এতটা অলস হয়ে গিয়েছিলাম যে বাসায় আসার পর কোন কাজ আর করতে ইচ্ছে করছিল না। যাই হোক বিকেলে ভাই বন্ধুদের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন তাহলে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া।