বাংলাদেশের শেষ সীমানা মেহেরপুর বর্ডার(ঘোরাঘুরি পর্ব- ৬)|| by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- মেহেরপুর বর্ডার(ঘোরাঘুরি পর্ব- ৬)
- ২৯, জুলাই ,২০২৩
- শনিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি মেহেরপুর বর্ডার(ঘোরাঘুরি পর্ব- ৬) এর দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
মেহেরপুর বর্ডার
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
আজ আপনাদের সাথে ঘুরাঘুরি মুহূর্তের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করব। এইতো কিছুদিন আগে বাইক ট্যুর দিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে বাইক-ট্যুর দিয়ে থাকি। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি এটা প্রায় সবাই জানেন ।আমাদের ঘুরাঘুরি করার অনেক বড় একটি সার্কেল আছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ঘুরাঘুরি করি কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবাই বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত হয়ে হচ্ছে ঘুরাঘুরি একদমই কমে যাচ্ছে। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয় কোথাও ঘুরতে যেতে হবে অনেকদিন হলো ঘুরতে যাওয়া হয় না। লোক সংখ্যা কম ছিল একটি নির্দিষ্ট দিন ফিক্সড করেছিলাম। দিনটি ছিল সোমবার ২৯ তারিখ বাইকে মোট ৬ জন এবং ২ জন বড় ভাই আর চার বন্ধু ছিলাম।
Device : Redmi Note 11
বাংলাদেশের শেষ সীমানা
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
গত পর্বে চুয়াডাঙ্গার বধ্যভূমিরে ঘুরাঘুরি মুহূর্তের দৃশ্যপট শেয়ার করেছিলাম। আসলে যে কোন নতুন জায়গায় যেতে খুবই ভালো লাগে। আমার অনেক দিনের শখ ছিল বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কোন অঞ্চলে গিয়ে সীমান্তের বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়ার। সেই সুযোগ হয়েছিল এই ঘোরাঘুরির মাধ্যমে মুজিবনগর গিয়েছিলাম মেহেরপুরে তারই পাশে বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত। মুজিবনগর ঘুরাঘুরি করে গিয়েছিলাম বাংলাদেশ বর্ডারের সীমান্ত অঞ্চলে । আমরা যেহেতু বাইক নিয়ে টুর দিয়েছিলাম সেজন্য যেতে বেশি টাইম লাগেনি।
Device : Redmi Note 11
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
সেখানে গিয়ে দেখি রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে বাধা। হয়তোবা সাধারণ মানুষের সেখানে ঢোকা নিষেধ কিন্তু সাইড দিয়ে একটি বাইক যাওয়ায় কিছুটা আশা ফিরে পেলাম। আমাদের মধ্যে অনেকেই বলছে যেহেতু বাঁশ বেঁধে দেওয়া আমাদের যাওয়া ঠিক হবে না। আমার যাওয়ার প্রতি আগ্রহ টা বেশি কারণ আমি প্রথমবার বর্ডার অঞ্চলে এসেছি সেই ভেবে। বড় ভাই তিনি বললেন চলো যাই বিজিবি সদস্যদের সাথে কথা বলি। আমরা বাইক নিয়ে তাদের কাছে গেলাম তারা আমাদেরকে বলল এখানেই থামাও বাইক। প্রথমে তাদেরকে সালাম দিলাম। তারা বলল আপনারা যেহেতু ঘুরতে এসেছেন এর বেশি ভিতরে যাইতে পারবেন না।
Device : Redmi Note 11
ইন্ডিয়ার শালবাগান
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
যাইহোক, তাদের সাথে কথা বলতে বলতে আমার এক বড় ভাই তার বাবা বিজিবি চাকরি করে সেই প্রসঙ্গ উঠে গেল ।তখন বড় ভাইয়ের সাথে তারা কথা বলতে থাকলো একপর্যায়ে তারা আমাদেরকে ভিতরে কিছুটা সময় ঢোকার অনুমতি দিল। আমরা তো অনেক খুশি হলাম বড় ভাইয়ের বাবার বিজিপি চাকরির সুবাদে ভিতরে ঢুকতে পারছি। বাংলাদেশের ভেতরে ইন্ডিয়ার একটা শালবাগান ছিল ।যেখানে ইন্ডিয়ার লোকজন এসে সেখানে তাদের শালবাগান দেখাশোনা করে সেই জায়গাটিতে আমরা কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলাম। আমাদের বেশি দূর যাওয়ার নির্দেশ ছিল না সেজন্য আমরা তাদের সাথে আবার কথা বলে বিদায় নেই। এটাই ছিল বাংলাদেশের শেষ সীমানায় কাটানো একটা মুহূর্ত। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
মেহেরপুর বর্ডার এর কথা অনেক শুনেছি এবং সেখানে যাব যাও বলে এখনো পর্যন্ত যাওয়া হলো না। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেকটা দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আপনি এখানে আসলে মুজিবনগর ঘুরাঘুরি করার পর তার পাশেই মেহেরপুর বর্ডারের এই দৃশ্যপট অঞ্চলে যাইতে পারবেন।
মেহেরপুর বর্ডার এলাকা ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী উপস্থাপন করেছেন।
আমিও দুবার গিয়েছিলাম ভ্রমণ করতে এক পাশে বাংলাদেশ অন্য পাশে ভারত।
আসলে আগে কখনো যাওয়া হয়নি সেজন্য এই জায়গাটি আমার কাছে নতুন লেগেছে এবং প্রচন্ড গরম ঢাকায় সেখানে বিশ্রাম নিয়েছিলাম।
বন্ধুরা মিলে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আপনি বন্ধুদের নিয়ে মেহেরপুর বর্ডার সীমান্তে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এর সাথে আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। নিশ্চয়ই সবাই ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে একসাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ভোটার অঞ্চলের কিছু দৃশ্য পাঠ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি যেটা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোতে ঘুরতে গেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আমার শহর থেকেও বেশ কিছু সীমান্তবর্তী এলাকায় যাওয়া যায়। যদিও সেভাবে খুব একটা যাওয়া হয় না। তবে অনেকদিন আগে একবার গিয়েছিলাম। যাই হোক ভাইয়া বন্ধুদের সাথে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
এ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এটা আমার প্রথমবার যাওয়া সেজন্য এই জায়গাটির প্রতি আগ্রহটা বেশি ছিল ভালো লাগলো আপনার কথা।