"সূর্যের উপর পৃথিবীর নির্ভশীলতা "||(১০% লাজুক খ্যাকের জন্য)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- সূর্যের উপর পৃথিবীর নির্ভশীলতা।
- ২১,সেপ্টম্বর , ২০২১
- মঙ্গলবার
আজ আমি আপনাদের সামনে ভিন্ন ধরনের মনোভাব ও চিন্তা চেতনা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমরা জানি, শক্তির মুল উৎস সূর্য। সূর্যকে কেন্দ্র করে এই মহাবিশ্বের সকল গ্রহ নক্ষত্র ঘূর্ণনায়মান অবস্থায় রয়েছে। পৃথিবী ব্যতীত বিশ্বের অন্যান্য গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। যদিও থেকে থাকে তাহলে নক্ষত্রের কাছাকাছি থাকতে হবে।কাছাকাছি বলতে এমন না যে খুব কাছে আবার দূরেও না।বেশি দূরে হলে আবার প্রাণীর টিকে থাকা অসম্ভব। যেমন পৃথিবী ও সূর্য এর দূরত্ব ঠিক তেমনই।এবার সূর্যের উপর পৃথিবীর নির্ভশীলতা নিয়ে কথা বলা যাক।প্রাণীর বেঁচে থাকতে বা বেঁচে থাকার তাগিদে কোন না কোন ভাবে সূর্যের উপস্থিত পরিলক্ষিত। সূর্য ও পৃথিবীর প্রাণী জগৎ প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভশীলতা বিরাজমান রয়েছে। উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের শক্তির মুল উৎস সূর্য। উদ্ভিদ ও প্রাণী শক্তি ছাড়া টিকে থাকতে পারেনা।এই পৃথিবীতে তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকতে হলে সূর্য এর ভূমিকা অপরিসীম।
উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে তার মূলরোমের মাধ্যমে আর সেটা গিয়ে পৌঁছে তার বিভিন্ন শাখা প্রশাখায়।সূর্যের উপস্থিততে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে। খাদ্য তৈরির সময় বায়ুমন্ডল এর কিছু ভূমিকা থাকে। যেমন উদ্ভিদ বায়ুমন্ডল থেকে কার্বনডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ত্যাগ করে। বায়ুমন্ডলকে নিয়ন্ত্রণ করে আবার সূর্য। খাদ্য হিসেবে তৈরি করে চিনি ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপাদান। আবার তৃণভোজী প্রাণীরা উদ্ভিদ এর উপর নির্ভশীল।তৃণভোজী প্রাণী উদ্ভিদের তৈরি খাদ্য গ্রহন করে জীবন ধারণ করে। মাংসভোজী প্রাণী তৃণভোজী প্রাণীদের ভক্ষণ করে বেঁচে থাকে।
এইভাবে শক্তি স্থানান্তরিত হয়ে চলে আসে মাংসভোজী প্রাণীদের কাছে। এই শক্তি মাংস ভোজি প্রাণীদের দেহ গঠনে কাজে লাগে।এই শক্তি মাংস ভোজী প্রাণীদের দৌড়ে মিলনে ও বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যয় করে। আর স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তার সন্তানের দুধের জন্যে কিছু ব্যয় করে। এখানে শক্তির মূল উৎস সূর্য। পরজীবী প্রাণী মাংসভোজী প্রাণীদের দেহে বসবাস করে থাকে। পরজীবী সেখান থেকে কিছু শক্তি নিয়ে জীবন ধারণ করে। এখানেও শক্তির মূল উৎস কিন্তু সূর্য। জীবনের অতিক্রম করে প্রাণীকুল যখন নিদিষ্ট সময় পর মৃত্যু বরন করে। প্রাণীর দেহাবশেষ মাটির সাথে মিশে যায়।আবার কিছু প্রাণী সেখান থেকে শক্তি সংগ্রহ করে।উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মাটির সাথে মিশে গেলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ শোষণ করে। এভাবেই জীবের জীবন চক্র চলতে থাকে।আবার উদ্ভিদ সূর্যলোকের উপস্থিতিতে খাদ্য তৈরি করে।তাই শক্তির মুল উৎস সূর্য। পৃথিবীতে সূর্য এর উপস্থিতি না থাকলে জীব চক্রের কোন অস্তিত্ব প্রমাণ থাকতো না। একটি শিশু জন্ম গ্রহণের পর ভিটামিন -ডি গ্রহণ করে সূর্যের উপস্থিতি থেকে। পৃথিবীর সবকিছুতেই সূর্য এর ভূমিকা অপরিসীম।
আসলেই সূর্য নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন যা আমাদের জানা ছিল না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।
আপনি কিছু জানতে এটাই আমার সার্থকতা ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন বিষয়টা নিয়ে।শুভ কামনা রইলো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর হয়েছে ভাই অসাধারণ একটি বিষয় আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন সূর্য নিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনি।অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য দিয়েছেন আপনার পোস্টে।
খাদ্যজাল নিয়ে একটি অধ্যায় ছিল বিজ্ঞান বইতে।এরকম পড়া ছিল।অধ্যায়ের নাম মেবি জীব জগতের শ্রেণী বিন্যাস।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকেও।
অনেক সুন্দর ভাবে সূর্য কিরণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সূর্যের কিরন ছাড়া পৃথিবীর সকল কাজই বন্ধ হয়ে যাবে। সকল শক্তির মূল উৎস সূর্য
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন ভাইয়া সূর্য ও পৃথিবীর নির্ভরশীলতাকে নিয়ে।অনেক কিছু জানতে পারলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।