গল্প : স্কুলে যাওয়ার মজার ঘটনা ||by ripon40

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক


  • স্কুলে যাওয়ার মজার ঘটনা
  • ১২, ডিসেম্বর ,২০২৩
  • মঙ্গলবার


আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " স্কুল যাওয়ার মজার ঘটনা " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।



students-3518726_1280.webp

Source

প্রতিটা মানুষের জীবনে স্কুলে পড়াকালীন সময়ে অনেক স্মৃতি বিজড়িত গল্প থাকে। সেই সময় হয়তো কখনো ভাবিনি এই দিনগুলো হারিয়ে যাবে। আর কখনো ফিরে পাবো না। সেই মধুর সময়ে প্রতিটা মানুষের সাথে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। আজকে আমি স্কুলের শুরু জীবনের একটি ঘটনা শেয়ার করব। ছোট্টবেলা থেকে আমি খুবই দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম। অনেকটা চঞ্চল শুধু ছোটাছুটি করতাম। সেই সময় কেজি স্কুলে যাওয়ার মাধ্যমে লেখাপড়া জীবন শুরু হয়।

আজকে আমি প্রাইমারি স্কুলের একটি গল্প শেয়ার করব। অনেক দুষ্টু ছিলাম স্কুলে যাওয়ার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ ছিল না। আমার বাবা-মা বুদ্ধি করে আমাকে স্কুলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহী করার জন্য দারুন একটা পরিকল্প গল্পটা গ্রহণ করেছিল। সেটা আমি স্কুলে যাওয়ার প্রতি যখন আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তখন বুঝতে পেরেছিলাম। আমি তো একঘেয়েমি করে বসে আছি স্কুলে যাব না। তখন আম্মু বলল স্কুলে গেলে ম্যাডাম তোমাকে টাকা দিবে। আমি তখন ভাবলাম তাই নাকি তখন কিছুটা একঘেয়েমি কমে গেল। কারন ছোট্ট সময়ে যেকোনো বাচ্চা কে টাকা দিলে পরে খুশি হয়।

আমার বাবা যে ম্যাডামের কাছে টাকা দিয়ে এসেছিল। তাদের সাথে আমাদের আবার খুবই ভালো সম্পর্ক। সেই ম্যাডামের হাসবেন্ড সেইসময়ের চেয়ারম্যান ছিল। রাজনৈতিক সূত্রে তাদের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক। এখনো সেই সম্পর্কটা রয়ে গেছে। যাইহোক আমাকে স্কুলে দিয়ে আসলো । ম্যাডামকে আমি আগে থেকেই চিনি তাদের বাসায় অনেকবার যাওয়া হয়েছে। নতুন জায়গায় গেলে আপনি যতই দুষ্টু হোন তখনি একটু শান্তশিষ্ট স্বভাবের হয়ে থাকবেন। ঘটনা ২০০৫ সালের সেই সময় প্রথম দিনেই স্কুলে যাওয়ার পর আমাকে দুই টাকার একটি নোট দেওয়া হলো। আমি তো টাকা পেয়ে খুবই খুশি। এখন থেকে প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে সেই চিন্তা ভাবনা করে ফেললাম।

সেই সময় গোলাকার আকৃতির বিস্কুট ছিল নাম ছিল রাজশাহী বিস্কুট। বিস্কুটের উপরে তিন অক্ষরের মতো লেখা থাকতো। সেই বিস্কুট আমার খুবই প্রিয় ছিল। বাবার সাথে দোকানে গেলেই প্রথম সেই বিস্কুট টার্গেট। তাছাড়া দোকান থেকে কোনভাবেই বাড়ি ফিরতাম না। কারণ আমি অনেক জেদি ছেলে ছিলাম। তো এভাবেই স্কুলের যাত্রা শুরু হল ।প্রতিদিন এলাকার সমবয়সীদের সাথে স্কুলে যেতাম দুষ্টামি করতে করতে। স্কুলে পৌঁছানোর পর সেই ম্যাডাম আমাকে দেখলেই ২ টাকার একটি নোট আমার হাতে ধরিয়ে দিত। আমি তো মহা খুশি। স্কুলে যাওয়াটা বেশ ইনজয় করছিলাম।

স্কুলে গিয়ে সেই দুষ্টামির জগতে আবার ফিরে গেলাম। বন্ধুদের সাথে অনেক মারামারি করেছি। লেখাপড়া প্রতি একটা ভালো আগ্রহ চলে আসলো। আমি আমার বন্ধুদের বলতাম আমাকে প্রতিদিন ম্যাডাম টাকা দেয়। তারা তো আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতো। বলতো কই আমাদের তো দেয় না। সেই ম্যাডাম আমাকে অনেক ভালোবাসতো। এইভাবে একমাস যাবত আমাকে প্রতিদিন দুই টাকা করে দিয়েছিল। হঠাৎ একদিন টাকা নেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু সেদিন ম্যাডাম আর টাকা দিল না। কিছুটা মন খারাপ হয়েছে ভাবলাম পরে দিবে কিন্তু তাও দিল না।

সেদিন মন খারাপ করে বাড়িতে চলে গেলাম। বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে বললাম আজকে ম্যাডাম আমাকে টাকা দেয়নি। তখন বাড়ি থেকে বলল তোমার জন্য যে টাকা দিয়েছিলাম সেটা হয়তো শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি এই কথা শোনার পর অবাক হয়ে যাই। তখন বাবা মা বলছে তোমাকে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহী করার জন্যই আমরা ম্যাডামের কাছে টাকা দিয়ে এসেছিলাম। আমি তো অনেক রেগে গিয়েছি আমার টাকা না দিলে আমি স্কুলে যাব না। তখন বাড়ি থেকে টাকা দিতো মাঝে মাঝে । স্কুলে এসেই স্কুলের পাশের দোকান থেকে সেই রাজশাহী বিস্কুট কিনে খেতাম। খুবই মিস করি সেই বিস্কুট যেটা অনেক খেয়েছি। আশা করি, স্কুলে যাওয়ার গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে



20211112_012926-01.jpeg

আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 8 months ago 

ছোট বেলায় কারোই স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ তেমন থাকে না।প্রথম প্রথম গেলেও পরে আর যেতে চায় না স্কুলে।আপনি তো বেশ দুষ্ট ছিলেন।তবে আঙ্কেল, আন্টি খুব ভালো বুদ্ধি করেছিলো স্কুল পাঠানোর। সব মিলিয়ে স্কুলের সৃতিচারণ গুলো কিন্তুু বেশ মজাদার ও হাস্যকর।ধন্যবাদ সুন্দর স্কুল যাওয়ার সৃতিচারণ শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

আপনার বাবা-মা বুদ্ধি করে বেশ ভালোই একটা কাজ করেছিল দেখছি। আপনার ম্যাডামকে টাকা দিয়ে এসেছিল, যে টাকা থেকে আপনাকে প্রতিদিন ম্যাডাম টাকা দিত। সব শেষে তাহলে আপনি ঘটনাটা জানতে পেরেছিলেন, যখন ম্যাডামের কাছে দেওয়া টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আপনার ঘর থেকে আপনাকে টাকা দেওয়া হতো। যার ফলে আপনি স্কুলে যেতেন, বেশ মজার একটা ঘটনা ছিল এটা। পুরোটা পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ‌

 8 months ago 

অনেক সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলে পিতা মাতা তার সন্তানকে স্কুলে যাওয়ার জন্য আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে এ ধরনের সুন্দর সুন্দর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যেটা পরবর্তীতে আমাদের জীবনের দারুন একটি গল্পে পরিণত হয়। খুবই ভালো লাগলো আপনার জীবনের এই গল্প পড়ে।

 8 months ago 

বলতেই হবে তোমার বাবার মাথায় অনেক বুদ্ধি আর তোমার অনেক টাকার লোভ ছিল সেজন্যই তুমি টাকার জন্য পথ অনেক স্কুলে যাইতা। আসলে ছোটবেলার কাহিনী গুলো বেশ মজার। তোমার এই কাহিনীটা বেশ ভালো লাগলো আর ওই সময়কার বিস্কিট টা বেশ মজা লাগতো। এবার বাড়ি গিয়ে ওই বিস্কিট খুঁজবো কি বলো?

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

বিস্কিট খাওয়ার লোভে লোভে স্কুলে যাওয়া হত হা হা হা। তবে হ্যাঁ সেই সময়ে ওই রাজশাহী বিস্কুট খুবই মজার ছিল আমি তো এখনো মিস করি।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 61119.19
ETH 2615.15
USDT 1.00
SBD 2.65