জেনারেল রাইটিং : জীবনে গোপনীয়তা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ /by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- জীবনে গোপনীয়তা রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
- ০৯, নভেম্বর ,২০২৩
- বৃহস্পতিবার
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন ,আর আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আসলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো থাকা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কেননা আবহাওয়া অবস্থা খুবই খারাপ -যে কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। যদিও আমি অসুস্থ ছিলাম এখন আল্লাহর রহমতে অনেক সুস্থ আছে আলহামদুলিল্লাহ। তবে সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকে আমার একটি পোস্ট করতে এসেছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে গোপনীয়তাঃ নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব আশা করি আমার কাছে ভালো লাগবে।
যে মানুষগুলোর সাথে আসলে আমাদের সময় কাটাতে হয় এবং জীবন কাটিয়ে দিতে হয়। এছাড়া আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ রয়েছে আপনি দেখবেন যে আপনাকে বিশ্বাস করে একজন মানুষ তার অনেক গোপনীয় কথা হয়তো আপনাকে বলে দিয়েছে। কিন্তু তখন হয়তো সে চিন্তা করেনি যে আপনার সাথে তার সম্পর্ক কখনো খারাপ হতে পারে এবং এই গোপন কথাগুলো আপনি অন্যকে বলে দিতে পারেন। হয়তো অন্য মানুষের এমন কোন কথা থাকে যেগুলো যদি আপনি প্রকাশ করেন তাহলে হয়তো তার অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে।
কিংবা মান সম্মান ক্ষুন্ন হতে পারে ,কিন্তু আপনি চিন্তা করেন যে যখন আপনাকে সেই মানুষটা তার গোপনীয় কিছু কথা বলেছিল তখন কিন্তু আপনাকে আপন ভেবে বলেছিল। আর যদি আপনি সেই তার আপন কথাগুলো অন্য মানুষের কাছে প্রকাশ করেন সেটা হয়তো ভালো কাজ হবেনা। কিন্তু আমাদের সমাজে অনেক মানুষ দেখা যায়, যার গোপন কথা জানে তার সাথে যদি তার কোনো সম্পর্ক কোনভাবে একটু খারাপ হয় তাহলে সে মনে করে যে তার গোপন কথাগুলো সে সমাজের প্রকাশ করে দেবে।
এতে হয়তো সে ভাবে যে অন্য মানুষের গোপন কথা যদি আমি প্রকাশ করে দেই তাহলে আমি তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে পারবো এবং সে মনে করে এতে আমার মান-সম্মান অনেক বেশি বেড়ে যাবে। কিন্তু আমি মনে করি যে আমি যদি অন্য মানুষের মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে চাই তাহলে আল্লাহ আমাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন করে দেবে। যদি আমরা কখনো কারো ক্ষতি করি তাহলে অবশ্যই একদিন না একদিন সেই ক্ষতি আমাদেরও হবে। যদি আপনি অন্য মানুষের কোন কথা গোপন করতে পারেন ,তাহলে মনে করবেন যে আপনার জীবনে কোনো না কোনো কথা যদি কারো কাছে থেকে থাকে তাহলে সেটা সে গোপন করছে।
আমরা আসলে এই সমাজের মানুষকে চিনতে ভুল করি। কেননা অনেক মানুষ আছে যারা আমাদের কাছে এসে অন্যের দোষ-ত্রুটি বলে থাকে। আর আমরা সেই কথাই কথা বলতে থাকি। যাতে তারা আরও উৎসাহ পেয়ে অন্যর দোষ আমাদের কাছে বলে। কিন্তু আমরা যদি একটু ভাবি তাহলে কিন্তু দেখি যে অন্য মানুষের দোষ যখন সে আমার কাছে এসে বলতে পেরেছে ,তখন আমার দোষ সে অন্য মানুষের গিয়ে কাছে গিয়ে বলতে পারবে এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। তখন কিন্তু আপনি তার দোষ দিতে পারবেন না।
যে আপনার দোষ সে অন্য মানুষের কাছে প্রচার করলো। যখন সে অন্য মানুষের দোষ আপনার কাছে বলেছিল ,তখনই বোঝা উচিত ছিল যে যখন আপনার দোষ ও সে অন্য মানুষের কাছে প্রকাশ করতে পারবে। আসলে আমি মনে করি যে যেমন অন্য মানুষের কোনো দোষ আমাদের শোনা উচিত নয় ,তেমনি ভাবে যদি কেউ আমাদেরকে বিশ্বাস করে তার কোন গোপনীয় কথা আমাদের কাছে বলে এটা আমানত হিসেবে রাখা উচিত। যদিও কোনো সময় তার সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় তবুও তাঁর এই গোপন কথা গুলো প্রকাশ করা উচিত নয় এটাই আসলে মনুষ্যত্বের পরিচয় বলে আমি মনে করি।
আর আমাদের মাঝে এই অভ্যাসটা কারও থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আজ থেকে আমরা এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকব। যদি আপনি অন্যর দোষ-ত্রুটি গোপন করতে পারেন তাহলে আল্লাহ আপনার দোষ ত্রুটি গোপন রাখবেন। সেজন্য আসলে আমাদেরকে অবশ্যই অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখা উচিত এবং গোপনীয় কথা গোপন রাখা উচিত। আসলে যদি আমরা এই কাজটা করতে পারি ,তাহলে কিন্তু এটা আমাদের জন্যই ভালো। কেননা আপনার মৃত্যুর পর কোন মানুষ আপনাকে মনে রাখবে না ,যদি না আপনি পৃথিবীতে কোন ভাল কাজ করে যেতে না পারেন। মানুষের ভালো কাজকে কিন্তু অন্য মানুষ মনে রাখে। আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
আপনি যে টপিকটা নিয়ে আজকের পোস্টটা লিখেছেন আমার কাছে কিন্তু এটা খুব ভালো লেগেছে। আসলে জীবনে গোপনীয়তা রক্ষা করাটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা অনেকজনকে অনেক কিছু বলে থাকি নিজের সম্পর্কে, এটা কিন্তু আমাদের বলা উচিত না। হয়তো আমরা বিশ্বাস করে অন্যজনকে অনেক কিছু বলি। কিন্তু দেখা যায়, ওই মানুষটা আমাদের বিশ্বাস ভাঙতে দুই মিনিটও লেট করে না।
জ্বী ভাইয়া খুব ভালো লাগলো জীবনে গোপনীয়তার রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ যখন মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে। মানুষ তখন গোপন কথা প্রকাশ করে তখন মানুষ খুবই কষ্ট পায় তাই নিজের দুর্বলতা কখনো কারো কাছে শেয়ার করতে হয় না। জ্বী ভাইয়া একটা মানুষের সাথে সম্পর্ক আছে কাল নাও থাকতে পারে। সেই কথা ভেবে কখনো নিজের গোপন কথাগুলো অন্যকে বলা ঠিক না। এই দুনিয়াতে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ আপন নয়। নিজের স্বার্থে আঘাত লাগলে সবাই গোপন কথা বলে প্রকাশ করবে। একটা কথা ভালো লাগলো আসলে আমাদের উচিত অন্যের দোষটি গোপন করা এবং আমারা যদি অন্যের দোষ ত্রুটি গোপন করি। সৃষ্টিকর্তা ও আমাদের দোষ ত্রুটি গোপন করবেন ইনশাল্লাহ। জি আমাদের এই অভ্যাসটা থেকেই বিরত থাকতে হবে। নিজের গোপন কথা গুলি নিজের কাছেই রাখতে হবে।
আসলে প্রতিটি মানুষের জীবনে গোপন কিছু থেকে থাকে। আর কিছু কিছু কথা থাকে যে কথাগুলো সবার কাছে বলে না কিছু বিশ্বাসযোগ্য লোকের কাছে বলে। যাকে বিশ্বাস করে বলেছে তার উচিত সেটা আমানত হিসেবে রেখে দেওয়া। আমাদের সবার উচিত কারণ গোপন কথা জানলে অন্য কাউকে না বলা। সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আজকে আপনি আলোচনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার কথাটার সাথে কিন্তু আমি একমত। আমরা যদি গোপনীয়তা রক্ষা না করতে পারি, তাহলে দেখা যাবে আমাদের গোপনীয়তা সব জায়গায় ছড়িয়ে গিয়েছে। আর আমাদের গোপনীয়তার বিষয়গুলো কখনো কারো সাথে শেয়ার করা উচিত না। কারণ যে কোন সময় যে কেউ আমাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে ফেলতে পারে। তাই গোপনীয়তার বিষয়গুলো নিজেরদের মধ্যেই রাখা উচিত। তা ভালো হোক অথবা খারাপ হোক না কেন।