ভাগ্নিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে(ঢাকা শিশু হাসপাতাল) || @shy-fox 10% beneficiary
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- ভাগ্নিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে
- ৩০, মে ,২০২২
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি ভাগ্নিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যের গল্প শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : A20s
ভাগ্নিকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। বিশেষ করে শহর অঞ্চলের উপর মানুষের ঝোঁক বেশি থাকে কারণ শহর ব্যবস্থায় সবকিছুই পাওয়া যায় মানুষের চাহিদা মতো। যাইহোক, আজ আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি আমার ভাগ্নীকে নিয়ে কারণ তিনি অনেক মারাত্মক একটি রোগের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সুস্থতা অনেক বড় দরকার বা প্রয়োজন।
Device : A20s
ট্রেনে যাতায়াত মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে ট্রেনে ভ্রমণ করতে আমি বেশি পছন্দ করি। আমার মত ঠিক আমার ভাগ্নে ও ট্রেনে বিভিন্ন জায়গায় যেতে বেশি পছন্দ করে। সে বাসে উঠতে চায় না সেই জন্য ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া । যদিও ট্রেনের গন্তব্য স্থল ও গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়ে যাবে তবুও কিছুটা স্বস্তি মিলে ট্রেনে ভ্রমণের মাধ্যমে। তারপর নদী পার হয়ে গিয়ে আবার বাসে উঠতে হবে। দুপুর একটায় স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠি 10 মিনিট পর ট্রেন চলতে শুরু করে। আমরা ট্রেনের সর্বশেষ গন্তব্য স্থল একদম ঘাট পর্যন্ত গিয়ে পৌছাবো। সেখান থেকে লঞ্চে করে নদী পার হব এখান থেকে ঘাটে যেতে প্রায় 3 ঘন্টা সময় লাগবে। আসলে ট্রেনের মধ্যে বসে থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।
Device : A20s
তিলের খাজা
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
ট্রেনের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার নিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। মানুষ তার পছন্দমতো মুখরোচক খাবার খেয়ে থাকে ।আমি বাদাম ভাজা খেতে বেশি পছন্দ করি ।আমাদের বাসা কুষ্টিয়া হওয়ায় কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা যেটা প্রায়ই খাওয়া হয়। যেটা আমাদের একটি ঐতিহ্য দুই প্যাকেট কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা 20 টাকা দিয়ে কিনলাম। আমার ভাগ্নেকে খেতে বললাম সে এখন খেতে রাজি নয় ট্রেনের ভিতরে মোবাইল চালানো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া অন্য কিছু খেতে তেমন একটা আগ্রহ পোষণ করে না। যাই হোক কিছুক্ষণ পর সে বাদাম খেতে চাইলেও তাকে বাদাম কিনে দিয়েছি আর আমি এক প্যাকেট তিলের খাজা খাইতে শুরু করি। অল্প টাকায় খুবই মজাদার খাবার যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে।
Device : A20s
নদীর পাড়ে পৌঁছানোর পর লঞ্চে ওঠার মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমরা বিকেল তিনটার দিকে আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়। সেখান থেকে একটি রিকশা নিয়ে লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। স্টেশন থেকে লঞ্চ ঘাটে যেতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে। সেখানে পৌছানোর পর লঞ্চে উঠে গিয়ে বসে থাকি 10 মিনিট পর হয়তো লঞ্চ ছেড়ে দিবে আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই লঞ্চের ছেড়ে দিল এপার থেকে ওপার যাইতে আধাঘন্টা সময় লাগবে। আমরা লঞ্চে বসে নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম। যেটা উপভোগ করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। মুক্ত পরিবেশের সৌন্দর্য তা উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে যেটা আমিও খুবই পছন্দ করি।
Device : A20s
বাসে যাওয়া মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
নদী পার হয়ে যাওয়ার পর আমরা একটি বাসে উঠে সেখান থেকে ঢাকা গাবতলী পর্যন্ত বাস যাতায়াত করে আমরা গাবতলী পর্যন্ত হয়ে যাব যাইহোক বাসে উঠে সামনের দিকে সিট পাই সেখানে বসে যাতায়াত শুরু করি আসলে বাসে উঠে শহরমুখী যাওয়ার মধ্যে প্রচণ্ড গরম এবং রোদে বাসের মধ্যে বসে থেকে অসস্তি লাগছিল তবুও আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলের দিকে যেতে থাকে আমার ভাগ্নে সে আমার মোবাইল নিয়ে গেম খেলতে শুরু করে একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল বাসে উঠতে খুবই ভয় পায় কিছু করার নেই নদী পার হয়ে বাসে তো হতেই হবে কিছুক্ষণ পর সে ঘুমিয়ে গেলো আমি মোবাইল নিয়ে জানালার ধারে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তারপর আমরা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আমাদের গন্তব্য স্থলে গিয়ে পৌঁছায় ।আগামীকাল ঢাকা শিশু হাসপাতালে সকাল দশটার আগেই পৌঁছাতে হবে কারণ তাকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য ঢাকায় উদ্দেশ্যে আশা ।আমরা আমার আপার বাসায় রাত যাপন করে সকালে উঠে ঢাকা শিশু হাসপাতাল উদ্দেশ্যে যাব।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
আপনার ভাগ্নি একটি মারাত্মক রোগের সাথে পাঞ্জা লড়ছে শুনে ভীষণ খারাপ লাগছে। আল্লাহতায়ালা যেন তাকে ভালো করে দেয় সেই কামনা করি। আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে এবং আপনার ভাগ্নির শরীরের অবস্থার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আমাদের মাঝে এই পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু দোয়া করবেন সে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে সেটাই প্রত্যাশা করি ধন্যবাদ।
এক প্যাকেট তিলের খাজা আমাকে দেন একটু খেয়ে দেখি ভাইয়া 😁
আপনার ঢাকা যাওয়ার অভিজ্ঞতা সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
এক প্যাকেট তিলের খাজার দাম 10 টাকা কিভাবে আপনাকে দিব কিনে খাইয়েন ধন্যবাদ।