---

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক

---

---

---

আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " শৈশবের স্মৃতি " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

---

---

Source

---

---

তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি

---

---

মানুষের এই ক্ষুদ্র জীবনে অনেক স্মৃতি অনেক গল্প লুকিয়ে আছে। জীবনের ছোট্ট থেকে অগ্রসর হয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অনেক স্মৃতি অনেক অতীত জীবনের পাতায় গেঁথে আছে। আমার কাছে ছোট্ট বেলার দিনগুলো খুবই মজার ছিল। শুধু আমার কাছে নয় প্রতিটা মানুষের কাছে তার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো হলো ছোট্টবেলার স্মৃতি। যে জীবনটা স্বাধীন যে জীবন মানে না কোন বাধা। জীবনের এই যাত্রাপথের চাপের বিষয়টি বুঝতে পারার আগ্রহটা তখন ছিল না। মাঝে মাঝে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করি। ভাবি হয়তো আর কখনো সে দিনগুলো আর ফিরে পাবো না।

সে ভাবনাগুলোই আমার স্মৃতিকথা ও গল্পের পাতা। সেই মুহূর্তগুলো ভুলে গেলে চলবে না। তাই ভাবলাম মাঝে মাঝে জীবনের সেরা স্মৃতি বিজড়িত জীবনের এই অগ্রযাত্রার গল্প গুলো শেয়ার করব। যাইহোক, অনেক কথা বলে ফেললাম এবার সেই ছোট্ট গল্পের কথা এখন বলা যাক, ছোট্টবেলা থেকেই একটু দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম। অনেকটা চঞ্চল ছোট্ট বয়সে যেটা হয় আর কি ছোট্ট বাচ্চারা সবসময় ছোটাছুটি দৌড়াদৌড়ি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এই ভাবনাই যেন তাদের মনের মধ্যে মাতোয়ারা হয়ে দাঁড়ায়।

দুষ্টু বলতে শুধু দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটি নয় ছোট্টবেলায় সমবয়সীদের সাথে অনেক মারামারি করেছি। হয়তো এই মারামারি সূত্রপাত কিভাবে হয়েছিল সেই বিষয়টি আজ বলবো। ছোট্ট বাচ্চারা যেমন সন্ধ্যা মুহূর্তে ঘুমিয়ে পড়ে ঠিক খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে। ২০০৬ সালের কথা সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবার সাথে দোকানে গিয়েছি আমি বিস্কুট খাব বলে। তখন দুই টাকার রাজশাহী বিস্কুট পাওয়া যেত খেতে দারুণ মজা সত্যিই মিস করি। বিস্কুটের উপর ৩ লেখা থাকতো। ছোট্টবেলা প্রতিদিন সকালে বাবার কাছে যেটা বড় আবদার ছিল। সকালবেলায় এলাকার সকলেই রাস্তার পাশে দোকানে বসে আড্ডা দিত।

Source

সেখানে বিস্কুট আবদারের সাথে সাথে বাবার সাথেও সেখানে থাকতাম। এলাকার এক আঙ্কেলের ছেলে সে আমার সমবয়সী সেও তার বাবার সাথে এসেছিল সেদিন। সে সময় ছোট্ট বাচ্চাদের মারামারি লাগিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সবাই দারুন মজা করত। ওই আঙ্কেলের ছেলের সাথে আমার মারামারি ধরিয়ে দেয়। ছোটবেলার মারামারি বোঝেনি তো কেমন হয় যেটা আমাকে বুঝিয়েছে সেটাই আমি করেছি। দুজন যখন মারামারি শুরু করি একে অপরকে এমনভাবে চিমটি দিচ্ছি সেখানেই তার মাংস উঠে যাচ্ছে। এমন পর্যায়ে ওই আঙ্কেলের ছেলের রক্ত বের হয়ে যায় পরে তারা আবার আমাদের দুজনকে বিচ্ছিন্ন করে মারামারি ঠেকিয়ে দেয়।

তখন বুঝতাম এটা মনে হয়, নিজের সাহসিকতার বড় পরিচয় কিন্তু এখন বুঝি মারামারি আসলেই ঠিক নয়। এবার বলি মূল ঘটনা, সেদিনের পর থেকে ওই আঙ্কেলের ছেলের সাথে যেখানে দেখা হবে আমাদের দুজনের মারামারি লেগে যাবে। যাকে বলে বাঘে সিংহ লড়াই। বাড়ির পাশেই ছোট্ট শাখা নদী সেখানে আমার এক আঙ্কেলের বাড়ি । সেই আঙ্কেলের বাড়িতে অনেকগুলো খেজুর গাছ ছিল। ধানের মৌসুমে ধানের খড় খেজুর গাছের কাছাকাছি পালা দিত। হঠাৎ দুপুর টাইমে আমি সেখানে খেজুর কুড়াইতে যাই। তার কিছুক্ষণ পর ওই আঙ্কেলের ছেলে খেজুর কুড়াইতে আসে দুজনের মুখোমুখি দেখা সাথে সাথেই দুইজন মারামারি করতে শুরু করি যেখানে কেউ নেই। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মারামারি চলছিল এক পর্যায়ে গড়াগড়ি খেয়ে খরের পালার কাছে এসে দুজনেই একে অপরকে পাকড়াও করি।

সেই খড়ের পালার পাশ দিয়ে মাঠে যাওয়ার পথ ছিল ।আমাদের পাড়ার প্রতিবেশী আঙ্কেল তিনি মাঠে যাচ্ছিলেন হঠাৎ তিনি বুঝতে পারেন খরের পাশে কিছু একটা নড়াচাড়া করছে তিনি সেখানে যান তারপরে দেখতে পায় আমরা দুজন মারামারি করছি কোন সারা শব্দ নেই । তিনি তখন আমাদেরকে আলাদা করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরকম ঘটনা অনেকদিন চলছিল যখন একটু বড় হয়ে যাই তখন বিষয়টি সমাধান হয়ে যায় সত্যিই অনেক মজার ঘটনা ছিল।

---

---