বালুকাময় পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়া || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বালুকাময় পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়া
- ২৪, জানুয়ারী ,২০২৩
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি বালুকাময় পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়া মুহূর্তের গল্প শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
বালুকাময় পদ্মার চরে ঘুরতে যাওয়া
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে না এমন লোক খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আমিও খুবই ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করতাম। আমার কিছু বন্ধু ছিল তারাও ঘুরতে খুবই পছন্দ করে। বন্ধুদের চাওয়া-পাওয়ার সাথে মিল থাকলে তাহলে তো কোন কথাই নেই। যেখানে দুচোখ যায় সেখানেই যেতে মন চায় মন শুধু চায় ছুটাছুটি করতে বিভিন্ন জায়গায় অচেনা দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে।
Device : Redmi Note 11
বালুকাময় রাস্তা দিয়ে প্রবেশ
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
এই জায়গাটি আমার কাছে খুবই প্রিয়। শুধু আমার বললে ভুল হবে আমার বন্ধুদের সাথে প্রতিবছর বর্ষা কালীন সময় শীতের মৌসুমে সব সময় এই জায়গাটিতে অনেকবার ঘুরতে আসা হয়। কিন্তু এই বছর এই প্রথম এই জায়গাটিতে ঘুরতে আসলাম। গতবছর প্রতি সপ্তাহে একবার হলেও জায়গাটিতে ঘুরতে আসতাম। সময়ের সাথে সাথে এই জায়গার সৌন্দর্য ভিন্ন রকম থাকে কখনো সবুজ ফসলি দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় আবার কখনও বালুকাময় মরুভূমির দৃশ্য পটভূমি দেখতে পাওয়া যায়। যেটা পদ্মা নদীর চর চারিদিকে শুধু সাদা বালুর দৃশ্য দুপুরবেলায় এই জায়গাটিতে প্রচণ্ড রোদে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। বিকেল মুহূর্তে একান্ত নিরিবিলি শীতল পরিবেশ শীতের মৌসুমে সব সময় এই জায়গাটি উপভোগ্য হয়ে থাকে।
Device : Redmi Note 11
মোটরসাইকেল নিয়ে বালুর উপর দিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমরা দুই টা বাইক নিয়ে এই জায়গাটিতে আসার প্ল্যান করেছিলাম একদিন আগে। আমরা যেখানে যাই কয়েকজন বন্ধু একসাথে ঘুরতে যাই। জায়গাটি যেহেতু আমাদের সবার কাছে অনেক প্রিয় অনেকদিন হলো যাওয়া হয় না তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিকেল মুহূর্তে এই জায়গাটিতে ঘুরতে যাব। সবাই রেডি হয়ে বিকেলের শুরুর দিকে বাড়ি থেকে বের হলাম। আমাদের বাসা থেকে এই জায়গাটির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার বাইক নিয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না পনেরো থেকে বিশ মিনিট সময় লাগে। বিশ মিনিটের মধ্যে আমরা এখানে পৌঁছে যাই। আসার পথেই প্রচণ্ড ধূলা ছিল রাস্তায় কারণ রাস্তার কাজ চলছিল। যাইহোক, ধুলায় পোশাকে আস্তরণ পড়ে গিয়েছিল এখানে এসে এই সাদা বালুর দৃশ্য চারিদিকে খোলা আকাশের নিচে এরকম পরিবেশ উপভোগ করতে অনেক লোক এখানে এসে জমায়েত হয়েছে অনেকদিন পরে এসে ভালই লাগছিল। বাইক নিয়ে বালুকাময় রাস্তার উপর দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। বালুর উপর দিয়ে যে কোন গাড়ি চালানো খুবই কঠিন শুধু বাইক নিয়েই যেতে কষ্ট হচ্ছিল। যাই হোক একটু শক্ত জায়গা দেখে আমরা বালুকাময় স্থানের মাঝামাঝি জায়গা চলে গিয়েছিলাম। বর্ষাকালীন সময়ে এখানে ভরপুর পানি থাকে শীতের মৌসুমে এখানে চড় জাগো হয়। সেজন্য আমরা এখানে দুটো আলাদা পরিবেশ দেখতে পাই।
Device : Redmi Note 11
মরুভূমিময় স্থান
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
নিম নিম করে বাতাস বইছে পরিবেশটা একদমই শীতল সবাই চারিপাশে যে যার মত করে সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে থাকি। চারিপাশের এই অপরূপ সৌন্দর্য মোবাইল দিয়ে ক্যামেরাবন্দি করি। তারি পাশে গমের চাষ করা হয়েছে বালুকাময় স্থানে একটু সবুজ পরিবেশ যেটা এই জায়গাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে অনেক দূর থেকে এখানে লোক আসে তাদের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে। আমরা অনেকদিন পর এসেছি তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সন্ধ্যা পর এখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিব। কিছুক্ষণ পর দেখি পোশাকের সব জায়গায় ভালো অনেক সাবধানতা অবলম্বন করার পরেও কোথায় থেকে যে বালুগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশ লেগে গিয়েছে বুঝতেই পারিনি কে অপরকে বলছিলাম আমার পোশাকের এই অংশে হাত দিয়ে বালু ঝেড়ে ফেলতে। অনেক সময় সেখানে অতিবাহিত করার পর আমরা আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। খোলা আকাশে বিকেল মুহূর্তে দারুন সময় অতিবাহিত করলাম । শীতের সময় এই জায়গাটি ঘুরাঘুরি করার জন্য পারফেক্ট। আশা করি আমার কাটানো মুহূর্তের গল্প আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
এরকম জায়গাগুলোতে ঘুরলে মনটাও একেবারে ফ্রেশ হয়ে যায়। আমার খুব ইচ্ছে এরকম একটা বালুকাময় জায়গায় ঘোরার। আপনি তো আপনার বন্ধুদের সাথে গিয়ে ঘুরে এসেছেন। দেখেই বুঝতে পারছি বেশি ভালোই সময় কেটেছে আপনাদের। যেহেতু আপনারা বাইকে করে গিয়েছেন তাই এত বেশি সময় না লাগারই কথা। আপনারা বর্ষাকালীন সময় এবং শীতের মৌসুমে সব সময় এই জায়গাটিতে ঘুরতে আসেন এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।চারপাশের অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন এবং আমাদের সাথে সেগুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
সবাই এরকম সুন্দর জায়গা উপভোগ করতে পছন্দ করে পদ্মা নদীর তীরে এই শীতের মৌসুমে এইরকম দৃশ্য উপভোগ করতে পারা যায়।
আপনার মত আমিও শীতকালে বন্ধুদের সাথে এই জায়গাটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম দারুন মজা হয়েছিল সেখানে। শীতকালে পানি অনেক কমে যায় তো তাই আমরা সেখানে একটা ফুটবল নিয়ে গিয়েছিলাম আর বালুর মধ্যে ফুটবল খেলেছিলাম। আপনাদের বন্ধুদের কাটানো মুহূর্তগুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ শীতের মৌসুমে বালুকাময় স্থানে দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল জায়গাটি অনেক সুন্দর।
আসলেই জায়গাটা অনেক সুন্দর।
যত দূরে চোখ যায় শুধু বালু দেখা যায়।
বন্ধুদের সাথে তো ভালোই ঘোরাঘুরি করেন।
প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনার কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন এই জায়গাটিতে গেলে যতদূর চোখ যায় শুধু বালুকাময় স্থান দেখতে পাওয়া যায়।
অনেক সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমন করেছেন।
এমন জায়গায় ভ্রমন করতে আমারও খুব ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে খুব মজা করেছেন ফটোগ্রাফি এবং লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম।।
বালুর উপর দিয়ে বাইক রেস দিতে আমারও খুব ভালো লাগে।।
জায়গাটি অনেক সুন্দর আমাদের কাছে খুবই প্রিয় সেজন্য প্রতিবছর এই জায়গাটিতে অনেক বার যাওয়া হয়।
বালুকাময় পদ্মার চরে দেখছি বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সকল বন্ধুরা মিলে এরকম একটি জায়গায় যাওয়ার ফলে বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করা যায়। প্রকৃতিক সৌন্দর্যে এভাবে সময় কাটানোর মজাটাই আলাদা। খুবই ভালোই মজা করেছেন। পুরো পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। এরকম একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু জায়গাটি খুবই সুন্দর ছিল এবং উপভোগ্য অনেক ভালো লাগে এরকম জায়গায় যেতে।
আপনাকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়া আপনি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন নদীর পাড়ে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় এরকম জায়গায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি নদীর পাড়ে মরুভূমির দৃশ্যপট কিছুটা হলে অনুভব করতে পেরেছি।