বাজারের মধ্যেও পার্থক্য // by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- বাজারের মধ্যেও পার্থক্য
- ১৯, মার্চ ,২০২৪
- মঙ্গলবার
আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আর আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে আবারো একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়া শুরু করেছে সেজন্য সর্দি কাশি ঠান্ডা জ্বর এই ধরনের অসুস্থতায় আমরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তবুও নিজেকে সাবধান রাখতে হবে। পবিত্র মাহে রমজান মাস সবারই ভালো কাটুক সেটাই কামনা করি।
আপনারা সকলে জানেন আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করি। প্রকৃতি যেখানে সেখানেই আমরা ছুটে যাই। সবাই এখন ব্যস্ত হওয়ার কারণে একসঙ্গে ঘুরাঘুরি করা খুবই কম হয়। আমি এবং সাগর ভাই বেশিরভাগ সময় একসঙ্গে ঘুরাঘুরি করি। দুইদিন আগের কথা আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম কয়েকটি বাজারে দ্রব্যমূল্যের কেমন দাম সেটা পর্যবেক্ষণ করবো। আমাদের দেশের রমজান মাস আসলেই দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যায় অন্যান্য দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে বাড়ে এটাই হল আমাদের সোনার বাংলাদেশ এখানেই পার্থক্য।
গ্রামের বাজার গুলো ছোট হলেও বর্তমানে বাজারে সবকিছু চাহিদার কমতি নেই। আমাদের বাসা থেকে আমাদের বাজারে দূরত্ব এক কিলোমিটার আশেপাশে এরকম অনেকগুলো বাজার রয়েছে। আমরা দুজন সিদ্ধান্ত নিলাম বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সব কিছু দাম জিজ্ঞেস করবো কোন বাজারে কেমন দামে সবকিছু বিক্রি করছে সেটা বোঝার জন্য। প্রথমে আমাদের বাজার দিয়ে শুরু করলাম আমাদের এই পরিচিত দোকান ছিল তিনি বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করে থাকে। তার কাছে গিয়ে প্রত্যেকটা ফলের দাম জানতে চাইলাম। তিনি আঙ্গুর ফল বিক্রি করছে 300 টাকা কেজি। কমলা বিক্রি করছে 260 টাকা। আপেল বিক্রি করছে ৩০০ টাকা। যে ফলটির সবচেয়ে বেশি চাহিদা রমজান মাসে সেটা হল তরমুজ। সেটা ছোট সাইজের গুলো বিক্রি করছে ৯০ টাকা কেজি প্রতিটা তরমুজের ওজন হবে আড়াই থেকে তিন কেজি।
সেখান থেকে শোমসপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমির আগে থেকে জানি, আমাদের বাড়ির পাশে যে বাজারটি সব জায়গার চেয়ে সবকিছু দাম বেশি সেখানে যেটা আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। আমাদের বাজার থেকে শোমসপুর বাজার যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট আমরা বাইক নিয়ে সেই বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখানে গিয়ে অনেকগুলো ফলের দোকান দেখলাম । রমজান মাসে বিভিন্ন ধরনের ফল মানুষের ইফতারের জন্য অনেক বড় চাহিদা। অনেকে আছে রমজান মাস উপলক্ষে ব্যবসা শুরু করে। সেখানে আঙ্গুর ফলের দাম জিজ্ঞাসা করলাম তিনি বিক্রি করছেন ২৮০ টাকা কেজি এবং কমলা বিক্রি করছে ২২০ টাকা কেজি আর আপেল বিক্রি করছে ২৮০ টাকা কেজি। তার কাছে কোন তরমুজ ছিল না সেজন্য তরমুজের দামটি সেখানে জানতে পারলাম না।
এবার নতুন একটি বাজারে যাব সেটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম সেই বাজারে যে দুটো বাজার পর্যবেক্ষণ করেছি তার তুলনায় বেশি দাম হবে কিন্তু আমাদের ভাবনার বিপরীত হলো। সেখানে গিয়ে আঙ্গুর ফলের দাম জিজ্ঞেস করলাম তিনি বিক্রি করছে ২৬০ টাকা কেজি। আপেল বিক্রি করছে ২৮০ টাকা কেজি এবং কমলা বিক্রি করছে 200 টাকা কেজি। অনেক বড় সাইজের তরমুজ প্রতিটা তরমুজের ওজন হবে সাত থেকে আট কেজি প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি করছে 70 টাকা। এভাবে তিনটি বাজার পর্যবেক্ষণ করার পর প্রত্যেকটা বাজারের মধ্যেই দেখলাম পার্থক্য রয়েছে অনেক। তিনটি বাজার পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম আসলে পুরো বাংলাদেশটাই এখন সিন্ডিকেটের মধ্যে। সবাই সবার জায়গা থেকে কিভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম অধিক মাত্রায় বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকানো যায় সেই চিন্তা ভাবনা।
আবার ফিরে আসলাম আমাদের বাজারে। সেখানে এসে পরিচিত সেই দোকানে গিয়ে তাকে বিষয়টি বললাম। আপনি অন্যান্য বাজারের তুলনায় সবকিছু দাম বেশি চাচ্ছেন। তিনি আমাকে এটা বোঝাচ্ছে হয়তো তিনি অনেক আগে মাল কিনেছে সেজন্য কম দামে বিক্রি করছে। আমি তখন তাকে বললাম তাহলে এত পার্থক্য হবে কেন? তিনি তখন আমার কথার আর কোন জবাব দিতে পারল না। তখন সে বলে উঠলো আমার জিনিসের দাম এরকমই ভালো লাগলে নিও না লাগলে না নিও। তাহলে বুঝুন দেশের কি পরিস্থিতি মানুষের কি চিন্তা-ভাবনা। আর বড় বড় সিন্ডিকেটের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছি তা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। যে তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হত সেই তরমুজ এখন কেজিতে বিক্রি হয়। আমি যদি আধা কেজি বা এক কেজি তরমুজায় তারা তো দিতে পারবে না তাহলে সেই জিনিস কিভাবে কেজিতে বিক্রি হয়। সেজন্য প্রত্যেকের নিজের জায়গা থেকে পরিবর্তন না হলে মানসিকতার পরিবর্তন না করলে কখনোই এই সিন্ডিকেট হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সুন্দর একটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন ভাইয়া। ভালো হয়েছে আপনার পোস্টটি। আসলে যথাযথ বাজার মনিটরিং ও নীতিমালা না থাকায় ব্যবসারিরা, যে যেভাবে পারছেন দাম রাখছেন। আমরা ক্রেতারা তাদের কাছে অনেকটা জিম্মি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সব খানেই একই অবস্থা ভাই।যার যেমন মন চাচ্ছে তেমন দাম হাকাচ্ছে। তদারকির অভাবে এই অবস্থা। খালি ফল না,কাচা বাজারেও এমন কম বেশি। আমরা সাধারণ জনগণ জিম্মি কারন আমাদের নিতেই হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া নিজ উদ্যোগে বাজার পর্যবেক্ষণ করার জন্য।
আসলে আবহাওয়া পরিবর্তের জন্য কম বেশি সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তবে সকলেরই৷ সুস্থ্যতা কামনা করছি।আমার দেশে রমজান আসলে দাম বেড়ে যায় আর অন্যানো দেশে দাম কমে, আমরা আসলে প্রকৃতি মানুষ হতে পারিনি।সামান্য ফল একেক জায়গায় একেক দামে বিক্রি হচ্ছে কিছুই বলাট নেই। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ
আসলেই ভাই আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকেই সর্দি জ্বর আক্রান্ত হচ্ছে তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আর আপনার পোষ্টের কথাগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে এই ধরনের পোস্ট আমি গত সপ্তাহে একটা করেছিলাম তবে আপনার পোস্টটা মনে হচ্ছে আরো বেশি ডিটেইলে সাজানো হয়েছে। যাই হোক আপনার মতামতকে আমি সম্মান করি।
ভাই সবখানে বর্তমান একি অবস্থা ৷ আসলে আমাদের দেশ সোনার বাংলা হলেও মানুষ গুলো সোনার বাংলা হতে পেরেছে কি না সেটা জানি না ৷ তবে এটা ঠিক রমজান মাস সবকিছুর দাম লাগামহীন ভাবে বেড়ে যায় ৷ যার কষ্ট সাধারণ মানুষেরা ৷ দিনশেষে কোনো কিছুর করার নেই ৷
একটা বিষয় কী জানেন ভাই খুচরা বিক্রেতা রা খুব বেশি লাভ করে না। উনারা সাধারণত উনাদের ক্রয় মূল্যের উপরে লাভ রেখে বিক্রি করে। সেজন্য উনার আগে পরে কেনার যুক্তিটা খারাপ না। তবে আবার অতিরিক্ত দামও রাখতে পারে এটাও হতে পারে। মূলত জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাই পাইকার সিন্ডিকেট দের জন্য।
আপনি আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। বেশ কয়েকটা বাজার গিয়ে পন্যের দাম জেনেছেন। আসলেই রমজান মাসের পণ্যদ্রব্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ে। প্রত্যেকটা জিনিসের দামি অনেক বেশি হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমাদের দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের কথা কিছুনাই বলা উচিত৷ এরকম ব্যবসা বাণিজ্য কখনোই ব্যবসা হতে পারে না৷ এগুলো জালিয়াতি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ অন্যান্য দেশে রমজান উপলক্ষে সবকিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে আমাদের দেশে দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে৷ এক দোকানে এক দাম শুধুমাত্র একটি বাজারে, এরকম ঘটনা শুধু আমাদের বাংলাদেশে দেখা সম্ভব৷ ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ৷