গত বছরের পুনরাবৃত্তি || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40 by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- গত বছরের পুনরাবৃত্তি
- ১৭, ফেব্রুয়ারী ,২০২৩
- শুক্রবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি গত বছরের পুনরাবৃত্তি মুহূর্তের দৃশ্যপট শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
মটরশুঁটি ফল সেদ্ধ খাওয়া
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
হয়তো টাইটেল দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন এর মানে কি! হ্যাঁ গত বছরে এই দিনে মাঠে গিয়ে মটরশুটি ফল তুলে সিদ্ধ করে খেয়েছিলাম। হঠাৎ ফেসবুকে দেখি গত বছরের পুনরাবৃত্তি এই দিনে ফেসবুকে মটরশুটি সিদ্ধ করে খেয়েছিলাম তার কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছিল। তাই চিন্তা করলাম এই দিনটিকে আবার স্মরণীয় করে রাখি। আগামী বছর এই দিনটি পাব কিনা জানিনা তাই বছরের পুনরাবৃত্তি করা। গতবছর অনেকেই ছিল সময়ের সাথে সাথে অনেকেই অনেক জায়গা চলে গিয়েছে বর্তমানে যারা রয়েছে তাদের সাথে গিয়েছিলাম মটরশুটি ফল খেতে। আসলেই এই সুন্দর মুহূর্ত খোলা আকাশের নিচে প্রিয় মানুষগুলোর সাথে ফল সিদ্ধ খাওয়ার মজাই আলাদা।
Device : Redmi Note 11
বাইক নিয়ে মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
বিকেল মুহূর্তে আমরা বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হয় কিন্তু হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলি। সবাই রাজি হয়ে যায় হ্যাঁ আজকেই যাব তাই বাড়ি থেকে একটা পাতিল নিয়ে দুইটা বাইক ছয় জন মিলে মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বাড়ির পাশে অনেক বড় মাঠ প্রায় পদ্মা নদীর কাছাকাছি জায়গায় গিয়েছিলাম যেখানে প্রতিবছর গিয়ে এই মটরশুটি ফল খাওয়া হয়। সেখানে বাইক নিয়ে যেতে ১৫ মিনিট সময় লাগে। মাঠের মেঠো পথ দিয়ে যেতে অনেক ধুলাবালি আচ্ছন্ন পরিবেশ। যাইহোক, মাঠের মধ্যে প্রবেশ করার পরপরই অনেক ভালো লাগছিল খোলা আকাশ বিশুদ্ধ হওয়া সত্যি পরিবেশটা অনেক উপভোগ্য। অনেক জায়গা আমাদেরকে নামতে হয় কারণ পথ অনেক খারাপ ছিল মাঠের পথ সেটা তো বোঝেনি কিরকম হতে পারে। ১৫ মিনিটের মধ্যে আমরা সেখানে পৌঁছে যাই।
Device : Redmi Note 11
মটরশুঁটি ফল তোলা মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো মাত্রই চারিপাশে মটরশুটি ফল খুবই কম ছিল । সেখানে আমাদের অনেক জমি আছে কিন্তু মটরশুটি ফল ছিল না। তারি পাশে গিয়ে দেখি মটরশুটি ফল তারা সেগুলো উঠিয়ে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছে। তাদের কাছে বলে আমরা খাওয়ার জন্য কিছু মটরশুটি ফল তুলতে শুরু করি। আমরা ৬ জন এক পাতিল মটরশুটি ফল তোলার টার্গেট নিয়ে শুরু করে দেই তোলা। বেশি সময় লাগেনি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে এক পাতিল ফল তোলা কমপ্লিট করে ফেলি। একটি বিষয় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ফল তোলার সময় খাওয়াও যায় তোলাও যায়। যাই হোক এই ধরনের কাজের মধ্যে অনেক মজা আছে। আমি কিন্তু তোলার চেয়ে বেশি খেয়েছিলাম কাঁচা ফল খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। সিদ্ধ করে খাওয়ার মধ্যে মজা আছে কিন্তু তুলতে তুলতে এভাবে খেতে ভালোই লাগে। আমাদের ফল তোলা শেষ হলো এখন কিছু শুকনা খড়ি জোগাড় করে সিদ্ধ করে খাওয়ার পালা। মাঠে খড়ির অভাব নেই পাশেই কলার বাগান সেখানে শুকনা পাতা রয়েছে অনেক সেজন্য আমাদের তেমন একটা কষ্ট করতে হয়নি। সেখান থেকে কিছু পাতা নিয়ে সিদ্ধ করতে থাকি।
Device : Redmi Note 11
এখন শুধু খাওয়ার পালা
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
অবশেষে আমরা ফল সিদ্ধ করতে শুরু করে দিলাম। আমাদের জন্য একটি কাজ সহজ হয়েছিল সেখানে ছোট্ট একটি চুলা কেটে একদল লোক এসে পিকনিক করে গিয়েছে। সেজন্য আমাদের চুলা কাটতে হয়নি সেই চুলা ব্যবহার করে আমরা ফল সিদ্ধ করতে পেরেছিলাম। কিছু শুকনা খড়ি সংগ্রহ করে ফল সিদ্ধ শুরু করে দেই। তার পাশে কল আছে সেখান থেকে খুব সহজে পানি নিয়ে ফল সিদ্ধ করতে পেরেছিলাম। ফলের ভেতর কিছু লবণ দিতে হয় তা না হলে তেমন একটা স্বাদ লাগেনা। আমরা যে লবণ নিয়ে এসেছিলাম সেটা যথেষ্ট ছিল না একটু কম পড়েছিল। কি আর করার আধা ঘন্টা পর ফলসিদ্ধ কমপ্লিট হয়। তারপর সেই চুলা থেকে নামিয়ে গরম পানি ফেলে দেওয়া হয়। পাশেই কলার বাগান ছিল দুটো কলার পাতা কেটে পানি দিয়ে ধুয়ে পাতিল থেকে ফল সেখানে ঢেলে ফেলা হয়। আমরা সবাই গোল হয়ে বসে ফল সিদ্ধ খাইতে শুরু করলাম। একটু লবণ কম হওয়ায় স্বাদের পরিমাণ কম ছিল। বিকেল মতটা খুবই সুন্দর কাটলো এভাবেই গত বছর এই দিনে এসেছিলাম তারই পুনরাবৃত্তি হল অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি আমার কাটানো মুহূর্ত এবং মটরশুটি ফল খাওয়া দৃশ্য আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
সৃতি কখনো ভুলে যাওয়ার নয় ৷ যেটা আপনি দেখালেন ৷ গত বছরের কাটানো এমন মূহুর্ত গুলো আপনি আজ শেয়ার করলেন ৷ আসলে ছবি গুলো থাকলে মনে পড়ে যায় ৷ সেই পুরনো দিনের কাটানো মুহূর্ত গুলো এটাই স্বাভাবিক ৷
যা হোক অনেক ভালো লাগলো দেখে ৬ বন্ধু মটরুশুটি ফল সিদ্ধ করে খাওয়ার মূহুর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
ধন্যবাদ ভাই......
গত বছর আপনার মটরশুঁটি ফল সিদ্ধ করার পোস্টে আমি কমেন্ট করেছিলাম আজও করলাম।তার মানে আপনার মটরশুঁটি খাওয়ার পোস্ট পুনরাবৃত্তি আমারও কমেন্ট করেও পুনরাবৃত্তি হলো🤪🤪।আসলে সবাই মিলে এমন মাঠে মটরশুঁটি খাওয়ার মজাই আলাদা।ভালো লাগলো।আপনাকে ধন্যবাদ
সবাই যদি অবাক হয় আমি কিন্তু একটু অবাক হই নি ভাই কারণ ছোটকালে আমরা এভাবে খেসারি প্রচুর পরিমাণে সিদ্ধ করে খেয়েছি। ছোটকালে এ ধরনের স্মৃতি গুলো আমাদের চোখে এখনো ভাসে। আমরা বন্ধুরা একত্রিত যেয়ে খেসারি তুলে আনতাম এবং সেগুলো সিদ্ধ করে খেতাম খেতে অনেক সুস্বাদু লাগতো। আসলে সবাই মিলে একত্রিত করে খেসারি সিদ্ধ করে খাওয়ার মজাই আলাদা। বুঝতে পারছি অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত পাঠিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
মটরশুঁটি ফল কখনো এইভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া হয়নি। তাই এটা খেতে কি রকম লাগে তার জানিনা। যাই হোক আপনারা তো দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভাল কিছু সময় অতিক্রম করেছিলেন। আর মটরশুটি সিদ্ধ করার জন্য আপনাদের চুলা কাটতে হয়নি অন্য একদল এখানে পিকনিক করতে এসেছিলে এবং তারা চুলা কেটে রেখেছিল আর আপনারা তাদের চুলাতে মটরশুটি সিদ্ধ করলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গত বছরের কাটানো মুহূর্তগুলো আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মটরশুঁটি আমিও অনেক সিদ্ধ করে খেয়েছি। খেতে ভালই লাগে আর মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। ছয় বন্ধু মিলে মটরশুটি সিদ্ধ খাওয়ার মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালই লাগলো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
গতবছরের পুনরাবৃত্তি করে আবারো আজ মটরশুটি খাওয়ার ব্যাবস্থা করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আমি কখনো এভাবে মটরশুটি সিদ্ধ করে খাইনি। তবে আপনারা যেভাবে খেয়েছেন এতে খেতে স্বাদ লেগেছে মনে হয়। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনাদের মটরশুঁটি খাওয়া দেখে ইচ্ছে হচ্ছে আমিও চলে আসি।খুব ভাল লাগছে দেখে।এভাবে বন্ধুরা মিলে খোলা মাঠে বসে খাওয়ার মজাই অন্য রকম।গত বছর ও খেয়েছিলেন তবে আমার দেখা হয়নি। আশাকরি খুব সুন্দর সময় কেটেছে আপনাদের।অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা যে কত ভালো লাগার একটা অনুভূতি তা বলে শেষ করতে পারবো না। আমরাও আগে বিভিন্ন ডাল জাতীয় জিনিসগুলো ফসলের মাঠ থেকে তুলে বন্ধুরা মিলে হুড়া করে খেতাম। ঠিক কারীর সুন্দর একটা দৃশ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। আমাদের এখানে মটরশুটি কখনো হতো না বেশিরভাগ বক্রম অথবা ছোলা এভাবে খেয়েছি। খুবই ভালো লাগলো ফিরে পেয়ে অতীতের স্মৃতিগুলো।