কথার কথা - গল্প || (১০%লাজুক খ্যাকের জন্য )
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- কথার কথা
- ২৫, এপ্রিল ,২০২২
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি "কথার কথা" গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সকাল থেকেই আকাশটা অনেক মেঘাচ্ছন্ন । অন্ধকার মেঘের গুড়ুম গুড়ুম শব্দ বারবার জানান দিয়ে যাচ্ছিল , এই বুঝি বৃষ্টি পড়বে । কিন্তু না , বৃষ্টি পড়েনি । অনেকদিন পর বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছিল কথার । বাবা - মার বকুনির ভয়ে ব্যালকনিতে বসেই বৃষ্টি দেখতে হয় তাকে । কথা বৃষ্টিতে ভিজতে খুব পছন্দ করে কিন্তু ভয়ে ভিজতে পারে না । আজ তার মা বাসায় নেই , বাবাও অফিসের কাজে বাইরে গেছে । এটাইতো সুযোগ ছিল তার বৃষ্টিতে ভেজার । কিন্তু আর বৃষ্টিই পড়ল না । বৃষ্টিও যেন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ।
কথা দশম শ্রেণিতে পড়ে । বাবা - মার একমাত্র মেয়ে । ছোটবেলা থেকেই তাকে চার দেয়াল , ব্যালকনি আর ছাদের গাছপালার সঙ্গে কথা বলে বড় হতে হয়েছে । মা - বাবা দুজনই ব্যস্ত থাকে । তাই কথা নিজের সঙ্গেই নিজে কথা বলে । কথার একমাত্র অবসরের সঙ্গী তার ব্যালকনির পাখিগুলো । কত পাখি যে কথা উড়িয়ে দিয়েছে , খাঁচায় বন্দি পাখিগুলো কথার একাকিত্বকে বারবার নাড়া দেয় । ষোল বছরের একাকিত্বটা খাঁচায় বন্দি থাকা পাখিকে এক ঝলক দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায় । কথা ওদের কষ্ট সহ্য করতে পারে না তাই সবগুলো পাখিকে ও মাঝে মাঝে মুক্ত করে দেয় । আবার পাখি কিনে আনে , কিছুদিন পর সেগুলোও উড়িয়ে দেয় । এভাবেই কথা তার জীবনে একটু ভালোলাগা খুঁজে পায় ।
আজ কথার জন্মদিন । কথা মনে মনে ব্যালকনিতে বসে ভাবছে , বাবা - মা কি মনে রেখেছে আজ আমার জন্মদিন ? তারা এখনও আসছে না কেন ? তারা আজকে বাসায় ফিরবে তো ? কিছুক্ষণ পরই সন্ধ্যা হয়ে যাবে । গতবারও বাবা - মা ভুলে গিয়েছিল , এবারও কি তাই করবে ? আগে তো এমন করতে না মা ? আগে তো অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সারাদিন তুমি আমার সাথে থাকতে বাবা ? তাহলে এখন কেন তোমরা এমন কর ? এমন হাজারো প্রশ্নের আলোড়ন ঘটে কথার মনে । কথাগুলো ভাবতেই একফোটা জল হঠাৎ - ই হাতে পড়ল , আসলে কখন যে কথা তার অজান্তে কেঁদে ফেলছে ও বুঝতে পারেনি ।
গোধূলি শেষে বাবা - মায়ের ঘরে গিয়ে টেবিলে রাখা বাবা - মার ছবি বুকে জড়িয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে মেয়েটি । এক পর্যায়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে । কিছুক্ষণ পর কপালে আলতো ছোয়ায় ঘুম ভেঙে যায় কথার । কথা তাকিয়ে দেখে ওর মা এসেছে । আনন্দে জড়িয়ে ধরে মাকে । কিন্তু পরের মুহূর্তেই দেখতে পায় কই , এখানে কেউ নেই তো ! আমি কি তাহলে স্বপ্ন দেখলাম ? ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমিয়ে পরে কথা । ততক্ষণে আকাশের মেঘ কাটিয়ে চাঁদ উঠেছে । জানালা দিয়ে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো ছড়িয়ে পড়েছে কথার মায়াবী মুখটায় মায়ের মমতা মিশে আছে সেই আলোর স্নিগ্ধতায় ।
আপনার ক্ষুদ্রতম সাপোর্ট আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া আপনি প্রতিনিয়ত এভাবে ক্ষুদ্রতম সাপোর্ট দিতে পাশে রয়েছেন সেটাই প্রত্যাশা করে।
ভাই আপনার গল্পটা পড়েপ্রথমে কিছু বুঝতে পারি নাই। তবে শেষের কথাগুলো আমাকে কাঁদিয়ে দিল ভাই। আর আপনার গল্প লেখার ধরনটা একটু অন্যরকম। যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি শেষে ইন্ডিং টা রেখেছেন । যা যেকোনো পাঠকের মনটা দিয়ে দুলিয়া দেবে। ধন্যবাদ ভাই এরকম সুন্দর একটি ছোটগল্পঃ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গল্পটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার কাছে আমার লেখার ধরনটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।
আপনার লেখা পুরো গল্পটি পড়লাম ভাই, গল্পটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল গল্পের ভেতর হারিয়ে গিয়েছিলাম। কথার কষ্টের কথাগুলো আমার মনে খুব লেগেছে। বিশেষ করে তার মা-বাবা তার জন্মদিনের কথা মনে রাখেনি জন্য খুবই খারাপ লাগলো। দারুন গল্প লিখেছেন ভাই। আশা করি ভবিষ্যতেও এই ধরনের গল্প গুলো আপনার কাছে আমরা আরো দেখতে পারবো। ধন্যবাদ।
তাই নাকি আপনার কাছে আমার লেখা গল্পটি অনেক ভালো লেগেছে গল্পের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলেন যেটা গল্পের সার্থকতা ফিরে পেয়েছি ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
এই টুকু পড়ে তো আমি নিজেই কেদে দিয়েছি😭। আসলেই ভাই খাচার ঐ বন্দি পাখি এবং কথার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখি না। কথার মতো অনেকেই আছে আমাদের এই সোসাইটিতে। কথারা যদি ভবিষ্যতে কোনো কাজে বাবা মা কে না জানিয়ে করে এতে আমি তাদের দোষ দেখি না। কারণ তারা অবহেলায় একা থাকতে শিখে যায়।
যেটা বাস্তবতা কে নিয়ে অনেকটা ভাবায় আসলে আমার কাছে অনেক বেদনাদায়ক হয়ে গেছে গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট গুলো আমার কাছে ইউনিক মনে হয়। আপনার জন্য অবিরাম শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া আমি চেষ্টা করি ইউনিক ভাবে কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরার যেটা করতে খুবই পছন্দ করি।
গল্পটি পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। তবে শেষের দৃশ্যে আমার খুবই মনটা খারাপ করে দিয়েছে। অবশ্য গল্প এ রকমই হয়। এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাই নাকি আমিও গল্প পড়তে খুবই পছন্দ করি গল্পের ভেতর হারিয়ে যেতে আমার খুব ভালো লাগে যেটা নিশা হিসেবে নিয়ে থাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর ও অর্থবহ কথায় ভরিয়ে তুললেন গল্পের শ্রী।মন্দ ছিলনা।
চেষ্টা করেছি ভাই অর্থবহ গল্পের ভাবটা ফুটিয়ে তোলার সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন এটাই কামনা করি।
আপনার লেখা গল্পটি আমার কাছে দারুন লেগেছে বিশেষ করে এই লাইনটা। আসলে এখনকার সময়ে ছোট বাচ্চাদের তেমন একটা কেউ সময় দেয় না তাদের ভালো-মন্দ কেউ বোঝেনা।
আপনার কাছে কথার এক মাত্র অবসরের সঙ্গী তার বেলকুনির পাখিগুলো এই লাইনটি অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।