নাটকের রিভিউ "খবর ওয়ালা" || ( ১০%লাজুক খ্যাকের জন্য) by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- নাটক রিভিউ
- ২০, ফেব্রুয়ারি ,২০২৩
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে খবরওয়ালা নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাম | খবরওয়ালা |
---|---|
পরিচালক | রাফাত মজুমদার রিংকু। |
অভিনয় | আফরান নিশো, মেহজাবিন চৌধুরী। |
দৈর্ঘ্য | ৪৪.১৬ মিনিট । |
ধরন | ট্রাজেডি, বাস্তবধর্মী । |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ২১.০২.২০২২ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ
নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে আফরান নিশো এবং মেহজাবিন চৌধুরী। আফরান নিশো গ্রামের ছেলে লেখাপড়া শেষ করে শহরে এসেছে চাকরির খোঁজে। কিন্তু এই শহরে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন । সে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে অন্যদিকে মেহজাবিন চৌধুরী বড়লোকের মেয়ে তার জীবন খুবই সুন্দর আরাম-আয়েসে কাটছে। আফরান নিশু তার বন্ধুর সাথে ফুটপাতের চায়ের দোকানে বসে কি করবে ভাবছে।
আফরান নিশো সিদ্ধান্ত নেয় যেহেতু সে চাকরি খুঁজে পাইনি তাই শহরের বাড়িতে বাড়িতে পেপারের কাগজ বিলু করে বেড়াবে। তার বন্ধু বলে এত দূর লেখাপড়া করলি এখন পেপারের কাগজ বিলু করে বেড়াবি। তখন আফরান নিশু বলে কি আর করব অনেক জায়গায় চাকরির খোঁজ করলাম কিন্তু হলো না । তখন তার বন্ধু বলে আচ্ছা ঠিক আছে করতে থাক আমার কোম্পানিতে তোর সিভি জমা দিয়ে রাখ আমি স্যারের সাথে কথা বলে একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। এইদিকে আফরান নিশোর বাবা ফোন দেয় তার মা খুবই অসুস্থ পারলে কিছু টাকা পাঠাতে। সে বলে আচ্ছা ঠিক আছে আমি পাঠিয়ে দেব।
তারপর থেকে সে বিভিন্ন বাসায় বাসায় খবরের কাগজ পৌঁছিয়ে দেয়। আর প্রতিদিন সকালে যখন খবরের কাগজ বিলু করতে যায় মেহজাবিন চৌধুরী তার বাসার বেলকনিতে এসে সকালে চা খায় আর পরিবেশটা উপভোগ করে সেই মুহূর্ত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে। এক কথায় সেই মেহজাবিন চৌধুরীর প্রেমে পড়ে যায়। সে প্রতিনিয়ত এখানে এসে তার চা খাওয়ার দৃশ্যটা উপভোগ করে। এদিকে মেহজাবিন চৌধুরীর বাবা তার বিয়ে ঠিক করে বাড়ির পাশেই। প্রতিদিনের ন্যায় আফরান নিশো সকালে যখন খবরের কাগজ বিলু করতে যাবে তাদের বাড়ির সামনে সাজানো দৃশ্যপট দেখে অবাক হয়ে যায়। একটি ছেলের কাছে জিজ্ঞাসা করে এই বাড়িতে কি হচ্ছে তখন বলে দুই তালায় সেঁজুতি আপার অর্থাৎ মেহজাবিন চৌধুরীর বিবাহ।
সে অনেক কষ্ট পায় তারপর আফরান নিশো তার বন্ধুর অফিসে চলে যায় । তাকে ডাকে কিছু বলার জন্য কিন্তু বলতে পারেনা। তখন তার বন্ধু বলে কি হয়েছে বল আমাকে আফরান নিশু বলে থাক পরে বলবো। তখন তার বন্ধু বলে তাহলে আমাকে ডেকে আনলি কেন? এই বল কি হয়েছে সে বলে পরে বলব তাই বলে সে চলে যায়। এভাবে কিছুদিন কেটে যায় অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে। এইদিকে মেহজাবিন চৌধুরীর বিবাহর পর খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করছিল। কারণ তার স্বামী প্রতিদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাসায় ফিরে আবার ঘুমিয়ে পড়ে তাকে সময় দেয় না । আবার নেশার মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
আফরান নিশো মেহজাবিন চৌধুরীর স্বামীর বাড়িতেও খবরের কাগজ বিলু করে। সে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সবকিছুর বুঝতে পারে শুধু এক নজর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে সেইগুলো দেখে । এভাবে অনেক দিন যাবত মেহজাবিন চৌধুরী তার স্বামীর সাথে খারাপ দিন পার করছিল। আফরান নিশু এটা সইতে না পেরে মেহজাবিন চৌধুরীর বাবার কাছে গিয়ে বলে আংকেল আমি তো অনেকদিন ধরেই আপনার বাসায় খবরের কাগজ বিলু করি । একটি কথা বলি কিছু মনে করবেন না আপনার মেয়ে ভালো নেই। তাই বলে সে চলে আসে।
একদিন সন্ধ্যা বেলায় আফরান নিশু ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। হঠাৎ মেহজাবিন চৌধুরীর স্বামী ইয়াবা সেবন করতে গিয়ে পুলিশের সামনে পড়ে। পুলিশের কাছ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালানো অবস্থায় সামনে আফরান নিশুকে দেখতে পেয়ে তার কাছে ইয়াবা গুলো দিয়ে একটি গেটের সামনে লুকিয়ে থাকে। এদিকে পুলিশ এসে আফরান নিশো কে এসে ধরে ফেলে বলে ইয়াবা ব্যবসা করো না পালানোর চেষ্টা তখন সে কিছুই বুঝতে পারে না। তাকে ধরে নিয়ে যায় এদিকে মেহজাবিন চৌধুরীর স্বামী পুলিশ চলে যাওয়ার পর এসে আফরান নিশোর মোবাইল পড়ে গিয়েছিল সেটা হাতে নেয় কিছুক্ষণ পর ফোন আসে। কলটি ছিল আফরান নিশোর বাবার বলে তোর মা খুবই অসুস্থ তাড়াতাড়ি কিছু টাকা পাঠা এই কথাটি শুনে অবাক হয় রিয়াদ চৌধুরী।
এইদিকে আফরান নিশোর বন্ধু পুলিশের এর কাছে গিয়ে অনেক অনুরোধ করে । আমার বন্ধু এসবের ভিতর নেই প্লিজ স্যার ছেড়ে দিন তাকে। এইদিকে মেহজাবিন চৌধুরীর স্বামী রিয়াদ চৌধুরী বিষয়টা অনুভব করতে পেরে সে আফরান নিশোর কাছে গিয়ে বলে তোমার বাবা ফোন দিয়েছিল। আমি অনেক বড় একটা ভুল করেছি আমার পাপের ফল তুমি কেন ভোগ করবে । তখন আফরান নিশো বলে কোন সমস্যা নেই স্যার আপনি শুধু আমার বাবা-মাকে খেয়াল রাখবেন এটাই হবে। তাছাড়া আমার কোন প্রয়োজন নেই। তখন রিয়াদ চৌধুরী বাসায় ফিরে যায় মেহজাবিন চৌধুরীর কাছে গিয়ে ক্ষমা চায়।
শিক্ষা
**নাটক থেকে শিক্ষণীয় বিষয়টি হলো কিছু মানুষ আছে যারা নিঃস্বার্থভাবে ভালবেসে যায়। যে ভালোবাসা কখনো প্রকাশ পায় না হয়তো সেই ভালোবাসাটা তাদের মধ্যে অন্তর্নিহিত থাকে। প্রকাশ করতে গিয়েও পারে না সেই ভালোবাসার জন্য সে সবকিছু করতে পারে। তার একটা কারণ আছে প্রতিকূল পরিবেশ অনেক কিছুই বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে ।ঠিক তেমনি এই নাটকে আফরান নিশু চরিত্রে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার বিষয়টি পরিলক্ষিত। **
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি অনেক আগেই রিলিজ পেয়েছে কিন্তু আমার দেখা হলো আজকে। আফরান নিশো এবং মেহজাবিন চৌধুরী দুজনেই অনেক ভালো অভিনয় করে। নাটকের জগতে তাদের অভিনয় আমার খুবই ভালো লাগে। তাদের দুজনের জুটি অনেক মানিয়েছিল নাটকের গল্পটা চমৎকার ছিল। তাছাড়া মিউজিক, সাউন্ড সিস্টেম সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকের লিংক
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
যদিও এই নাটকটি দেখা হয়নি।তবে নাটকটির রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আসলে আফরান নিশো, মেহজাবিন চৌধুরীর অভিনয় আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলতে নাটক তেমন দেখা হয় না, তবে কিছু কিছু নাটকে অনেক শিক্ষানীয় জিনিস রয়েছে। আসলে কিছু মানুষ আজীবন ভরে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যায়।আফরান নিশো তাদের মধ্যে এক জন। যাইহোক
মেহজাবিন চৌধুরীর স্বামী তার ভুল বুঝতে পেরেছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশের নাটকগুলো আমরা দেখতে বেশ ভালই লাগে। আপনার মত নাটক করতে কিছু নাটক দেখা হয়ে যায়। তবে আপনি আজকে যে নাটকটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই নাটকটি আমি আগে দেখিনি। তবে আপনার নাটকটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। পৃথিবীতে এখনো আছে কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে এবং শেষ পর্যন্ত তারা এভাবেই করে যায়।জীবনে মানুষের মধ্যে ভুল ত্রুটি থাকবে আর এইগুলো নিয়েই সংসার জীবন পাড়ি দিতে হবে। নাটকের মধ্যে বাস্তবিক কিছু জিনিস উঠে এসেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
বাংলাদেশের নাটকগুলো খুবই শিক্ষণীয় হয়ে থাকে,এইজন্য আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আপনি সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন।সত্যিই,নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার জন্য সবকিছু করা সম্ভব।ধন্যবাদ ভাইয়া।