"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ১৪ || ছোটবেলার স্মৃতি বিজরিত গ্রীস্মকালীন ফল চুরি করে খাওয়ার গল্প
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- ছোটবেলার স্মৃতি বিজরিত গ্রীস্মকালীন ফল চুরি করে খাওয়ার গল্প
- ২৮, মার্চ ,২০২২
- সোমবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত ফল চুরি করে খাওয়ার গল্প করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রতিটি মানুষের জীবনে ছোটবেলার কিছু স্মৃতি বিজড়িত গল্প লুকিয়ে থাকে যেগুলো কখনো ভুলবার নয়। বাংলাদেশ ঋতুবৈচিত্র্যময় দেশ ঋতু বৈচিত্র্যময়ের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের রূপের সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায়। এই ঋতু বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের সাথে সাথে মানুষের অনেক গল্প থাকে যেটা স্মৃতি হিসেবে রয়ে যায়। বসন্তের শেষে গ্রীস্মের আগমন ঘটে বসন্ত মানে চারিদিকে ফুলের সমাহার দ্বারা বেষ্টিত আর গৃষ্ম কালীন মানে বিভিন্ন ফলের সমাহার। গৃষ্ম কালীন ফল নিয়ে গ্রাম্য পরিবেশে বেড়ে ওঠা মানুষের ছোটবেলার অনেক স্মৃতি বিজড়িত গল্প লুকিয়ে থাকে। সেই গল্প হল ফল চুরি করে খাওয়ার স্মৃতিবিজড়িত গল্প। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি গৃষ্ম কালীন ফল নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত গল্প যেটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তুলে ধরার আয়োজন করা হয়েছে। আমারও গৃষ্ম কালীন ফল নিয়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক কাহিনী রয়েছে যেটাই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই @hafizullah ভাইকে এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আমাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য।
আমার ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি তাহলে শুরু করা যাক
কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। যেটা খেতে খুবই সুস্বাদু ও রসালো হয়ে থাকে। আমার তখন বয়স ছিল ১২ বছর সেই দিনটি কখনো ভুলবার নয়। আমি এবং আমার কয়েকজন চাচাতো ভাই ছিল তারা আমার সমবয়সী প্রায় তাদের থেকে দুই এক বছরের বড় হব। তাদের সাথেই ছোটবেলা একসাথে খেলা ধুলা ও বেড়ে ওঠা যেখানে যেতাম একসাথে যেতাম। গৃষ্ম কালীন ফলের সময় আসলেই সেই ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহটা অনেক বেশি ছিল। যেটা সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। গৃষ্ম কালীন ফলের মধ্যে আমার আম এবং কাঁঠাল ও লিচু এই তিনটি ফলের উপর খাওয়ার আগ্রহটা বেশি থাকত। ছোটবেলায় এই তিন ধরনের ফল দেখলে কিভাবে খাওয়া যাবে সেই চিন্তা ভাবনায শুধু মাথায় কাজ করতো। এই তিন ধরনের ফল চুরি খাওয়ার অনেক স্মৃতি বিজড়িত গল্প রয়েছে তারমধ্যে সবথেকে ঐতিহাসিক গল্পটি হল কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার গল্প। কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার গল্প আমার এলাকার ছোট বড় সবাই কমবেশি জানে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। দিনটি ছিল হালকা বৃষ্টির দিন। সকাল থেকে প্রচন্ড গরম পড়ছিল দুপুর টাইম হঠাৎ বৃষ্টি নামে আমার চাচাতো ভাইদের সাথে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা আজকে কাঁঠাল চুরি করে খাব। আমরা কিছুদিন আগে বাড়ির পাশে একটি গাছে অনেকগুলো কাঁঠাল দেখে এসেছিলাম একটি কাঁঠাল একটু পেকেঁ যাওয়ার মতো হয়েছিল। আমরা মাঝে মাঝে কাঁঠাল গাছের নিচে গিয়ে কাঁঠালে হাত দিয়ে টিপে দেখতাম পেকেছে কিনা আর অপেক্ষা করতাম কবে পাকবে। অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে বৃষ্টির দিনে কাঁঠালটি অনেকটা পেকে গিয়েছিল। আমার দুই চাচাতো ভাইয়ের সাথে হালকা বৃষ্টির মধ্যে কাঁঠাল পেরে খাওয়ার জন্য গাছের তলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা যে ষড়যন্ত্রের শিকার হব সেটা বুঝে উঠতে পারিনি। আমাদের বাড়ির পাশে রাস্তা ছিল রাস্তার ওপারে কিছু ছেলেপেলে তারাও ওই কাঁঠাল গাছ থেকে প্রায়ই কাঁঠাল চুরি করে খাইতো কিন্তু তারা কখনো কাঁঠাল চুরি করে ধরা পড়েনি । কাঁঠাল গাছের মালিক ও বুঝতে পারে আমার কাঁঠাল এই ধরনের ছোট ছেলে পেলে চুরি করে খেয়ে ফেলছে। সেই জন্য কাঁঠাল গাছের মালিক সতর্ক অবস্থায় থাকে সতর্ক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও সেদিন বৃষ্টির কারণে তারা কাঁঠাল গাছের দিকে যেতে পারেনি। আমার চাচাতো ভাইদের সাথে সেই কাঁঠাল গাছের একটি কাঁঠাল চুরি করে নিয়ে ওখান থেকে কিছু দূরে গোরস্থানের পাশে একটি ফাঁকা জায়গাতে গিয়ে খাইতে শুরু করি। কাঁঠালটি মাঝারি আকারের ছিল যেটা তিনজন মিলে খেয়ে সাবাড় করে দিতে পারবো খাওয়া প্রায় মাঝামাঝি পর্যায়ে সেই মুহূর্তে কাঁঠাল মালিকের বাড়ির পাশের একজন লোক এসে দেখে ফেলে। আমরা কাঁঠালটি ওইভাবে রেখেই তিনজনে দৌড়ে পালিয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাঁঠাল মালিক তার গাছ থেকে কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার বিষয়টি জেনে যায়।
কথায় আছে না চোরের উপর বাটপারি ঠিক তেমনি একটা ঘটনা ঘটলো
আমাদের আগে এলাকার সমবয়সী যে গ্রুপ চুরি করে কাঁঠাল খাইতো তারা কয়েকজন মিছিল নিয়ে আমাদের বাড়ি হাজির হয়। কারণ তাদের চুরি করে খাওয়ার সকল দোষ আমাদের উপর চাপিয়ে দেবে। আমরা তিনজনে বাড়িতে এসে অনেক ভয় ছিলাম হয়তো কোনো না কোনোভাবে কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার বিষয়টি বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাবে ঠিক তেমনি একটা ঘটনা ঘটলো। হয়তো এবার সমস্ত কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার সব দোষ আমাদের উপরেই পড়বে ঠিক তাই হয়েছিল। আমার বাবা খুবই রাগী লোক ছিল তিনি এই ধরনের কাজ পছন্দ করতেন না। আমাদের বাড়িতে তারা মিছিল করতে করতে কাঁঠাল চুরি করে খেয়েছে সেই নালিশ নিয়ে চলে আসে। আমার বাবা রেগে গিয়ে তাদেরকে তারানি দেয় তারা আমার বাবার তাড়া খেয়ে দৌড় দেয়। তাদের দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার একটা ঘটনা বলি। তাদের মধ্যে একজন আমার খুব কাছের বন্ধু বর্তমানে। সে দৌড়ে পালাতে গিয়ে আমাদের বাড়ির পিছনে ছোট একটি পুকুর ছিল যেখানে বাড়ির সমস্ত ময়লা আবর্জনা ফেলানো হতো সে পুকুরপাড়ের পাশ দিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় চুলার আগুন এর ছাইয়ের উপর পা ফেলানো মুহূর্তেই পা পুড়ে যায়🤩🤩। আমার সেই বন্ধু মাঝেমাঝেই সেই গল্প বলে থাকে। আমি তো আমার বাবার হাতে মার খাওয়ার ভয়ে বাড়ি থেকে পালাই। আমাদের বাড়িতে এই কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল যেটা আমার কাছে খুবই ভয়ের ছিল। আমার অন্য দুই চাচাতো ভাইও বাড়ি থেকে পালিয়ে আমরা যেখানে প্রতিনিয়ত খেলাধুলা করতাম সেই জায়গাতে চলে আসে। আমরা তিনজনে একসাথে হয়ে সিদ্ধান্ত নিই এখন কি করা যায় বাড়িতে কোন ভাবেই যাওয়া যাবেনা কারণ প্রত্যেকের মা-বাবাই অনেক রেগে আছে গেলে অনেক মারবে। আমার চাচাতো ভাই হাসান তার নানার বাড়ি আমাদের বাসা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো টাকা ছিল না কোথাও যেতে হলে হেঁটে যেতে হবে। আমাদের পোশাক হিসেবে ছিল হাফ প্যান্ট যেটা পরেই সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করতাম গায়ে কোন গেঞ্জি ছিল না ওইভাবেই তার নানার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেই সময় তার নানা ও নানি বেঁচে ছিল আমরা যাওয়া মুহূর্তে তারা আমাদের অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছে কিছু একটা করে এখানে এসেছে। আমরা আমাদের সম্পূর্ণ কাহিনী খুলে বলার পর তার নানী আমাদেরকে খেতে দিল। সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে একটু ঘুরাঘুরি করতে শুরু করলাম তবুও অনেক টেনশন হচ্ছিল বাড়িতে গেলে কি হবে। এইদিকে বাড়িতে আমার বাবা-মা ও চাচা-চাচী সবাই আমাদেরকে খুঁজতে শুরু করে কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না। অবশেষে আমার কাকা খুঁজতে খুঁজতে চলে আসে তারপর আমাদেরকে নিয়ে যায়। এইভাবে কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার ঐতিহাসিক ঘটনা যা কখনো ভুলবার নয়। মা-বাবার যত রাগ ছিল তা থেকে মুক্তি পাই। ছোটবেলায় আম ও লিচু চুরি করে খাওয়ার অনেক গল্পই রয়েছে। শুধু কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ভাগ্য ভালো ছিলো আপনাদের, কারন আপনারা পালানোর একটা সুন্দর জায়গা পেয়েছিলেন হে হে হে , নইলে খবর আছিলো। শুভ কামনা রইল।
বাড়িতে কোন কিছু করলেই বা মা বাবা রাগ করলেই নানার বাড়িতে চলে যেতাম। ঠিকই বলেছেন ভাই সেই সময় নানির বাড়িতে গিয়ে পালাতাম।🤩🤩
খুবই ভালো ছিল আপনার গল্পটি। তবে একটি কথা আছে যদি অন্যের জন্য কুয়াকাটা হয়। সেই কুয়াতে নিজেই পড়া লাগে। আপনার সে বন্ধু আপনার দোষ দেওয়ার জন্য আপনার বাড়িতে গিয়েছিল। সে দৌড়ে তারই পা পুড়ে গিয়েছিল। এতে কিন্তু বোঝা যায় আসলে বিষয়টা। সবমিলিয়ে আপনার পোস্টটি খুবই ভালো ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া অন্যের জন্য কুয়া কাটলে সেই কুয়াতে নিজেই পড়া লাগে। এখনো সেই বিষয়টি আমাকে লজ্জিত করে গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
খুবই অসাধারণ একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। গল্পটি খুব সুন্দর ভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত অনেক গল্পই ছিল তার মধ্যে একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আপনাদের কাছে ভাল লাগাই আমার গল্প সার্থক ধন্যবাদ।
আপনার ছোটবেলার চুরি করার গল্প পড়ে খুব মজা পেলাম। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমরা জানতে পারব আমাদের এই পরিবারে সদস্যদের অসাধারণ চুরি করার কাহিনী গুলো। তবে আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে ভালোই দক্ষ চোর ছিলেন। 😜 আপনাদের দেখে আমার একটি গল্প লিখতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত ফল চুরির গল্প পড়ে আপনি মজা পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম দক্ষ না হলে তো চুরি করা সম্ভব না আপনার জীবনের ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবেন তাহলে খুবই খুশি হব।
বাহ আপনার কাঠাল চুরি করে খাওয়ার গল্পটা দারুন লেগেছে পড়তে। আসলে ছোটবেলায় সবার বেশ আনন্দ আর উচ্ছলতায় দিন কাটে।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
হ্যাঁ ভাই সেই কথা মনে পড়লে এখনও অনেক হাসি পায় এসব স্মৃতি পিছনের দিকে ডেকে নিয়ে যায় গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অও কাঁঠাল চুরি,দারুণ মজার গল্প ভাইয়া।পালিয়ে নানী বাড়ি গিয়েছিলেন এটি আরো মজার ছিল।ছোটবেলায় এইরকম ঘটনা মনে হয় সকলের আছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু ভয়ে পালিয়ে নানার বাড়ি চলে গিয়েছিলাম যার মাধ্যমে এই বিপদ থেকে মুক্তি পেয়েছিল গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যি হাফিজুল্লাহ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। তার এই অসাধারণ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা অনেকগুলো শৈশবের স্মৃতি দেখতে পারতেছি। যেগুলো পড়ে সত্যিই অনেক মজা পাইতেছি। আপনার গল্পটি পরেও অনেক মজা পেলাম। আর আপনার বন্ধুর পা পুড়ে যাওয়ায় সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত গল্প করে মজা পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম আমিও হাফিজুল্লাহ ভাইকে ধন্যবাদ জানাই ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত গল্প শেয়ার করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ছোটবেলা মানেই স্মৃতি বিজরিত সময়।শৈশবের প্রতিটি স্মৃতি যেন দুঃসাহসিক অভিযা।বন্ধুদের সাথে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা।আপনারও এমন ঘটনায় অনেক কিছুই মিলে যায়।লিচু চুরি নিয়ে এমন চমৎকার গল্প খুবই ভালো লেগেছে।উপস্থাপন খুবই সুন্দর হয়েছে শ্রদ্ধেয়।
ছোটবেলার অনেক স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী গৃষ্ম কালীন কলের গল্প বিশেষ করে চুরি করার বিষয়টি ভালোই মনে আছে আমি কাঁঠাল ফল এর গল্প শেয়ার করছি ভাই লিচু নয় তবুও সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।