হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon বাংলাদেশের নাগরিক
- রুই মাছের হালকা ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরি
- ০১, মে , ২০২২
- রবিবার
আপনার সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি রুই মাছের হালকা ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে আমার রেসিপি তৈরি ভালো লাগবে।
আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খাবার ভোজন করে থাকি।প্রতিটি খাবারের মধ্যে আলাদা আলাদা স্বাদে ভরপুর থাকে।সবাই তার চাহিদা মতো খাবার খেতে পছন্দ করে। আবার একই খাবার প্রতিনিয়ত খেতে ভালো লাগে নাহ।আমার মাছ খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক সময় রান্নার উপর স্বাদের পরিমাণ নির্ভর করে। মাছের বিভিন্ন ভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায়। এই রমজান মাসে আমি মাছ জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে থাকি কারণ মাংস জাতীয় খাবার খেলে প্রচুর পানি তৃষ্ণা লাগে যেটা রোজা থাকা খুবই কষ্টদায়ক হয়। তাই সেহরি খাওয়ার মুহূর্তে মাছ দিয়ে ভাত খেতে আমি বেশি পছন্দ করি ।সবার ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন হলেও বেশিরভাগ লোকই এই ধরনের খাবার ভক্ষণ করতে পছন্দ করে। আজকে রুই মাছের হালকা ঝোল রেসিপি তৈরি করেছিলাম ভুনা জাতীয় বললে ভুল হবে না। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আমার রেসিপি তৈরি।
রুই মাছের ঝোল রেসিপি
Device: A52
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
রুই মাছ | ৫০০ গ্রাম |
তেল | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো |
রসুন | পরিমাণ মতো |
মসলা পরিমাণ | পরিমাণ মতো |
ধাপ-১:প্রথমে মাছের টুকরা গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে হলুদ মিশিয়ে রেখে দিয়েছি। |
ধাপ-২: মাছ ভাজি করে নিতে হবে সেজন্য কড়াই এর উপর পরিমাণ মতো তেল নিয়ে তাপ দিতে থাকি। |
ধাপ-৩: তেল গরম হয়ে গেলে তারপর মাছের টুকরাগুলো তেলের উপর ছেড়ে দিয়েছি ভাজি করে নেওয়ার জন্য। |
ধাপ-৪: তারপর মাছের টুকরা গুলো উল্টাইয়া উল্টাইয়া ভাজি করে নিতে শুরু করি। এরকম ভাজি করে মাছ রান্না করে খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। |
ধাপ-৫: মাছ ভাজি করা হয়ে গেলে তারপর একটি পাত্রে ওঠায়ে রেখে দিলাম। ছোট বেলায় আম্মা ভাজি করলে খাওয়ার জন্য পাশে বসে থাকতাম। |
ধাপ-৬:মাছ ভাজি করা হয়ে গেলে এখন শুধু রান্না করতে হবে।আবার কড়াইয়ের উপর পরিমাণ মতো তেল নিয়ে নিলাম। |
ধাপ-৭:তারপর পেয়াজের কুঁচিকুঁচি অংশ রেখেই দিয়েছিলাম সেগুলো তেলের উপর দিয়ে ভাজি করতে হবে। |
ধাপ-৮: তারপর বিভিন্ন ধরনের মসলা বাটা পেয়াজ কুঁচিকুঁচি অংশে মিশ্রণ করে নিয়েছি। কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে নাড়তে হবে। |
ধাপ-৯: বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং পেঁয়াজ কুচি কুচি পানির সাথে মিশিয়ে তেলের উপর দিয়ে নাড়তে শুরু করি। কিছু পরিমাণ হলুদ দিয়ে দিই। |
ধাপ-১০: এভাবে কিছু সময় নাড়তে থাকলে আস্তে আস্তে পানি শুকিয়ে যাবে। তারপর হালকা কিছু পরিমাণ পানি আবার দিয়ে নাড়তে হবে। |
ধাপ-১১: এভাবে নাড়তে নাড়তে একসময় ভাজি আকারে সৃষ্টি হবে ।সেই সময় মাছের টুকরাগুলো দিয়ে দিতে হবে। এরকম ভাজি ভাজি করে নিলে তরকারির স্বাদ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। |
ধাপ-১২: তারপর আবার কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে মাছগুলো ভাজি ভাজি করে নিয়েছিলাম সেই টুকরাগুলো তরকারির ভেতর ছেড়ে দিয়েছি। এখন হালকা পানি দিয়ে আবার নাড়তে হবে। |
ধাপ-১৩: এরপর কিছু সময় এভাবে নাড়তে নাড়তে একটু বেশি পরিমাণ পানি দিয়ে ঝোল ঝোল তৈরি করে নিয়েছি। তারপরে আবার তাপ দিতে থাকি। |
ধাপ-১৪: পানির পরিমাণ কমে গেলে আবার কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে নাড়তে থাকি। আমি হালকা ঝোল ঝোল তরকারি খেতে খুবই পছন্দ করি। |
ধাপ-১৫: এভাবে আধাঘন্টা তাপ দেয়ার পর তরকারিতে পানির পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছে আর কিছু সময় তাপ দিলেই পারফেক্ট ঝোল রেসিপি তৈরি হয়ে যাবে। |
ধাপ-১৬: এভাবেই রুই মাছের হালকা ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরীর কাজ শেষ করি ।এই রকম রেসিপি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি যেটা সম্পূর্ণ হলো। |
ধাপ-১৭: তারপর একটি পাত্রে নামিয়ে রেখে দিয়েছি। তাপ কমে গেলেই খাওয়ার পালা এই ধরনের রুই মাছের রেসিপি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। যেটা আমার খুবই প্রিয় খাবার তাই মাঝে মাঝে এই ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। আশাকরি আমার রেসিপি তৈরি আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। |
ধন্যবাদ সবাইকে
*আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
আপনি অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটি রুই মাছের হালকা ঝোল ঝোল রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রুই মাছের হালকা ঝোল ঝোল রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে রুই মাছ আমার অনেক বেশি পছন্দের আপনার এই রেসিপিটি দেখেই জিভে জল এসে যাচ্ছে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আমি মজাদার এবং লোভনীয় রুই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি যেটা আপনার কাছে অনেক ভালো লাগলো আর আপনার ব্যক্তিগত ভাবে রুই মাছ খুবই পছন্দের জানতে পারলাম।
আপনার আর আমার একেবারে সম্পন্ন উল্টোটা এই রমজান মাসে আমি অনেক বেশি মাংস খেয়েছি মাংস দিয়ে এই রমজান মাসে ভাত খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রুই মাছের মজাদার হালকা ঝোলের রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে তরকারিটি। দেখেও মনে হচ্ছে খুব মজাদারও হয়েছে।
সবার ক্ষেত্রে এক রকম না আপু কেউ মাংস খেতে পছন্দ করে আবার কেউ মাছ খেতে পছন্দ করে আসলে ভিন্নতা থাকাও একটা ভালো গুণ।
রুইমাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। আপনি আমার পছন্দের একটি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাই আপনার মতামতের মাধ্যমে জানতে পারলাম রুই মাছ আপনার খুবই ফেভারিট আপনার কাছে আমার রেসিপি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
রুই মাছের হালকা ঝোল রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে । দেখেই খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। নাজানি কত যে সুস্বাদু হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই রুই মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে রান্নাটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রতিনিয়তঃ একই ধরনের খাবার খেলে আমাদের খাবারের রুচি ঠিকমতো থাকে না। এজন্য আমাদের সকলের উচিত ভিন্ন ভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করা।মাংস জাতীয় খাবার খাওয়ার থেকে মাছ খাওয়া বেশি দরকার। কারণ সারাদিন না খেয়ে থাকতে হয়। পানির পিপাসা পেলে পানি পান করা যায় না। রুই মাছের ঝোল রেসিপি অনেক সুন্দর ছিল ভাই ।রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিনিয়ত একই ধরনের খাবার খেলে রুচি ঠিক থাকেনা তাই প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে অনেক ভালো লাগে মন্তব্যটি ভালো লাগলো।
ভাই আমার মতে অনেক সময় না সব সময়ই রান্নার উপর স্বাদের পরিমাণ নির্ভর করে। কম স্বাদের কোন কিছু একটু ভালোভাবে রান্না করলে খেতে মোটামুটি ভালই লাগে।
যাইহোক আপনার রুই মাছের রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপনার রেসিপিটি। আপনার উপস্থাপনা ও বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন অনেক সময় না সব সময় রান্নার উপর সাধের পরিমাণ নির্ভর করে সুন্দর ভাবে রান্না করলে যেকোনো ধরনের খাবারই খেতে অনেক সুস্বাদু হয় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
রুই মাছ আমার খুবই প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রুই মাছের ঝোল ঝোল তরকারি রান্না করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে রুই মাছের ঝোল রান্না করেছেন।কালার খুব সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
তাই নাকি আপু রুই মাছ আপনার খুবই প্রিয় যেটা আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার কাছেও এই মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ আপু।
রুই মাছের হালকা ঝোল ঝোল রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার রুই মাছের রেসিপি। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই রেসিপিটি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
তাই নাকি আপু আমার রেসিপি তৈরি দেখে আপনার জিভে জল চলে আসছে সেটা খুবই ভালো খবর এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।
রুই মাছ খেতে মোটামুটি আমার ভালোই লাগে। বিশেষ করে পেঁয়াজ দিয়ে ঝোল ঝোল করে রান্না করলে খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রুই মাছের ঝোল ঝোল রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
আমিও আপনার সাথে একমত পিয়াজ দিয়ে হালকা ঝোল রেসিপি তৈরি করলে অনেক ভালো লাগে মন্তব্য করবেন এভাবে সেটাই কামনা করি।
রুই মাছ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রুই মাছের মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে মজার রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনিও রুই মাছ খেতে পছন্দ করেন জেনে ভাল লাগল অনেকের ক্ষেত্রেই চাহিদা থাকে যেটা আপনার মধ্যেও আছে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।