গভীর রাতের শপিং//by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- গভীর রাতের শপিং
- ১২, এপ্রিল ,২০২৪
- শুক্রবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। গভীর রাতের শপিং সেই দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
ঈদের আগে শপিং করতে সবাই পছন্দ করে । ঈদের সময় কেনাকাটা করার যে মজাটা শহরে গেলে দেখতে পাওয়া যায় । মানুষের ভিড়ে শহরের মধ্যে যাতায়াত খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়। আজকে আপনাদের সাথে আমাদের গ্রুপের শপিং করার গল্প এবং দৃশ্য পটভূমি তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমরা প্রতি বছর সবাই রাতে শহরের উদ্দেশ্যে বের হই শপিং করার জন্য। অনেকের শপিং করার না থাকলেও যে ইনজয় টা হয় সেটা উপভোগ করতে হলেও যেতে হবে হাহাহা। এবার আমার তেমন একটা কেনাকাটা ছিল না তবুও আমাদের সবাইকেই যেতে হবে। না বলার কোনো সুযোগ নেই। রমজান মাসে রোজা থেকে যেকোনো কিছু কেনাকাটা করা সত্যিই ওষ অনেক বিরক্তিকর। সেজন্য এবার আমরা প্ল্যান করেছিলাম গতবারের মতো ইফতার শেষ করে এশারের নামাজের পর শহরের উদ্দেশ্যে বের হব রাত 9 টার দিকে।
Device : Redmi Note 11
ইজির সামনে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
আমাদের বাসা থেকে শহরে যেতে আধা ঘন্টা টাইম লাগে। বাইক নিয়ে আমাদের বের হতে একটু লেট হয় দশটা বেজে যায় শহরে পৌঁছাতে। রাত দশটার দিকে শহরে গিয়ে দেখি মার্কেটে প্রচুর ভিড়। ঈদের শেষ দুই দিন সবাই মার্কেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিটা দোকানে এত পরিমাণ ভিড় ছিল সত্যি ই প্রবেশ করার মত পরিবেশ ছিল না। মনে হচ্ছিল না যে রাত দশটা বেজে গিয়েছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়েছে মাত্র। আমরা সবাই শহরে গেলে প্রতিবারের মতো মাঝপথে গিয়ে হালকা ঝড়ো বাতাস হয়। কালবৈশাখী ঝড় যেটা গতবার হয়েছিল। এবার কোন ঝড় ছিল না হালকা বাতাস। আম খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি কারণ আম এখনো বড় হয়নি। গত বছর যে অ্যাডভেঞ্চার টা পেয়েছিলাম এবার সেটা পেলাম না। সবসময় একই রকম মুহূর্ত পাব সেটাও অপ্রত্যাশিত। যাইহোক, মার্কেটে গিয়ে আমরা সবাই যে যার মত করে হারিয়ে গেলাম। আসলে সবাই একসঙ্গে কেনাকাটা করতে গেলে দেখা যাবে রাত শেষ হয়ে যাবে তবুও আমাদের কেনাকাটা শেষ হবে না।
Device : Redmi Note 11
রাতের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
সেজন্য আমরা আগেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে আমরা কেনাকাটা শুরু করে দিব। গতবার তাই করেছিলাম তবুও রাত দুইটা বেজে গিয়েছিল। এবার আমরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলাম। শহরের মধ্যে আমি প্রথমে ইজিতে ঢুকেছিলাম সেখানে গিয়ে কয়েকটি গেঞ্জি এবং শার্ট দেখলাম। তেমন একটা পছন্দ হলো না। সেখান থেকে খুব দ্রুত বেরিয়ে গেলাম কারণ প্রচন্ড ভিড় ভালো লাগছিল না ভাবলাম একটু পরে আসি। অন্যান্য গুলোতে ঢুকলাম আমি আর সাগর ভাই একে একে প্রত্যেকটা দেখতে থাকলাম বেল শোরুমে ঢুকেছিলাম। সেখানে একটি শার্ট পছন্দ হয়েছিল। ভাবলাম আগেই পছন্দ হয়ে গেল কি করা যায়? সাগর ভাইকে বললাম তিনি বলল আমরা আবার পরে আসবো যদি অন্য জায়গায় আরো ভালো দেখতে পাই তাহলে খারাপ লাগবে। যদি না পাই তখন এসে নিয়ে যাব। বুদ্ধিটা ভাল ছিল আমরা অন্যান্য গুলোতে দেখার চেষ্টা করলাম।
Device : Redmi Note 11
চা খাওয়ার মুহুর্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
অন্যান্য গুলোতে ঢুকার পর তেমন কিছুই পছন্দ হয়নি। আমার মনে হচ্ছিল কেন জানি সবাই ভালো কিছু কিনে নিয়ে চলে গিয়েছে।😜 এখন শুধু অপছন্দনীয় জিনিসগুলোই পড়ে আছে হাহাহা। বেলে সে সেই পছন্দের শার্ট নিয়ে নিলাম। তারপর খোঁজ করতে থাকলাম কে কোথায় আছে। যার কাছেই ফোন দেই অনেক দূরে। অনেকে আবার খুব কাছে ছিল। আমরা সবাই আবার একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করলাম। এবারের শপিংয়ে কেউ তেমন বেশি কিনেনি । আড়ং ঢুকলাম সেখানে সবকিছুর অনেক দাম। সেখান থেকে আমি একটি জুস কিনেছিলাম একটু তৃষ্ণা লেগে গিয়েছিল সেজন্য। জুস কেনা সেই জুস নিয়ে অনেক ফানি ফানি ঘটনা ঘটেছিল। পেমেন্ট করার সময় তারা আমাকে খুচরা তিন টাকা দিয়েছিল যা বর্তমান সময়ে অচল। সেগুলো আর বলতে চাচ্ছি না হা হা। মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দেড়টা বেজে গিয়েছে। আমিতো অবাক হয়ে গেছি সত্যিই কি ঠিক দেখছি। সবাই আবার একসঙ্গে হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে কারণ সেহরি খাওয়ার টাইম হয়ে যাবে। অনেকে হোটেলে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করলো কিন্তু আমি এবং সাথে আরও কয়েকজন খেয়েছিলাম না। কারণ তখন খেলে সেহরি খেতে পারব না। আমাদের রওনা দিতে আড়াইটা বেজে যায়। কুমারখালী শহরে এসে পৌঁছে প্রতিবছর যে দোকানে চা খেতাম এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেখানে বসে সবাই মিলে চা খেলাম। আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাড়ি পৌঁছাতে সাড়ে তিনটা বেজে গিয়েছিল। এই হল আমাদের শপিং করার গল্প। প্রতিবছরে এরকম শপিং করার মাধ্যমে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | গভীর রাতের শপিং |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | Kushtia |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
গভীর রাতে শপিং করার চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই এরকম রাতের বেলায় শপিং করার মধ্যে বেশ আনন্দ রয়েছে। একই সাথে রাতের বেলায় বিভিন্ন দোকানের পরিবেশটাও বেশ ভালো থাকে। যাহোক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঈদের কয়েকদিন আগে মার্কেটে যে পরিমাণ ভিড় থাকে ।সেজন্যই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাসা থেকে নয়টার পরে বের হব। আমাদের বের হতে দশটা বেজে গিয়েছিল ।তখন মার্কেটে গিয়ে দেখি অনেক ভিড়। যাই হোক সন্ধ্যার সময়ের তুলনায় অনেক কম ছিল। সেই সময় পরিবেশ ঠান্ডা ভালোই উপভোগ করেছিলাম মুহূর্তটি।
এরকম শপিং করার মধ্যে আসলেই অনেক বেশি আনন্দ লুকিয়ে থাকে। আর আপনারা সবাই মিলে তো দেখছি গভীর রাতে শপিং করেছিলেন অনেক মজা করেই। আপনাদের শপিং করার মুহূর্তটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে খুচরা তিন টাকা দেওয়ার বিষয়টা অনেক বেশি হাস্যকর ছিল। বেশি কেনাকাটা না করলেও সবাই মিলে এত রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করেছেন শুনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সবার এত রাতে কেনাকাটার মুহূর্তটা সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
সবাই প্রতিবছর এই দিনে একসঙ্গে গিয়ে মার্কেটে দারুন সময় উপভোগ করার পাশাপাশি পছন্দের পোশাকগুলো কিনতে পারা সত্যি অনেক আনন্দের। প্রতিবছর এরকম মুহূর্ত উপভোগ করি যেমনটা গতবার আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আসলেই অনেক আনন্দের ছিল।
শেষের দিনগুলোতে মার্কেটে গেলে আমরও এমনই মনে হয়। কিছুই আমার পছন্দ হয় না। নতুন নতুন কালেকশন আগে আগে আনা হয় আর আগেই বিক্রি হয়ে যায়। আপনাদের গ্রুপের শপিং এর কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো দেখে। বড় বড় ব্র্যান্ড গুলো আসলে এমনই। যত টাকাই বাকি থাকুক না কেন তারা সেগুলো খুচরা দিয়ে দিবে। আমাকে তো একবার একটাকার কয়েন খুচরা দিয়েছিল😆
হ্যাঁ তেমনটাই মনে হয়েছে ভালো কালেকশনগুলো খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। যে পরিমাণ মার্কেটে মানুষের ভিড় তাতে সবাই নিজের পছন্দের পোশাকগুলোই নিয়ে যায় ধন্যবাদ।
রাতে কেনাকাটা করার মজা আলাদা। আজকে আপনি ঠিক সেভাবেই কেনাকাটার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রাতে কেনাকাটার এ মুহূর্তটা আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। আশা করি ঈদের দিন খুব আনন্দ ইনজয় করেছেন। শুভ হোক আপনার পথচলা, শুভ কামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই রাতে কেনাকাটা করার মজাই আলাদা কেনাকাটা করার পাশাপাশি অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করা যায় ।প্রতিবছর মার্কেটে গিয়ে যে যার মত হারিয়ে যাওয়া। আবার খোঁজাখুঁজি করে একসঙ্গে হওয়া এটাও একটা মজা।
আপনারা সবাই তো দেখছি ভালোই কেনাকাটা করেছিলেন তাও আবার এতটা রাতে। সবাই মিলে একসাথে মার্কেট করতে কিন্তু ভালো লাগে। আমার তো এই বিষয়টা অনেক বেশি পছন্দের। আপনারা কেনাকাটা করার পর আবার সবাই মিলে চা খেয়েছিলেন, বিষয়টা আরো বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। যেহেতু সবসময়ের মত এবারেও ওই দোকান থেকে চা খেয়েছেন, নিশ্চয়ই ওনার চা অনেক বেশি মজাদার হয়। আপনারা তো সবার লাস্টে শপিং করেছেন। সবাই তো ভালো গুলো এবং সুন্দর গুলো কিনে নিয়ে যাবেই😁। সবার মার্কেটিং শুরু হয়েছে রোজার শুরু থেকেই। এতদিন পর ভালো কিছু থাকে নাকি।
প্রতিবছর এইরকম সবাই একসঙ্গে কেনাকাটা করি, ভালো লাগে সেজন্য চেষ্টা করি প্রতিবছরের ন্যায় এরকম মুহূর্ত উপভোগ করার। বাড়ি ফিরতে ফিরতে সেহরি খাওয়ার টাইম হয়ে গিয়েছিল।